‘শাহনামা’ গ্রন্থটি কার রচিত?
A
আলাওল
B
শাহ মুহম্মদ সগীর
C
ফেরদৌসী
D
বাহরাম খা
উত্তরের বিবরণ
‘শাহনামা’ একটি অমর পারস্য মহাকাব্য, যা রচনা করেছিলেন ফেরদৌসী। এই গ্রন্থে প্রাচীন ইরানের বীরত্ব, রাজবংশের ইতিহাস ও নৈতিক শিক্ষা কাব্যিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
- শাহনামা শব্দের অর্থ ‘রাজাদের কাহিনি’।
এই কাব্যটি ফারসি ভাষায় রচিত এবং এতে প্রায় ৬০,০০০ চরণ রয়েছে। - গ্রন্থটি রচনার উদ্দেশ্য ছিল ইরানের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করা।
- ফেরদৌসী (৯৪০–১০২০ খ্রিস্টাব্দ) প্রায় ৩০ বছর ধরে এ মহাকাব্যটি রচনা করেন।
- এটি ইরানি জাতীয় গৌরবের প্রতীক এবং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য হিসেবে স্বীকৃত।
0
Updated: 17 hours ago
নবাব ফয়জুন্নেসা রচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের নাম কী?
Created: 4 weeks ago
A
সঙ্গীতসার
B
রূপজালাল
C
সঙ্গীতলহরী
D
মুসলিম বন্ধু
নওয়াব ফয়জুন্নেসা ছিলেন উনিশ শতকের বাংলার এক অগ্রগণ্য নারী শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক ও সাহিত্যিক, যিনি নারীশিক্ষা ও সমাজকল্যাণে পথিকৃৎ হিসেবে ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। তাঁর রচিত আত্মজীবনীমূলক রূপক গ্রন্থের নাম “রূপজালাল”, যা বাংলা সাহিত্যে এক ঐতিহাসিক অবদান হিসেবে গণ্য করা হয়।
-
‘রূপজালাল’ হলো নওয়াব ফয়জুন্নেসা রচিত গদ্য ও পদ্য মিলিত আত্মজীবনীমূলক ও কল্পকাহিনীমূলক একটি রূপক গ্রন্থ।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৭৬ সালে ঢাকা থেকে।
-
গ্রন্থটিতে লেখিকা নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে তাঁর বিড়ম্বিত দাম্পত্য জীবনের করুণ কাহিনী, রূপকের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন।
-
এটি বাংলার একজন মুসলিম নারীর রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সাহিত্যকর্ম বলে বিবেচিত।
-
‘রূপজালাল’-এর কাহিনীতে দেখা যায় আত্মসম্মানবোধ, নারী-অধিকার চেতনা ও সামাজিক অবিচারের প্রতিবাদ — যা তৎকালীন নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গির পূর্বাভাস দেয়।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা (১৮৩৪–১৯০৩):
-
জন্ম: কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও গ্রামে, এক জমিদার পরিবারে।
-
তিনি সমাজকল্যাণ, নারীশিক্ষা ও দরিদ্রসেবায় নিবেদিত ছিলেন।
-
নারী শিক্ষার প্রচার ও নারী অধিকার রক্ষায় তাঁর অবদান অসাধারণ।
-
১৮৮৯ সালে ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়া তাঁকে ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত করেন, যা কোনো বাঙালি নারী প্রথমবারের মতো অর্জন করেন।
-
তিনি ছিলেন একাধারে জমিদার, সমাজসেবক, কবি ও সাহিত্যিক।
-
বাংলা পত্রপত্রিকা যেমন বান্ধব, ঢাকা প্রকাশ, মুসলমান বন্ধু, সুধাকর, ইসলাম প্রচারক প্রভৃতির তিনি নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকতা করতেন।
-
সাহিত্যকর্ম:
-
রূপজালাল (১৮৭৬) – আত্মজীবনীমূলক রূপক কাহিনি।
-
সঙ্গীতসার ও সঙ্গীতলহরী – তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।
-
নওয়াব ফয়জুন্নেসা তাঁর সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে শুধু ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতাই প্রকাশ করেননি, বরং সমাজে নারীর অবস্থান, সম্মান ও আত্মপ্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়েছেন, যা তাঁকে বাংলা সাহিত্য ও সমাজ ইতিহাসে এক অনন্য স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
0
Updated: 4 weeks ago
'দুর্দিনের দিনলিপি' স্মৃতিগ্ৰন্থটি কার লেখা?
Created: 1 month ago
A
আবুল ফজল
B
আবদুল কাদির
C
জাহানারা ইমাম
D
মুশতারি শফী
‘দুর্দিনের দিনলিপি’ গ্রন্থটি আবুল ফজল রচিত। এটি মূলত মুক্তিযুদ্ধকালীন তার রোজনামচা, যেখানে তিনি ১৯৭১ সালের ঘটনাবলি সংরক্ষণ করেছেন।
এই ডায়রিতে তিনি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, পাকিস্তানি সেনাদের হাত থেকে আত্মগোপন, এবং সেই সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।
-
আবুল ফজল ১৯০৩ সালে চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি মুসলিম সাহিত্য সমাজের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে ‘বুদ্ধির মুক্তি’ আন্দোলন গড়ে তোলেন, যার মুখপত্র ছিল শিখা পত্রিকা।
-
“দুর্দিনের দিনলিপি” ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি পাক সেনাদের হাত থেকে বাঁচতে আত্মগোপন করতেন এবং সেই সময় এই ডায়রি লিখেছেন।
-
তিনি রচনা করেছেন ‘রেখাচিত্র’, যা আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিনলিপি।
-
আবুল ফজল উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, আত্মকথা, ধর্ম ও ভ্রমণকাহিনীসহ বিভিন্ন বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন।
উল্লেখযোগ্য রচনা:
-
চৌচির
-
প্রদীপ ও পতঙ্গ
-
মাটির পৃথিবী
-
বিচিত্র কথা
-
রাঙ্গা প্রভাত
-
রেখাচিত্র
-
দুর্দিনের দিনলিপি
0
Updated: 1 month ago
কোনটি ইব্রাহিম খাঁর গ্রন্থ নয়?
Created: 5 months ago
A
আনোয়ার পাশা
B
ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র
C
কুচবরণের কন্যে
D
সোনার শিকল
ইব্রাহিম খাঁ
জন্ম ও পটভূমি:
ইব্রাহীম খাঁ ১৮৯৪ সালে টাঙ্গাইল জেলার শাবাজ নগর গ্রামে এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পেশা ও পরিচিতি:
তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজচিন্তক। নাটক, গল্প, উপন্যাস, শিশুসাহিত্য, ভ্রমণকাহিনি এবং স্মৃতিকথা মিলিয়ে তাঁর রচনাসংখ্যা ২১টি।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি:
-
ব্রিটিশ আমলে: ‘খান সাহেব’ ও ‘খান বাহাদুর’ উপাধি
-
পাকিস্তান আমলে: ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’
-
সাহিত্যিক অবদান:
-
বাংলা একাডেমি পুরস্কার (নাটকে) – ১৯৬৩
-
একুশে পদক (সাহিত্যে) – ১৯৭৬
-
মৃত্যু:
তিনি ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
✍️ সাহিত্যকর্ম:
স্মৃতিকথা:
-
বাতায়ন — যা সমকালীন মুসলিম সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে বিবেচিত।
নাটক:
-
আনোয়ার পাশা
গল্প:
-
সোনার শিকল
-
আলু বোখরা
-
ব্যাঘ্র মামা
উপন্যাস:
-
ঋণ পরিশোধ
-
কামাল পাশা
ভ্রমণকাহিনি:
-
ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র
-
বেদুঈনদের দেশে
শিশুসাহিত্য:
-
কুচবরণ কন্যা রচনা করেন বন্দে আলী মিয়া, এটি ইব্রাহীম খাঁর রচনা নয়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া ও ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ – ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 5 months ago