. বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০২৩ অনুযায়ী কোন দেশটি সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির মধ্যে?
A
আফগানিস্তান
B
মায়ানমার
C
পেরু
D
মালি
উত্তরের বিবরণ
GTI ২০২৩ অনুযায়ী, আফগানিস্তান ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে
বেশি সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে। দেশটিতে তালেবান ও
ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (IS-K) সংগঠনের কার্যক্রম, আত্মঘাতী হামলা এবং বেসামরিক
জনগণের ওপর আক্রমণ এই অবস্থানের প্রধান কারণ। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক (Global Terrorism Index - GTI) ২০২৩ প্রকাশ করেছে Institute
for Economics and Peace (IEP), যার
সদর দপ্তর সিডনি, অস্ট্রেলিয়ায়। এই সূচক বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত
ঘটনা, প্রাণহানি, ক্ষয়ক্ষতি এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ইত্যাদির ওপর ভিত্তি
করে দেশগুলোর অবস্থান নির্ধারণ করে। বর্তমানে বাংলাদেশ- ৩২তম।
0
Updated: 11 hours ago
সম্প্রতি, কোন দেশ বাংলাদেশ থেকে পাটপণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
চীন
B
ভারত
C
পাকিস্তান
D
যুক্তরাষ্ট্র
১১ আগস্ট, ২০২৫ ভারত বাংলাদেশ থেকে চার ধরনের পাটপণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানির ধরন ও পথে পরিবর্তন এসেছে।
-
বিধিনিষেধ প্রযোজ্য পণ্যগুলো হলো:
-
পাট ও পাটজাতীয় পণ্যের কাপড়
-
পাটের দড়ি বা রশি
-
পাটজাতীয় পণ্য দিয়ে তৈরি দড়ি বা রশি
-
পাটের বস্তা বা ব্যাগ
-
-
নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, এসব পণ্য ভারতে রপ্তানি করতে হলে সমুদ্রপথে মুম্বাইয়ের নভসেবা বন্দর ব্যবহার করতে হবে।
-
বর্তমানে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসব পণ্যের যে পরিমাণ রপ্তানি হয়, তার মাত্র ১ শতাংশ সমুদ্রপথে যায়, বাকিটা স্থলপথে রপ্তানি হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারত বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্যের বড় বাজার।
-
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে মোট ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে।
-
বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৩.৭৫ শতাংশ আসে ভারতের বাজার থেকে।
-
অন্যদিকে, ভারত বাংলাদেশ থেকে ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে, যার বড় অংশ শিল্পের কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য।
0
Updated: 1 month ago
P5+1 দেশগুলো ইরানের সঙ্গে যে চুক্তি করে তার নাম কী?
Created: 1 month ago
A
CWC
B
BWC
C
JCPOA
D
START-II
Joint Comprehensive Plan of Action (JCPOA), যা সাধারণভাবে ‘ইরান ডিল’ নামে পরিচিত, হলো একটি পারমাণবিক সমঝোতা চুক্তি ইরান ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য দেশ (যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স) এবং জার্মানির মধ্যে, যাকে সমন্বিতভাবে ‘পি৫ + ১’ বলা হয়। চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ১৪ জুলাই, ২০১৫ সালে এবং কার্যকর হয় ১৬ জানুয়ারি, ২০১৬ সালে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে।
-
চুক্তি অনুযায়ী, ইরান পরবর্তী ১৫ বছর পর্যন্ত ৩.৬৭% এর বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে না
-
ইতিমধ্যেই সমৃদ্ধকৃত ১০ হাজার কেজি ইউরেনিয়াম এর মধ্যে মাত্র ৩০০ কেজি ইরানের কাছে রাখা যাবে, বাকি পারমাণবিক সক্ষম ইউরেনিয়াম অন্য কোনো দেশের (যেমন রাশিয়া) কাছে হস্তান্তর করতে হবে
-
ইরান পরবর্তী ১৫ বছর পর্যন্ত এই ৩০০ কেজির চেয়ে বেশি আংশিক সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ রাখতে পারবে না
-
ইরানের ২০ হাজার পারমাণবিক কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ৫,৬০০টি কেন্দ্র পরবর্তী ১০ বছর পর্যন্ত সক্রিয় রাখা যাবে
-
সীমিত পারমাণবিক চুল্লির জন্য প্রয়োজনীয় ভারি পানি রেখে বাকি সব পানি আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করতে হবে, এবং পরবর্তী ১৫ বছর নতুন কোনো ভারি পানি উৎপাদন করা যাবে না
-
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বের হয়
-
২০২০ সালের শুরুতে ইরানও পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসে
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
BIMSTEC-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ কয়টি ছিল?
Created: 1 month ago
A
৫টি
B
৭টি
C
৪টি
D
৩টি
বিমসটেক (BIMSTEC) হলো Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation, একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংগঠন, যা দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও একীকরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঠিত।
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ৬ জুন, ১৯৯৭
-
প্রতিষ্ঠার স্থান: ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
-
সদরদপ্তর: ঢাকা, বাংলাদেশ
-
বর্তমান সদস্য দেশ সংখ্যা: ৭টি [আগস্ট, ২০২৫]
-
ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড
-
-
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ: ৪টি
-
বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড
-
-
উদ্দেশ্য: দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও একীকরণ বৃদ্ধি
ঐতিহাসিক তথ্য
-
মিয়ানমার যোগ হওয়ার পর (২২ ডিসেম্বর, ১৯৯৭) সংগঠনটি BIMST-EC নামে পুনঃনামকরণ করা হয়
-
৬ষ্ঠ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে (জুলাই ২০০৪, থাইল্যান্ড) ভুটান ও নেপাল যোগ হওয়ার পর, ৩১ জুলাই ২০০৪-এ প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে চূড়ান্ত নাম রাখা হয় BIMSTEC
উৎস:
0
Updated: 1 month ago