‘জোঁক’ গল্পের রচয়িতা কে?
A
শওকত আলী
B
আল মাহমুদ
C
আবু ইসহাক
D
শাহেদ আলী
উত্তরের বিবরণ
‘জোঁক’ গল্পটি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টি, যার রচয়িতা আবু ইসহাক। এই গল্পে গ্রামীণ সমাজের বাস্তবতা ও মানবিক টানাপোড়েন গভীরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
গল্পটির মূল বিষয়বস্তু হলো—
• আবু ইসহাক (১৯২৬–২০০৩) ছিলেন এক বাস্তববাদী লেখক, যিনি সমাজ ও রাজনীতির অন্ধকার দিক উন্মোচন করেছেন।
• তাঁর রচনায় সাধারণ মানুষের জীবনের দুঃখ, বৈষম্য ও অন্যায়ের প্রতিবাদ প্রকাশ পেয়েছে।
• ‘জোঁক’ গল্পে শোষক ও শোষিত শ্রেণির সম্পর্ককে প্রতীকীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
• লেখকের অন্যান্য বিখ্যাত রচনা হলো ‘সূর্য-দীঘল বাড়ি’ ও ‘পদ্মা নদীর মাঝি’-ধারার মানবিক ভাবধারা অনুসরণ।
0
Updated: 19 hours ago
'প্রভাবতী সম্ভাষণ' কার রচনা?
Created: 4 months ago
A
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
রামমোহন রায়
D
কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রভাবতী সম্ভাষণ: বাংলা গদ্য সাহিত্যের প্রথম মৌলিক রচনা
বাংলা গদ্য সাহিত্যে এক অনন্য সংযোজন হলো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’। এটি কেবল বাংলা ভাষার প্রথম মৌলিক গদ্য রচনাই নয়, বরং একটি গভীর শোকগাথাও, যা লেখকের মনের আবেগের নিখুঁত প্রতিফলন। প্রিয় বন্ধু রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যা প্রভাবতীর অকাল মৃত্যু বিদ্যাসাগরের মনে যে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছিল, তারই আবেগঘন বহিঃপ্রকাশ এই রচনাটি।
ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিদ্যাসাগর-প্রসঙ্গ’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে, প্রভাবতীর মৃত্যু বিদ্যাসাগরকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়, এবং সেই বেদনাই তাঁকে এ লেখাটি রচনার প্রেরণা দেয়।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর: বাংলা নবজাগরণের অগ্রপথিক
-
জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০, পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে।
-
মৃত্যু: ২৯ জুলাই ১৮৯১, কলকাতায়।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
-
তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ছিল ‘বেতাল পঞ্চবিংশতি’ (১৮৪৭), যা বাংলা গদ্য রচনায় এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। এই বইতেই তিনি বাংলা ভাষায় প্রথমবারের মতো যতি বা বিরাম চিহ্নের ব্যবহার প্রবর্তন করেন।
-
‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’ তাঁর রচিত এমন এক মৌলিক গ্রন্থ, যা বাংলা গদ্যের আদিতে মানবিক আবেগ ও ভাষার সৌকর্যের মেলবন্ধন ঘটায়।
-
তাঁর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ব্রজবিলাস’ এবং ‘রত্নপরীক্ষা’।
তথ্যসূত্র:‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ - ড. সৌমিত্র শেখর, ‘বাংলাপিডিয়া’
0
Updated: 4 months ago
'ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' এর প্রধান লেখক ছিলেন-
Created: 5 months ago
A
কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন প্রমুখ
B
মোহাম্মদ আকরাম খাঁ, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ
C
মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রমুখ
D
কাজী ইমদাদুল হক, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী প্রমুখ
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ ছিল একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা গঠিত হয়েছিল ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রগতিশীল ও যুক্তিবাদী শিক্ষক ও ছাত্রদের উদ্যোগে।
১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়নের কক্ষে বাংলা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন, মুসলিম হলের ছাত্র এ.এফ.এম. আবদুল হক এবং ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র আবদুল কাদির। এঁরাই প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কাজী আবদুল ওদুদ এবং যুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক কাজী আনোয়ারুল কাদীর।
প্রকাশনা ও সাহিত্যচর্চা
মুসলিম সাহিত্য-সমাজের বার্ষিক মুখপত্র শিখা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে। মোট পাঁচটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল।
-
প্রথম সংখ্যা সম্পাদনা করেন আবুল হুসেন,
-
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যা কাজী মোতাহার হোসেন,
-
চতুর্থ সংখ্যা মোহাম্মদ আবদুর রশিদ এবং
-
পঞ্চম সংখ্যা সম্পাদনা করেন আবুল ফজল।
শিখা পত্রিকার মুখবাণী ছিল —
"জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।"
প্রধান লেখকবৃন্দ:
মুসলিম সাহিত্য-সমাজের উল্লেখযোগ্য লেখকরা হলেন —
-
আবুল হুসেন
-
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
-
কাজী আবদুল ওদুদ
-
আবদুল কাদির
-
আবুল ফজল
-
আনোয়ারুল কাদির প্রমুখ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 5 months ago
'তাজকেরাতুল আওলিয়া' অবলম্বনে 'তাপসমালা' কে রচনা করেন?
Created: 3 months ago
A
মুন্সী আব্দুল লতিফ
B
কাজী আকরাম হোসেন
C
গিরিশচন্দ্র সেন
D
শেখ আব্দুল জব্বার
গিরিশচন্দ্র সেন
- নরসিংদী জেলার পাঁচদোনা গ্রামে তাঁর জন্ম।
- তিনি ছিলেন ধর্মবেত্তা ও অনুবাদক।
- তিনি 'সুলভ সমাচার' ও 'বঙ্গবন্ধু' পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক এবং 'মাসিক মহিলা' পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- কেশবচন্দ্র সেন ও বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর প্রভাবে ১৮৭১ সালে তিনি ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন।
- কুরআনের বঙ্গানুবাদ বাংলা সাহিত্যে তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি।
- বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন শরীফের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন তিনি।
- সকলের নিকট তিনি ‘ভাই গিরিশচন্দ্র’ নামে পরিচিত ছিলেন।
তাঁর রচিত গ্রন্থ:
• তাপসমালা:
- গিরিশচন্দ্রের বিখ্যাত গ্রন্থ তাপসমালা।
- এটি ৯৬ জন ওলি-আউলিয়ার জীবনচরিত, যা শেখ ফরীদুদ্দীন আত্তারের ফারসি ভাষায় রচিত তাজকেরাতুল আত্তলিয়ার ভাবাদর্শে রচিত।
• তত্ত্বরত্নমালা:
- গিরিশচন্দ্রের উল্লেখযোগ্য আরেকটি গ্রন্থ হলো তত্ত্বরত্নমালা।
- এটি শেখ ফরীদুদ্দীন আত্তারের মানতেকুত্তায়েব ও মওলানা জালালউদ্দীন রূমীর মসনবী শরীফ নামক প্রখ্যাত ফারসি গ্রন্থদ্বয় থেকে সংকলিত।
- এতে নীতিকথা ও শিক্ষণীয় বিষয় ছোট ছোট গল্পের আকারে রসাত্মকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও তিনি হাদিস-পূর্ব বিভাগ শিরোনামে মিশ্কাত শরীফের প্রায় অর্ধাংশের অনুবাদ প্রকাশ করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago