‘গবেষণা’- সন্ধি বিচ্ছেদ-
A
গো + এষণা
B
গো + ষণা
C
গ + এষণা
D
গব + এষণা
উত্তরের বিবরণ
‘গবেষণা’ শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ বুঝতে হলে এর গঠনের উৎস লক্ষ্য করতে হয়। এটি দুটি সংস্কৃত ধাতু বা শব্দাংশের মিলনে গঠিত, যার মাধ্যমে নতুন অর্থের সৃষ্টি হয়।
গো অর্থ ‘ইন্দ্রিয়’ বা ‘জ্ঞান’, আর এষণা মানে ‘অনুসন্ধান’ বা ‘অন্বেষণ’।
এই দুটি অংশ মিলেই গো + এষণা = গবেষণা, অর্থাৎ ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুসন্ধান করা বা জ্ঞান অর্জনের প্রয়াস।
এখানে স্বরসন্ধি ঘটেছে—‘ও’ এবং ‘এ’ যুক্ত হয়ে ‘অ’ ধ্বনিতে পরিবর্তিত হয়েছে, ফলে ‘গোএষণা’ → ‘গবেষণা’।
এইভাবে ‘গবেষণা’ শব্দটি জ্ঞান অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা শব্দার্থ ও ব্যাকরণ উভয় দিক থেকেই সঠিক।
0
Updated: 10 hours ago
'তৃষ্ণার্ত' এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
তৃষ্ণা + অর্ত
B
তৃষ্ণা + আর্ত
C
তৃষ্ণা + ঋত
D
তৃষ্ণা + রিত
'তৃষ্ণার্ত' এর সন্ধি বিচ্ছেদ - 'তৃষ্ণা + ঋত'।
- এটি একটি স্বরসন্ধি (তৎসম শব্দের)।
• সন্ধির নিয়ম:
অ-কার কিংবা আ-কারের পর 'ঋত'-শব্দ থাকলে (অ, আ+ঋ) উভয় মিলে 'আর' হয় এবং বানানে পূর্ববর্তী বর্ণে আ ও পরবর্তী বর্ণে রেফ লেখা হয়।
যেমন:
- অ + ঋ = আর, শীত + ঋত = শীতার্ত।
- আ + ঋ = আর, তৃষ্ণা + ঋত = তৃষ্ণার্ত।
0
Updated: 3 weeks ago
কোন শব্দটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধিতে গঠিত?
Created: 1 month ago
A
বাগীশ
B
বাগাড়ম্বর
C
দিগন্ত
D
অন্যান্য
বাংলা ভাষায় নিপাতনে বা স্বরসংযোগের মাধ্যমে গঠিত শব্দকে সিদ্ধ সন্ধি বলা হয়, যেখানে দুটি স্বরযুক্ত পদ একত্র হয়ে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে। এছাড়াও, ব্যঞ্জনসন্ধি হলো এমন সন্ধি যেখানে দুইটি ব্যঞ্জনযুক্ত পদ একত্রিত হয়ে নতুন অর্থ প্রকাশ করে।
-
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির উদাহরণ:
-
প্র + এষণ = প্রেষণ
-
কুল + অটা = কুলটা
-
পর + পর = পরস্পর
-
অন্য + অন্য = অন্যান্য
-
-
ব্যঞ্জনসন্ধির উদাহরণ:
-
দিক্ + অন্ত = দিগন্ত
-
বাক্ + আড়ম্বর = বাগাড়ম্বর
-
বাক্ + ঈশ = বাগীশ
-
0
Updated: 1 month ago
'স্বাগত' শব্দটির শুদ্ধ সন্ধি-গঠন কোনটি?
Created: 1 week ago
A
স্বা + আগত
B
সু + আগত
C
স্ব + আগত
D
সা + আগত
বাংলা ভাষায় সন্ধি হলো দুটি শব্দের মিলিত হয়ে একটি নতুন শব্দ গঠনের প্রক্রিয়া। সন্ধি-নিয়ম অনুসারে, শব্দের অংশগুলোর সংযোগে ধ্বনি পরিবর্তন বা মিলনের কারণে নতুন রূপ সৃষ্টি হয়। ‘স্বাগত’ শব্দটি একটি প্রচলিত শুভেচ্ছা বা অভ্যর্থনা প্রকাশকারী শব্দ, যা মূলত ‘সু’ + ‘আগত’ দুটি অংশ থেকে গঠিত।
এর মূল বিষয়গুলো হলো:
-
প্রথম অংশের অর্থ: ‘সু’ শব্দটি সংস্কৃত থেকে আগত এবং এর অর্থ ভালো, সু- বা শুভ বোঝায়। এটি কোনো কিছুর গুণ বা ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে।
-
দ্বিতীয় অংশের অর্থ: ‘আগত’ শব্দটি ‘আসা’ ক্রিয়ার অতীত অংশ বা রূপ, যা বোঝায় আসা বা আগমন।
-
মিলনের প্রক্রিয়া: ‘সু’ + ‘আগত’ মিলিত হয়ে ‘স্বাগত’ শব্দটি গঠন করে। এখানে ধ্বনি পরিবর্তনের ফলে ‘সু’ এবং ‘আগত’-এর সংযোগে একটি সুন্দর, উচ্চারণযোগ্য শব্দ সৃষ্টি হয়।
-
সাহিত্যিক ও দৈনন্দিন ব্যবহারে গুরুত্ব: ‘স্বাগত’ শব্দটি কেবল কথ্যভাষায় নয়, সাহিত্য ও প্রবন্ধেও অভ্যর্থনা, শুভেচ্ছা এবং অতিথি-প্রীতি প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়।
সারসংক্ষেপে, ‘স্বাগত’ শব্দটি শুদ্ধভাবে ‘সু’ + ‘আগত’ অংশের মিলনফল। এটি একদিকে আগমনের সূচনা বোঝায় এবং অন্যদিকে শুভেচ্ছা ও সৌজন্যের প্রকাশ ঘটায়। বাংলা ভাষায় এই ধরনের সন্ধি-নিয়ম শব্দকে উচ্চারণে সহজ, অর্থে সুনির্দিষ্ট এবং ব্যবহারিকভাবে কার্যকর করে তোলে।
0
Updated: 1 week ago