‘সমাস’ শব্দের অর্থ-
A
সংযোজন
B
সংশ্লেষণ
C
বিশ্লেষণ
D
সংক্ষেপণ
উত্তরের বিবরণ
‘সমাস’ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে, যার অর্থ কোনো বাক্য বা শব্দকে সংক্ষেপে প্রকাশ করা। এটি ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যেখানে একাধিক শব্দ মিলিয়ে একটি নতুন শব্দ গঠন করা হয়, কিন্তু মূল অর্থ অক্ষুণ্ণ থাকে।
সমাস শব্দের মূল অর্থ সংক্ষেপণ, অর্থাৎ অনেক শব্দের পরিবর্তে কম শব্দে একই ভাব প্রকাশ করা হয়।
সমাসে সাধারণত দুটি বা তার বেশি শব্দ যুক্ত হয়ে একটি নতুন অর্থ তৈরি করে।
উদাহরণস্বরূপ, ‘গুরুজন’ = গুরু + জন, এখানে দুটি শব্দ মিলেও অর্থে কোনো পরিবর্তন আসে না।
এছাড়া ‘রাজপুত্র’, ‘অশ্বশালা’, ‘পুষ্পবন’ প্রভৃতি শব্দও সমাসের মাধ্যমে গঠিত।
এই প্রক্রিয়ায় ভাষা হয় সংক্ষিপ্ত ও সহজবোধ্য।
0
Updated: 11 hours ago
'আলোছায়া' কোন ধরনের সমাস?
Created: 1 month ago
A
বহুব্রীহি সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
কর্মধারয় সমাস
D
দ্বন্দ্ব সমাস
'আলোছায়া' শব্দটি 'আলো ও ছায়া' থেকে গঠিত এবং এটি একটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ। দ্বন্দ্ব সমাস সেই ধরনের সমাস যেখানে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের সমান গুরুত্ব বজায় থাকে।
বিস্তারিত:
-
যে সমাসে প্রত্যেকটি পদের অর্থ সমানভাবে প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলা হয়।
-
যেমন: তাল ও তমাল = তাল-তমাল, দোয়াত ও কলম = দোয়াত-কলম। এখানে প্রতিটি পদই সমান গুরুত্ব পায়।
-
দ্বন্দ্ব সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের সম্পর্ক বোঝাতে সাধারণত ব্যাসবাক্যে এবং, ও, আর ইত্যাদি অব্যয় পদ ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: মাতা ও পিতা = মাতাপিতা।
0
Updated: 1 month ago
'ছাত্রসমাজ' শব্দটি কোন প্রক্রিয়ায় গঠিত?
Created: 2 months ago
A
উপসর্গ
B
প্রত্যয়
C
সমাস
D
বলক যোগে
‘ছাত্রসমাজ’ - শব্দটি সমাস প্রক্রিয়ায় গঠিত তৎপুরুষ সমাস।
তৎপুরুষ সমাস:
পূর্বপদের বিভক্তির লোপে যে সমাস হয় এবং যেখানে পরপদের অর্থ প্রধানভাবে বোঝায়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
উদাহরণ: ছাত্রের সমাজ = ছাত্রসমাজ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম (২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
‘বীণাপাণি’ কোন সমাস?
Created: 2 months ago
A
দ্বন্দ্ব সমাস
B
কর্মধারয় সমাস
C
তৎপুরুষ সমাস
D
বহুব্রীহি সমাস
যে বহুব্রীহি সমাসে সমস্যমান পদের দুটিই বিশেষ্যপদ হয়, তাকে বলে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস। যেমন - বীণা পানিতে যার = বীণাপাণি। আশীতে (দাঁতে) বিষ যার = আশীবিষ। দু কান কাটা যার = দুকানকাটা
0
Updated: 2 months ago