‘শশব্যস্ত’ কোন সমাস?
A
অব্যয়ীভাব
B
তৎপুরুষ
C
কর্মধারয়
D
বহুব্রীহি
উত্তরের বিবরণ
‘শশব্যস্ত’ শব্দটি এমন একটি সমাস যেখানে প্রথম পদ ‘শশ’ এবং দ্বিতীয় পদ ‘ব্যস্ত’। এ দুটি পদের যোগে একটি নতুন অর্থ তৈরি হয়েছে যা মূলত কর্মধারয় সমাসের লক্ষণ বহন করে।
‘শশব্যস্ত’ অর্থ ‘শশ দ্বারা ব্যস্ত’, অর্থাৎ শশ বা খরগোশকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা বোঝায়।
প্রথম পদ ‘শশ’ বিশেষ্য, যা ক্রিয়ার বিষয়কে নির্দেশ করে।
দ্বিতীয় পদ ‘ব্যস্ত’ একটি বিশেষণ, যা ক্রিয়ার গুণ প্রকাশ করে।
দুটি পদের অর্থ অপরিবর্তিত থেকে নতুন অর্থ প্রকাশ করে বলে এটি কর্মধারয় সমাস।
অন্য বিকল্প যেমন অব্যয়ীভাব, তৎপুরুষ, ও বহুব্রীহি এই অর্থে প্রযোজ্য নয়।
0
Updated: 9 hours ago
যে সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক এবং সমস্ত পদের দ্বারা সমাহার বোঝায় তাকে বলে?
Created: 3 months ago
A
দ্বন্দ্ব সমাস
B
রূপক সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
দ্বিগু সমাস
দ্বিগু সমাস:
যে সমাসে সংখ্যাবাচক শব্দ পূর্বে বসে সমাহার/সমষ্টি বোঝায় এবং পরপদের অর্থই প্রাধান্য পায় তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
যেমন:
- নব রত্নের সমাহার = নবরত্ন।
- সপ্ত অহের সমাহার = সপ্তাহ।
অথবা, সমাহার (সমষ্টি) বা মিলনার্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
যেমন:
- ত্রি (তিন) কালের সমাহার = ত্রিকাল;
- তে (তিন) মাথার সমাহার = তেমাথা;
- শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী।
[লক্ষণীয়: পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ থাকলে, ওই শব্দ দিয়ে যদি সমাহার বা সমষ্টি না বোঝায় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তবে তা দ্বিগু সমাস নয়।]
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 3 months ago
'জলে-স্থলে' কী সমাস?
Created: 2 months ago
A
সমার্থক দ্বন্দ্ব
B
বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব
C
অলুক দ্বন্দ্ব
D
একশেষ দ্বন্দ্ব
অলুক দ্বন্দ্ব
যে দ্বন্দ্ব (যুগলবন্দি) সমাসে কোনো সমস্যা-মূলক পদকে আলাদা করা হয় না, অর্থাৎ কোনাে পদকে ভেঙে দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না, তাকে অলুক দ্বন্দ্ব বলা হয়।
উদাহরণ:
-
দুধে ও ভাতে → দুধে-ভাতে
-
জলে ও স্থলে → জলে-স্থলে
-
দেশে ও বিদেশে → দেশে-বিদেশে
-
হাতে ও কলমে → হাতে-কলমে
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ
0
Updated: 2 months ago
'কুম্ভকার' কোন সমাস?
Created: 1 month ago
A
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
B
উপপদ তৎপুরুষ
C
ব্যধিকরণ বহুব্রীহি
D
অলুক দ্বন্দ্ব
বাংলা ভাষায় উপপদ তৎপুরুষ সমাস হলো এমন একটি সমাস যেখানে কৃদন্ত পদের সঙ্গে উপপদ যুক্ত থাকে। অর্থাৎ, ক্রিয়ার অর্থপূর্ণ অংশের আগে থাকা পদটিকে উপপদ বলা হয় এবং কৃৎ-প্রত্যয় দ্বারা সমাস তৈরি হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
অগ্রে গমন করে যে → অগ্রগামী
এখানে 'গামী' স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহার হয় না। কেবল অগ্রে গামী বলা সম্ভব নয়; ব্যাক্য হবে 'অগ্রে গমন করে যে'। -
এরূপ উদাহরণ:
ধামা ধরে যে → ধামাধরা
ছেলে ধরে যে → ছেলেধরা -
উপপদ সনাক্ত করার নিয়ম:
কৃৎ-প্রত্যয়যুক্ত শব্দের আগে যদি কোন পদ থাকে, তাকে উপপদ বলা হয়। অথবা, যে পদের পরে ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎ-প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেটিও উপপদ হিসেবে গণ্য হয়।
উদাহরণ: কুম্ভকার → কুম্ভ + √কৃ + অ
এখানে 'কুম্ভ' হলো উপপদ। অর্থাৎ কুম্ভ করে যে = কুম্ভকার, যা উপপদ তৎপুরুষ সমাস।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago