শুদ্ধ বাক্য কোনটি?
A
দৈন্যতা নিন্দনীয়
B
দরিদ্রতা অভিশাপ
C
ফুল দেখতে সুন্দর
D
ভূল লিখতে ভুল করো না
উত্তরের বিবরণ
বাক্যটির শুদ্ধতা এর অর্থগত ও ব্যাকরণগত দিক থেকেই প্রমাণিত। “ফুল দেখতে সুন্দর” একটি সম্পূর্ণ ও সঠিক বাক্য, যেখানে কর্তা ও বিধেয় উভয়ই যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। বাকিটির ত্রুটিগুলো নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।
“দৈন্যতা নিন্দনীয়” নয়, কারণ ‘দৈন্যতা’ শব্দটি অপ্রচলিত; এর শুদ্ধ রূপ ‘দৈন্য’।
“দরিদ্রতা অভিশাপ” অসম্পূর্ণ বাক্য, সঠিক হবে “দরিদ্রতা একটি অভিশাপ”।
“ভূল লিখতে ভুল করো না”-এ ‘ভূল’ বানানটি ভুল; সঠিক বানান ‘ভুল’।
তাই কেবল “ফুল দেখতে সুন্দর” বাক্যটি অর্থ, গঠন ও ব্যাকরণে সম্পূর্ণ শুদ্ধ।
0
Updated: 17 hours ago
"শুক্রবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকে"- বাক্যে 'বিদ্যালয়' শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
Created: 4 weeks ago
A
কর্তায় শূন্য
B
কর্মে শূন্য
C
অপাদানে শূন্য
D
অধিকরনে শূন্য
বাক্যটিতে ‘বিদ্যালয়’ শব্দটি কর্তৃকারক এবং এতে শূন্য বিভক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, কারণ এখানে বিদ্যালয় নিজেই বন্ধ থাকার কাজটি করছে, অর্থাৎ ক্রিয়ার কার্যসম্পাদনকারী বিষয় হিসেবে এটি কর্তা। স্থান যখন নিজেই কাজটি সম্পাদন করে, তখন তাকে কর্ম-কর্তৃবাচ্যের কর্তা বা কর্তাকারক বলা হয়।
তথ্যসমূহ:
-
কর্তৃকারক: যে ব্যক্তি, বস্তু বা স্থান কোনো কাজ সম্পাদন করে বা যার সম্বন্ধে কিছু বলা হয়, তাকে কর্তৃকারক বলা হয়। এই বাক্যে “বিদ্যালয়” নিজেই “বন্ধ থাকার” কাজটি করছে, তাই এটি কর্তা হিসেবে গণ্য।
-
শূন্য বিভক্তি: কোনো শব্দে যদি বিভক্তি চিহ্ন না থাকে, অর্থাৎ কোনো প্রত্যয় যুক্ত না হয়, তবে তাকে শূন্য বিভক্তি বলা হয়। এখানে “বিদ্যালয়” শব্দের সঙ্গে কোনো বিভক্তি চিহ্ন নেই, তাই এটি শূন্য বিভক্তি ধারণ করেছে।
-
কর্ম-কর্তৃবাচ্যের কর্তা: যখন ক্রিয়ার কার্য নিজেই কোনো বস্তুর বা স্থানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, তখন সেটিকে কর্ম-কর্তৃবাচ্যের কর্তা বলা হয়। “বিদ্যালয় বন্ধ আছে”—এই বাক্যে বিদ্যালয় নিজেই বন্ধ অবস্থায় রয়েছে, তাই এটি এই শ্রেণিতে পড়ে।
0
Updated: 4 weeks ago
'কথোপকথন' কোন ধরনের সন্ধি সাধিত শব্দ?
Created: 2 months ago
A
বিসর্গ সন্ধি
B
ব্যঞ্জন সন্ধি
C
স্বরসন্ধি
D
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
স্বরসন্ধির নিয়ম (অ+উ / অ+ঊ / আ+উ / আ+ঊ → ও)
সংজ্ঞা:
প্রথম পদের শেষের অ-ধ্বনি বা আ-ধ্বনির সঙ্গে দ্বিতীয় পদের প্রথম উ-ধ্বনি বা দীর্ঘ ঊ-ধ্বনি যুক্ত হলে তা ও-ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়। বানানে এটি ও-কারের রূপ নিয়ে আগের বর্ণে যুক্ত হয়।
উদাহরণসমূহ:
-
অ + উ → ও:
-
সর্ব + উচ্চ = সর্বোচ্চ
-
সূর্য + উদয় = সূর্যোদয়
-
দীর্ঘ + উচ্চারণ = দীর্ঘোচ্চারণ
-
প্রশ্ন + উত্তর = প্রশ্নোত্তর
-
-
অ + ঊ → ও:
-
নব + ঊঢ়া = নবোঢ়া
-
সর্ব + ঊর্ধ্ব = সর্বোর্ধ্ব
-
-
আ + উ → ও:
-
যথা + উচিত = যথোচিত
-
কথা + উপকথন = কথোপকথন
-
যথা + উপযুক্ত = যথোপযুক্ত
-
-
আ + ঊ → ও:
-
গঙ্গা + ঊর্মি = গঙ্গোর্মি
-
মহা + ঊর্মি = মহোর্মি
-
মহা + ঊর্ধ্ব = মহোর্ধ্ব
-
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 2 months ago
কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
Created: 1 month ago
A
অনেক সন্ন্যাসিতে গাজন নষ্ট।
B
অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট।
C
অনেক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট।
D
অধিক সন্ন্যাসীতে গান নষ্ট।
প্রবাদবাক্য: “অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট” একটি প্রচলিত বাংলা প্রবাদ।
অর্থ: কোনো কাজে দায়িত্ব বা কর্তৃত্ব অনেক জনের হাতে গেলে কাজটি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন – অনেক জনে নেতৃত্ব দিলে শেষ পর্যন্ত কাজের সমন্বয় থাকে না, আর কাজটা ঠিকমতো হয় না।
কারণ:
-
-
“অধিক” শব্দের অর্থ অনেক বেশি (সংখ্যার অতিরিক্ততা বোঝায়)।
-
“সন্ন্যাসী” মানে যিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন।
-
“গাজন” হলো শিবের আরাধনার উৎসব।
-
অর্থ দাঁড়ায়— “অনেক সন্ন্যাসী একসাথে হলে গাজন উৎসবই নষ্ট হয়ে যায়।”
-
অন্য বিকল্পগুলো—
-
ক) “অনেক সন্ন্যাসিতে” – শুদ্ধ নয়, কারণ এখানে “অধিক” শব্দ প্রবাদে প্রচলিত।
-
গ) একই কারণে ভুল।
-
ঘ) “গান নষ্ট” বললে প্রবাদটির প্রচলিত রূপ পরিবর্তিত হয়ে যায়।
তাই শুদ্ধ বাক্য: অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট।
0
Updated: 1 month ago