আমি, তুমি ও সে
A
সবাই
B
আমাদের
C
আমরা
D
সকলে
উত্তরের বিবরণ
এই বাক্যে ‘আমি, তুমি ও সে’ একত্রে মিলিত হয়ে একটি সমষ্টিগত অর্থ প্রকাশ করে। এখানে তিনটি পৃথক সর্বনাম একসাথে ব্যবহৃত হয়ে নিত্য সমাস গঠন করেছে, যার ফলাফল একটি বহুবচন রূপ — “আমরা”।
-
আমি, তুমি ও সে — তিনটি একবচন সর্বনাম মিলে যৌথভাবে একবচন নয়, বহুবচন অর্থ প্রকাশ করে।
-
এর মাধ্যমে বোঝানো হয় সকল বক্তা ও শ্রোতাকে একত্রে নির্দেশ করা।
-
এই ধরনের গঠন ভাষায় সম্প্রক্তি বা ঐক্যবোধ প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
তাই “আমি, তুমি ও সে” মিলিয়ে সঠিক অর্থ দাঁড়ায় — “আমরা”, যা নিত্য সমাসের উদাহরণ।
0
Updated: 18 hours ago
বাক্যের মধ্যে শব্দ অবস্থান করে কীভাবে?
Created: 1 month ago
A
কর্তা ও ক্রিয়ার পদবিন্যাস অনুযায়ী
B
অর্থ ও ভাব অনুযায়ী
C
বর্গ বা গুচ্ছ আকারে
D
স্বাধীন পদের পরিচয় নিয়ে
সঠিক উত্তর হলো ক) কর্তা ও ক্রিয়ার পদবিন্যাস অনুযায়ী। বাংলায় বাক্য গঠনের ক্ষেত্রে শব্দের অবস্থান সাধারণত কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া (SOV) নিয়ম মেনে চলে, যা বাক্যের ব্যাকরণগত সঠিকতা ও অর্থ স্পষ্ট করে তোলে।
-
বাংলা বাক্যের মূল বৈশিষ্ট্য: শব্দের বিন্যাস কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া (SOV) অনুসারে হয়।
-
উদাহরণ: “রানা (কর্তা) বই (কর্ম) পড়ে (ক্রিয়া)।” এখানে কর্তা শুরুতে, কর্ম মাঝখানে এবং ক্রিয়া শেষে এসেছে।
-
অর্থ ও ভাব অনুযায়ী (খ): বাক্যের ভাব বা অর্থ শব্দ নির্বাচনে প্রভাব ফেললেও শব্দের অবস্থান মূলত পদবিন্যাসের নিয়মে নির্ধারিত হয়।
-
বর্গ বা গুচ্ছ আকারে (গ): বাক্যে বিশেষণ-বিশেষ্য বা শব্দগুচ্ছ থাকতে পারে, তবে এটি শব্দের অবস্থান নির্ধারণ করে না; অবস্থান আসে পদবিন্যাস থেকে।
-
স্বাধীন পদের পরিচয় নিয়ে (ঘ): শব্দের পদ পরিচয় (বিশেষ্য, ক্রিয়া ইত্যাদি) তাদের ভূমিকা নির্ধারণ করে, কিন্তু বাক্যে অবস্থান নির্ধারণ করে কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া বিন্যাস।
0
Updated: 1 month ago
দিক বা স্থান বা সময় নির্দেশের ক্ষেত্রে কোন চিহ্ন বসে?
Created: 1 month ago
A
সেমিকোলন
B
হাইফেন
C
কোলন
D
ড্যাস
হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন (-) সবসময় দুই বা ততোধিক শব্দের মধ্যে ব্যবহৃত হয়। বাংলা লেখায় এর ব্যবহার ভাষার অর্থ ও গঠন স্পষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এর ব্যবহারিক দৃষ্টান্তগুলো হলো—
-
সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো আলাদা করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
যেমন— হাট-বাজার, সাত-পাঁচ। -
একই শব্দ পরপর দুবার ব্যবহৃত হলে, তাদের মাঝে হাইফেন বসে।
যেমন— চলতে-চলতে কোথায় চলে যায়। যেতে-যেতে হয়রান হয়ে পড়েছি। -
দিক, স্থান বা সময় নির্দেশের ক্ষেত্রে হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
যেমন— উত্তর-পশ্চিম কোণে মেঘ জমেছে। -
কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গের পরে হাইফেন বসে।
যেমন— অ-তৎসম, কু-অভ্যাস, বে-আঙ্কেল।
0
Updated: 1 month ago
'এ মাটি সোনার বাড়া'-এ উদ্ধৃতিতে 'সোনা' কোন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?
Created: 3 months ago
A
বিশেষণের অতিশায়ন
B
রূপবাচক বিশেষণ
C
উপাদান বাচক বিশেষণ
D
বিধেয় বিশেষণ
বিশেষণের অতিশয়ন
যখন একটি বিশেষণ পদ একাধিক বিশেষ্য পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা বা পরিমাণের পার্থক্য তুলে ধরে এবং তন্মধ্যে একটি বিশেষ্যের উৎকর্ষতা বা নিকৃষ্টতা বোঝায়, তখন তাকে বিশেষণের অতিশয়ন বলা হয়।
বাংলা ভাষায় অতিশয়নের প্রয়োগ
দুটি বস্তুর মধ্যে তুলনামূলক অতিশয়ন:
বাংলায় যখন দুটি বস্তুর মধ্যে গুণ বা অবস্থা তুলনা করা হয়, তখন চাইতে, চেয়ে, হইতে, হতে, অপেক্ষা, থেকে ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়। এই ক্ষেত্রে তুলনার প্রথম উপাদানটি সাধারণত ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত থাকে এবং বিশেষণের গঠনে কোনো পরিবর্তন হয় না।
উদাহরণ:
-
ঘোড়ার দাম গরুর থেকে বেশি।
-
সিংহ বাঘের চেয়ে বলবান।
বহুবচনের মধ্যে অতিশয়ন:
একাধিকের মধ্যে যখন একটি বিশেষ্যের গুণ বা দোষ সবচেয়ে বেশি বা কম বোঝাতে হয়, তখন সবচেয়ে, সবচাইতে, সর্বাধিক, সর্বাপেক্ষা প্রভৃতি শব্দ বিশেষণের আগে বসে। এখানে বিশেষণের রূপ অপরিবর্তিত থাকে।
উদাহরণ:
-
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে করিম সবচেয়ে বুদ্ধিমান।
-
ভাইদের মাঝে বিমলই সবচাইতে বিচক্ষণ।
-
পশুর মধ্যে সিংহ সর্বাপেক্ষা বলবান।
দুটি বস্তুর মধ্যে অতিশয়নে জোর বোঝাতে:
কখনো তুলনায় জোর দিতে হলে, মূল বিশেষণের আগে অধিক, বেশি, অনেক, অল্প, কম, অধিকতর ইত্যাদি শব্দ যোগ করা হয়।
উদাহরণ:
-
গোলাপের চাইতে পদ্মফুল অনেক সুন্দর।
-
দুধ ঘিয়ের থেকে বেশি উপকারী।
-
পাতিলেবু কমলার চাইতে অল্প ছোট।
ষষ্ঠী বিভক্তি দ্বারাই অতিশয়নের কাজ:
কখনো কখনো কোনো অতিরিক্ত তুলনামূলক শব্দ না ব্যবহার করেও ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত শব্দ নিজেই তুলনার কাজ করে ফেলে।
উদাহরণ:
-
এ মাটি সোনার বাড়া। (অর্থাৎ সোনার তুলনায় বেশি মূল্যবান)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 3 months ago