‘এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি’ পঙ্ক্তির রচয়িতা কে?
A
জীবনানন্দ দাশ
B
সুকান্ত ভট্টাচার্য
C
নজরুল ইসলাম
D
শামসুল হক
উত্তরের বিবরণ
এই পঙ্ক্তিটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য-এর মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির এক অনন্য প্রকাশ। তিনি তার কবিতায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সুন্দর পৃথিবী গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
-
এই পঙ্ক্তিটি তাঁর ‘ছাড়পত্র’ কবিতা থেকে নেওয়া, যা সমাজবিপ্লব ও মানবমুক্তির বার্তা বহন করে।
-
সুকান্ত বিশ্বাস করতেন, শিশুরাই ভবিষ্যতের নির্মাতা, তাই পৃথিবীকে তাদের জন্য বাসযোগ্য করা প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব।
-
তাঁর কবিতায় দেখা যায় দুঃখী মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও স্বপ্নময় পরিবর্তনের ডাক।
-
এই ভাবধারা তাঁকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রেরণার কবি হিসেবেও বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।
0
Updated: 19 hours ago
‘মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর’- এ পঙক্তিটি কার রচনা?
Created: 5 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
শেখ ফজলুল করিম
D
শামসুর রাহমান
‘মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেই সুরাসুর’ — এই পঙ্ক্তি ফজলল করিমের রচিত ‘স্বর্গ ও নরক’ কবিতার অন্তর্গত।
-
বাঙালি মুসলমানদের ভাষাগত সঙ্কটের সময়ে ‘বাসনা’ পত্রিকা বাংলা ভাষার পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছিল।
-
এই পত্রিকার প্রধান লক্ষ্য ছিল হিন্দু-মুসলমান মিলনাকাঙ্ক্ষা প্রচার করা।
-
হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্বের সময়ে শেখ ফজলল করিম রচনা করেন ‘স্বর্গ ও নরক’ শিরোনামে একটি কবিতা।
কবিতাটির সংক্ষিপ্ত রূপ:
স্বর্গ ও নরক
শেখ ফজলল করিম
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, তা কে বহুদূর বলে?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেই সুরাসুর!
শত্রু দূর করতে যখন বিবেক জাগে আমাদের,
সেই সময় আত্মগ্লানির আগুনে পুড়ে যায় নরকের শিখা।
যখন প্রেম ও স্নেহের পবিত্র বন্ধনে আমরা মিলিত হই,
তখন আমাদের কুঁড়েঘরে স্বর্গ এসে অবস্থান নেয়।
শেখ ফজলল করিম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
-
তিনি ১৮৮২ সালে রংপুর জেলার কাকিনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
কবি, সাহিত্যিক ও সম্পাদক হিসেবে পরিচিত।
-
হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর চরিত্র ও ধর্মজীবন অবলম্বনে ‘পরিত্রাণ’ শীর্ষক কাব্য রচনা করেন।
-
সাহিত্য সেবায় নদীয়া সাহিত্য সভা তাকে ১৯১৬ সালে ‘সাহিত্যবিশারদ’ ও ১৯১৭ সালে ‘কাব্যরত্নাকর’ উপাধি প্রদান করে সম্মানিত করে।
তাঁর প্রধান কবিতাসমূহ:
-
ভগ্নবীণা
-
ভক্তি পুষ্পাঞ্জলি
-
গাঁথা
-
প্রেমের স্মৃতি
-
পথ ও পাথেয়
-
উচ্ছ্বাস
প্রধান উপন্যাস:
-
লায়লী মজনু
-
হারুন-অর-রশিদ
উৎস: বাংলাপিডিয়া, ‘স্বর্গ ও নরক’ কবিতা ও শেখ ফজলল করিম।
0
Updated: 5 months ago
“মাতৃভাষায় যাহার ভক্তি নাই সে মানুষ নহে”- উক্তিটি কার?
Created: 1 day ago
A
মুনীর চৌধুরী
B
হুমায়ুন আজাদ
C
মীর মশাররফ হোসেন
D
স্বর্ণকুমারী দেবী
এই উক্তিটি মাতৃভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও মানবিক চেতনার প্রতিফলন। লেখক বিশ্বাস করতেন, যে ব্যক্তি নিজের ভাষাকে ভালোবাসে না, সে প্রকৃত মানুষ হতে পারে না। এই ভাবনাই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর লেখায়।
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন উনিশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক।
‘আমাদের শিক্ষা’ প্রবন্ধে তিনি মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি মনে করতেন, ভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, জাতির পরিচয়ের প্রতীক।
নিজের ভাষার প্রতি ভালোবাসা হারালে জাতির আত্মপরিচয়ও বিলীন হয়ে যায়।
এই উক্তি মানুষকে মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও দায়িত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করে।
0
Updated: 1 day ago
মাতৃভাষায় যাহার ভক্তি নাই সে মানুষ নহে।'-কার উক্তি?
Created: 2 months ago
A
মীর মশাররফ হোসেনের
B
ইসমাইল হোসেন সিরাজীর
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
D
কাজী নজরুল ইসলামের
‘মাতৃভাষায় যাহার ভক্তি নাই সে মানুষ নহে।’— উক্তিটি মীর মশাররফ হোসেনের আমাদের শিক্ষা প্রবন্ধ থেকে নেওয়া হয়েছে।
মীর মশাররফ হোসেন
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন উনিশ শতকের একজন খ্যাতনামা ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তাঁকে বঙ্কিমচন্দ্র যুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী এবং বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ বলা হয়।
-
জন্ম: ১৩ নভেম্বর ১৮৪৭, কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে।
-
পিতা: মীর মোয়াজ্জেম হোসেন (একজন জমিদার)।
-
শিক্ষা: শৈশবে বাড়ির মুনশির কাছে আরবি ও ফারসি শেখার মাধ্যমে শিক্ষাজীবনের সূচনা।
-
সম্পাদনা: আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন।
সাহিত্যকর্ম
নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
টালা অভিনয়
উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
গ্রন্থ:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
আত্মজীবনীমূলক রচনা:
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
উৎসঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago