এই বাক্যটি শুদ্ধ কারণ এখানে ভাষার নিয়ম, অর্থ ও গঠন একেবারে সঠিকভাবে ব্যবহার হয়েছে। “এ বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রই মনোযোগী” বাক্যে বিশেষ্য, সর্বনাম ও পদান্বয় যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন বিস্তারিতভাবে বিষয়টি দেখা যাক।
• “এ বিদ্যালয়ের” দ্বারা বোঝানো হয়েছে কোনো নির্দিষ্ট বিদ্যালয়কে। এখানে “এ” একটি নির্দেশক সর্বনাম, যা কাছের বস্তুকে নির্দেশ করে। তাই এটি ব্যাকরণগতভাবে সঠিক ব্যবহার।
• “সকল ছাত্রই” অংশে “সকল” শব্দটি একটি পরিমাণবাচক বিশেষণ, যা পুরো দলের বা গোষ্ঠীর সকল সদস্যকে নির্দেশ করে। “ছাত্র” হলো এর বিশেষ্য রূপ, আর “ছাত্রই” বলার মাধ্যমে জোর দেওয়া হয়েছে যে প্রতিটি ছাত্র মনোযোগী—অন্য কারও নয়।
• “মনোযোগী” হলো একটি গুণবাচক বিশেষণ, যা ছাত্রদের গুণ প্রকাশ করছে। এখানে বিশেষণটি বাক্যের শেষে এসে বাক্যকে পূর্ণতা দিয়েছে।
• বাক্যটিতে পদান্বয়, কর্তা, ক্রিয়া ও বিধেয়ের সঠিক সামঞ্জস্য আছে। “ছাত্রই মনোযোগী” — এখানে কর্তা “ছাত্র”, বিধেয় “মনোযোগী”, এবং “ই” অনুসর্গটি জোর বা নির্দিষ্টতা প্রকাশ করছে।
• অন্য বিকল্পগুলোতে ব্যাকরণগত ভুল আছে। যেমন—
-
“ছাত্ররাই” শব্দটি ভুল, কারণ “ছাত্ররা” এবং “ই” দুটি জোরবাচক অংশ একত্রে ব্যবহার করলে তা অতিরিক্ত জোর প্রকাশ করে এবং অপ্রয়োজনীয় হয়। সঠিক রূপ হবে শুধু “ছাত্রই”।
-
“ছাত্রইবৃন্দই” শব্দটি সম্পূর্ণ ভুল, কারণ “ছাত্রবৃন্দ” নিজেই বহুবচন অর্থ প্রকাশ করে, সেখানে আবার “ই” যোগ করলে বাক্যটি অর্থগত ও ব্যাকরণগতভাবে অসংগত হয়।
-
“কোনোটিই নয়” সঠিক হতে পারে না, কারণ একটি সঠিক বাক্য (খ) ইতিমধ্যেই বিদ্যমান।
• বাংলার বাক্যগঠন অনুযায়ী, যখন “সকল” শব্দ ব্যবহৃত হয়, তখন এর সঙ্গে “রা” বা “বৃন্দ” ব্যবহার করা অপ্রয়োজনীয়, কারণ “সকল” শব্দ নিজেই বহুবচন অর্থ প্রকাশ করে। তাই “সকল ছাত্রই” বাক্যাংশটিই যথাযথ।
• এই বাক্যটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এর অর্থগত পূর্ণতা ও ব্যাকরণগত শুদ্ধতা। এটি স্পষ্টভাবে জানায় যে বিদ্যালয়ের প্রতিটি ছাত্র মনোযোগী—এখানে কোনো অস্পষ্টতা বা দ্ব্যর্থতা নেই।
সুতরাং, “এ বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রই মনোযোগী” বাক্যটি গঠন, অর্থ ও ব্যাকরণের দিক থেকে সম্পূর্ণ শুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য।