‘সর্বজন’- এর বিশেষণ কি?
A
বিশ্বজন
B
ঐশ্বরিক
C
সর্বজনীন
D
বিশ্বজনীন
উত্তরের বিবরণ
‘সর্বজন’ শব্দটি এমন একটি বিশেষ্য যা সকল মানুষ বা সবার প্রতি ইঙ্গিত করে। এর গুণ বা বৈশিষ্ট্য বোঝাতে ব্যবহৃত বিশেষণ হলো ‘সর্বজনীন’, যা বোঝায়—যা সবার জন্য প্রযোজ্য বা সাধারণভাবে প্রযোজ্য।
‘সর্বজনীন’ শব্দটি ‘সর্বজন’ থেকে উদ্ভূত এবং এর অর্থ ‘সকলের অন্তর্ভুক্ত’ বা ‘সবার মধ্যে প্রচলিত’।
‘বিশ্বজন’ শব্দটি বিশ্বব্যাপী মানুষ বোঝায়, যা ভৌগোলিক বিস্তারের ধারণা দেয়, বিশেষণ নয়।
‘ঐশ্বরিক’ শব্দটি ঈশ্বরসংক্রান্ত গুণ বোঝায়, যা এখানে প্রযোজ্য নয়।
‘বিশ্বজনীন’ শব্দটি বিশ্বের ব্যাপকতা বোঝায়, কিন্তু ‘সর্বজন’-এর সরাসরি গুণ প্রকাশ করে না।
তাই ‘সর্বজন’-এর সঠিক বিশেষণ হলো ‘সর্বজনীন’।
0
Updated: 9 hours ago
বিশেষণ কার দোষ, গুণ, সংখ্যা, পরিমাণ ও অবস্থা ইত্যাদি নির্দেশ করে?
Created: 1 month ago
A
বিশেষণ ও আবেগ
B
বিশেষ্য ও বিশেষণ
C
বিশেষ্য ও অনুসর্গ
D
বিশেষ্য ও সর্বনাম
বিশেষণ হলো এমন শব্দ যা সাধারণত বিশেষ্য বা সর্বনামের গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি বোঝায়।
-
উদাহরণ: সুন্দর ফুল, বাজে কথা, পঞ্চাশ টাকা
বিশেষণের শ্রেণিবিভাগ:
-
বর্ণবাচক: রঙ নির্দেশ করে। উদাহরণ: কালো, নীল, সবুজ, লাল
-
গুণবাচক: গুণ বা বৈশিষ্ট্য বোঝায়। উদাহরণ: চালাক, ঠান্ডা
-
অবস্থাবাচক: অবস্থা নির্দেশ করে। উদাহরণ: তাজা, রোগা, চলন্ত, তরল, কঠিন
-
ক্রমবাচক: ক্রমসংখ্যা নির্দেশ করে। উদাহরণ: এক, আট
-
পূর্ণবাচক: পূর্ণসংখ্যা নির্দেশ করে। উদাহরণ: তৃতীয়, ৩৪তম
-
পরিমাণবাচক: পরিমাণ বা আয়তন নির্দেশ করে। উদাহরণ: আধা, অনেক
-
উপাদানবাচক: উপাদান নির্দেশ করে। উদাহরণ: বেলে, পাথুরে
-
প্রশ্নবাচক: প্রশ্নসংক্রান্ত অর্থ প্রকাশ করে। উদাহরণ: কেমন, কতক্ষণ
-
নির্দিষ্টবাচক: বিশেষ্যকে নির্দিষ্ট করে। উদাহরণ: এই, সেই
-
ভাববাচক: বাক্যের অন্য বিশেষণকে বিশেষিত করে। উদাহরণ: খুব, বেশ
-
বিধেয় বিশেষণ: বাক্যের বিধেয় অংশে বসে এমন বিশেষণ। উদাহরণ: পাগল, ঘোলা
0
Updated: 1 month ago
'পাঁচটি বছর' - এখানে 'পাঁচটি' কোন পদ?
Created: 1 month ago
A
বিশেষ্য
B
বিশেষণ
C
অব্যয়
D
ক্রিয়াবিশেষণ
• 'পাঁচটি বছর' - এখানে 'পাঁচটি' সংখ্যাবাচক বিশেষণ পদ।
• নাম বিশেষণ:
- যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে।
নাম বিশেষণের প্রকারভেদ:
ক. রূপবাচক: নীল আকাশ, সবুজ মাঠ, কালো মেঘ।
খ. গুণবাচক: চৌকস লোক, দক্ষ কারিগর, ঠাণ্ডা হাওয়া।
গ. অবস্থাবাচক: তাজা মাছ, রোগা ছেলে, খোঁড়া পা।
ঘ. সংখ্যাবাচক: হাজার লোক, দশ দশা, শ টাকা।
ঙ. ক্রমবাচক: দশম শ্রেণি, সত্তর পৃষ্ঠা, প্রথমা কন্যা।
চ. পরিমাণবাচক: বিঘাটেক জমি, পাঁচ শতাংশ ভূমি, হাজার টনী জাহাজ, এক কেজি চাল, দু কিলোমিটার রাস্তা।
ছ. অংশবাচক: অর্ধেক সম্পত্তি, ষোল আনা দখল, সিকি পথ।
জ. উপাদানবাচক: বেলে মাটি, মেটে কলসি, পাথুরে মূর্তি।
ঝ. প্রশ্নবাচক: কতদূর পথ? কেমন অবস্থা?
ঞ. নির্দিষ্টতাজ্ঞাপক: এই লোক, সেই ছেলে, ছাব্বিশে মার্চ।
0
Updated: 1 month ago
'ভালো' শব্দটি বিশেষণ রূপে ব্যবহৃত হয়েছে নিচের কোন বাক্যে?
Created: 1 month ago
A
আপন ভালো সবাই চায়।
B
তিনি সবসময় অন্যের ভালোর জন্য কাজ করেন।
C
ভালো বাড়ি পাওয়া কঠিন।
D
ভালো আর মন্দের মধ্যে পার্থক্য বোঝা দরকার।
বাংলা ভাষায় কিছু শব্দ একই সময়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ রূপে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে "ভালো", "মন্দ", "পুণ্য", "নিশীথ", "শীত" ইত্যাদি শব্দ দেখা যায়।
উদাহরণ:
ভালো:
-
বিশেষণ রূপে: ভালো বাড়ি পাওয়া কঠিন। (বাড়ির গুণ বা মান নির্দেশ করছে)
-
বিশেষ্য রূপে: আপন ভালো সবাই চায়। (ভালো এখানে একটি বস্তু বা ধারণা হিসেবে ব্যবহৃত)
মন্দ:
-
বিশেষণ রূপে: মন্দ কথা বলতে নেই।
-
বিশেষ্য রূপে: এখানে কী মন্দটা তুমি দেখলে?
পুণ্য:
-
বিশেষণ রূপে: তোমার এ পুণ্য প্রচেষ্টা সফল হোক।
-
বিশেষ্য রূপে: পুণ্যে মতি হোক।
নিশীথ:
-
বিশেষণ রূপে: নিশীথ রাতে বাজছে বাঁশি।
-
বিশেষ্য রূপে: গভীর নিশীথে প্রকৃতি সুপ্ত।
শীত:
-
বিশেষণ রূপে: শীতকালে কুয়াশা পড়ে।
-
বিশেষ্য রূপে: শীতের সকালে চারদিক কুয়াশায় অন্ধকার।
0
Updated: 1 month ago