‘দেশে বিদেশে’- লেখক-
A
সৈয়দ শামসুল হক
B
সৈয়দ মুজতবা আলী
C
ফররুখ আহমেদ
D
শওকত ওসমান
উত্তরের বিবরণ
‘দেশে বিদেশে’ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় ভ্রমণকাহিনি। এতে লেখক তার বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বিশেষত আফগানিস্তানের কাবুলে অবস্থানকালের স্মৃতি তুলে ধরেছেন সহজ ও রসিক ভাষায়।
ভ্রমণকাহিনিটি রচনা করেছেন সৈয়দ মুজতবা আলী, যিনি বাংলা গদ্যের হাস্যরসধর্মী ও প্রাঞ্জল ধারার অন্যতম লেখক।
এই বইয়ে তিনি সংস্কৃতি, সমাজ, ভাষা ও মানুষের জীবনের নানা দিক হাস্যরসাত্মকভাবে বর্ণনা করেছেন।
মূল বিষয় কাবুলে শিক্ষকতা করার সময়কার অভিজ্ঞতা, স্থানীয় মানুষের আচার-আচরণ ও জীবনযাপন।
ভাষার বৈশিষ্ট্য হলো সরলতা, রসিকতা ও প্রাণবন্ত উপস্থাপন, যা পাঠককে ভ্রমণের সঙ্গী করে তোলে।
0
Updated: 10 hours ago
'ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' এর প্রধান লেখক ছিলেন-
Created: 5 months ago
A
কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন প্রমুখ
B
মোহাম্মদ আকরাম খাঁ, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ
C
মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রমুখ
D
কাজী ইমদাদুল হক, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী প্রমুখ
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ ছিল একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা গঠিত হয়েছিল ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রগতিশীল ও যুক্তিবাদী শিক্ষক ও ছাত্রদের উদ্যোগে।
১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়নের কক্ষে বাংলা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন, মুসলিম হলের ছাত্র এ.এফ.এম. আবদুল হক এবং ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র আবদুল কাদির। এঁরাই প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কাজী আবদুল ওদুদ এবং যুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক কাজী আনোয়ারুল কাদীর।
প্রকাশনা ও সাহিত্যচর্চা
মুসলিম সাহিত্য-সমাজের বার্ষিক মুখপত্র শিখা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে। মোট পাঁচটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল।
-
প্রথম সংখ্যা সম্পাদনা করেন আবুল হুসেন,
-
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যা কাজী মোতাহার হোসেন,
-
চতুর্থ সংখ্যা মোহাম্মদ আবদুর রশিদ এবং
-
পঞ্চম সংখ্যা সম্পাদনা করেন আবুল ফজল।
শিখা পত্রিকার মুখবাণী ছিল —
"জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।"
প্রধান লেখকবৃন্দ:
মুসলিম সাহিত্য-সমাজের উল্লেখযোগ্য লেখকরা হলেন —
-
আবুল হুসেন
-
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
-
কাজী আবদুল ওদুদ
-
আবদুল কাদির
-
আবুল ফজল
-
আনোয়ারুল কাদির প্রমুখ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 5 months ago
'তাজকেরাতুল আওলিয়া' অবলম্বনে 'তাপসমালা' কে রচনা করেন?
Created: 3 months ago
A
মুন্সী আব্দুল লতিফ
B
কাজী আকরাম হোসেন
C
গিরিশচন্দ্র সেন
D
শেখ আব্দুল জব্বার
গিরিশচন্দ্র সেন
- নরসিংদী জেলার পাঁচদোনা গ্রামে তাঁর জন্ম।
- তিনি ছিলেন ধর্মবেত্তা ও অনুবাদক।
- তিনি 'সুলভ সমাচার' ও 'বঙ্গবন্ধু' পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক এবং 'মাসিক মহিলা' পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- কেশবচন্দ্র সেন ও বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর প্রভাবে ১৮৭১ সালে তিনি ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন।
- কুরআনের বঙ্গানুবাদ বাংলা সাহিত্যে তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি।
- বাংলা ভাষায় প্রথম কুরআন শরীফের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ করেন তিনি।
- সকলের নিকট তিনি ‘ভাই গিরিশচন্দ্র’ নামে পরিচিত ছিলেন।
তাঁর রচিত গ্রন্থ:
• তাপসমালা:
- গিরিশচন্দ্রের বিখ্যাত গ্রন্থ তাপসমালা।
- এটি ৯৬ জন ওলি-আউলিয়ার জীবনচরিত, যা শেখ ফরীদুদ্দীন আত্তারের ফারসি ভাষায় রচিত তাজকেরাতুল আত্তলিয়ার ভাবাদর্শে রচিত।
• তত্ত্বরত্নমালা:
- গিরিশচন্দ্রের উল্লেখযোগ্য আরেকটি গ্রন্থ হলো তত্ত্বরত্নমালা।
- এটি শেখ ফরীদুদ্দীন আত্তারের মানতেকুত্তায়েব ও মওলানা জালালউদ্দীন রূমীর মসনবী শরীফ নামক প্রখ্যাত ফারসি গ্রন্থদ্বয় থেকে সংকলিত।
- এতে নীতিকথা ও শিক্ষণীয় বিষয় ছোট ছোট গল্পের আকারে রসাত্মকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও তিনি হাদিস-পূর্ব বিভাগ শিরোনামে মিশ্কাত শরীফের প্রায় অর্ধাংশের অনুবাদ প্রকাশ করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
'স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়' চরণটি কার রচনা?
Created: 5 months ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
B
মধুসূদন দত্ত
C
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়’— এই অমর পঙ্ক্তিটি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত দেশাত্মবোধক কাব্য পদ্মিনী উপাখ্যান থেকে নেওয়া। এটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রাথমিক দেশপ্রেমবোধক কবিতা, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবীদের মধ্যে প্রেরণা জুগিয়েছিল।
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন প্রখ্যাত কবি ও সাংবাদিক। তাঁর জন্ম হয় পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বাকুলিয়া গ্রামে। ছাত্রজীবনেই তাঁর কবিতা ঈশ্বরগুপ্ত সম্পাদিত সংবাদ প্রভাকর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাঁর সাহিত্যিক যাত্রার প্রধান ও প্রথম উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি পদ্মিনী উপাখ্যান, যা ১৮৫৮ সালে প্রকাশিত হয়।
এই কাব্যটি টডের Annals and Antiquities of Rajasthan গ্রন্থের কাহিনির ওপর ভিত্তি করে রচিত একটি ঐতিহাসিক রোমান্টিক কবিতা। ইংরেজি কাব্যরীতির প্রভাবে গড়ে ওঠা এই কাব্যে রঙ্গলাল স্বাধীনতার প্রতি তাঁর গভীর আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন:
“স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়?
দাসত্বশৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় হে, কে পরিবে পায়?”
এই পঙ্ক্তিগুলি পরবর্তীতে বিপ্লবীদের মধ্যে চেতনার সঞ্চার করে।
রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্য হলো:
-
কর্মদেবী
-
শূরসুন্দরী
-
কাঞ্চী কাবেরী
এছাড়াও, তিনি কালিদাসের ঋতুসংহার ও কুমারসম্ভব-এর বাংলা পদ্যানুবাদ করেন (১৮৭২)। তাঁর নীতিকুসুমাঞ্জলি (১৮৭২) সংস্কৃত নীতিগর্ভ ও তত্ত্বমূলক কবিতার আরেকটি অনুবাদসাহিত্য।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 5 months ago