‘চানাচুর’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
A
চীনা
B
হিন্দি
C
উর্দু
D
আরবি
উত্তরের বিবরণ
‘চানাচুর’ শব্দটি হিন্দি ভাষা থেকে এসেছে। এটি মূলত মিশ্র খাবার বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা ভাজা ছোলা, মটর, মুরমুরা ও মসলা দিয়ে তৈরি করা হয়। এই শব্দের উৎপত্তি ও ব্যবহার ভারতীয় উপমহাদেশে বেশ প্রাচীন।
-
‘চানাচুর’ শব্দটি হিন্দি শব্দ ‘chanachur’ থেকে এসেছে, যার অর্থ মিশ্রিত নাস্তা।
-
বাংলায় শব্দটি গৃহীত হয়ে স্থানীয় উচ্চারণে স্থায়ী রূপ নিয়েছে।
-
এটি এখন শুধু খাবার নয়, আনন্দঘন সময়ের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়, যেমন “চানাচুরের আড্ডা”।
-
এই শব্দটি ভাষার মিশ্রণ ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক চমৎকার উদাহরণ।
0
Updated: 19 hours ago
বিভক্তিযুক্ত শব্দকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
পদ
B
প্রাতিপাদিক
C
অক্ষ
D
বাক্য
বাংলা ব্যাকরণে—
-
প্রাতিপাদিক হলো মূল শব্দ বা ধাতু, যেখানে কোনো বিভক্তি যোগ হয়নি। যেমন: ঘর, জল, মানুষ।
-
যখন প্রাতিপাদিকের সাথে বিভক্তি যোগ হয়, তখন সেই শব্দকে বলা হয় পদ। যেমন:
-
ঘরে (ঘর + এ)
-
জলে (জল + এ)
-
মানুষের (মানুষ + এর)
-
অতএব, বিভক্তিযুক্ত শব্দই পদ।
0
Updated: 1 month ago
কোন বর্ণের নিজস্ব কোন ধ্বনি নেই?
Created: 2 months ago
A
ন
B
ম
C
ঞ
D
শ
ঞ (ঞ-কার) বর্ণের ধ্বনিগত ব্যবহার
-
নিজস্ব কোনো স্বতন্ত্র ধ্বনি নেই।
-
স্বতন্ত্র অবস্থায়:
ঞ বর্ণটি সাধারণত [অঁ] ধ্বনির মতো উচ্চারিত হয়। -
সংযুক্ত ব্যঞ্জনে:
ঞ বর্ণটি [ন্] ধ্বনির মতো উচ্চারিত হয়।
উদাহরণসমূহ
-
মিঞা → [মিয়াঁ]
-
চঞ্চল → [চন্চল্]
-
গঞ্জ → [গন্জো]
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
'মৃগয়া' শব্দের মৃগ বলতে কি বোঝানো হয়?
Created: 3 weeks ago
A
বানর
B
সিংহ
C
পশু
D
বন
‘মৃগয়া’ শব্দে ‘মৃগ’ দ্বারা পশু বোঝানো হয়েছে, অর্থাৎ এখানে মৃগ বলতে হরিণ বা অন্য কোনো বন্য প্রাণীকে নির্দেশ করা হয়েছে। শব্দটি শিকার সম্পর্কিত অর্থ বহন করে, যা প্রাচীন কালে রাজা-মহারাজাদের বিনোদনের এক বিশেষ রূপ ছিল।
‘মৃগ’ শব্দের অর্থ: হরিণ, পশু।
-
‘মৃগয়া’ শব্দের অর্থ: হরিণ শিকার বা বন্য পশুপাখি শিকার।
-
‘বানর’ শব্দের অর্থ: বাঁদরসুলভ স্বভাববিশিষ্ট প্রাণী; শাখামৃগ; মর্ব।
-
‘সিংহ’ শব্দের অর্থ: মৃগেন্দ্র (অর্থাৎ পশুর রাজা); স্ত্রীলিঙ্গ রূপ — সিংহী বা শিংহি।
-
‘বন’ শব্দের অর্থ: অরণ্য, জঙ্গল, কানন, কুঞ্জ, গহন, বিপিন।
0
Updated: 3 weeks ago