‘কষ্টে লাভ হয় যা’- এককথায়
A
সুলভ
B
দুর্লভ্য
C
দূর্লভ
D
দুর্লভ
উত্তরের বিবরণ
যে জিনিস কষ্ট ও পরিশ্রমে অর্জন করা যায়, সেটিকেই বলা হয় দুর্লভ। শব্দটি মূলত এমন কিছুকে বোঝায় যা সহজলভ্য নয় এবং অনেক চেষ্টা বা শ্রমের পর পাওয়া সম্ভব।
দুর্লভ শব্দের বিপরীত হলো সুলভ, অর্থাৎ যা সহজে পাওয়া যায়।
‘দুর্লভ্য’ শব্দটি সঠিক রূপ নয়, এটি ভুল বানান।
‘দূর্লভ’-এও ‘দূ’ ব্যবহারটি শুদ্ধ নয়; বাংলা বানান অনুযায়ী সঠিক রূপ ‘দুর্লভ’।
তাই ‘কষ্টে লাভ হয় যা’ এই বাক্যের এককথায় রূপ হবে ‘দুর্লভ’, যা কষ্টসাধ্য প্রাপ্তি বা বিরল বিষয়কে নির্দেশ করে।
0
Updated: 11 hours ago
“যা বলা হবে” এর বাক্য সংকোচন কোনটি?
Created: 19 hours ago
A
বক্তব্য
B
উক্ত
C
বাক্য
D
ভবিতব্য
‘যা বলা হবে’ শব্দগুচ্ছটি এমন একটি ক্রিয়া নির্দেশ করে যা ভবিষ্যতে উচ্চারিত বা প্রকাশিত হবে। এই ভাবটি প্রকাশ করতে ‘বক্তব্য’ শব্দটি সবচেয়ে উপযুক্ত সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
– ‘বক্তব্য’ শব্দটি ‘বক্ত’ (বলা) এবং ‘ব্য’ (অবস্থা বা বিষয়) অংশের সমন্বয়ে গঠিত, যার অর্থ দাঁড়ায় ‘বলা বিষয়’ বা ‘যা বলা হবে’।
– এটি সাধারণত বক্তৃতা, মন্তব্য বা মত প্রকাশ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
– ‘উক্ত’ মানে যা বলা হয়েছে, অর্থাৎ অতীত নির্দেশ করে, তাই এখানে সঠিক নয়।
– ‘বাক্য’ মানে একটি পূর্ণার্থক কথা বা বাক্যাংশ।
– ‘ভবিতব্য’ অর্থ ‘যা ভবিষ্যতে ঘটবে’, তাই ‘যা বলা হবে’-এর সমার্থক নয়।
অতএব, ‘যা বলা হবে’-এর সঠিক বাক্য সংকোচন হলো ‘বক্তব্য’।
0
Updated: 19 hours ago
'নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার' এক কথায় হবে-
Created: 3 months ago
A
নিদাঘ
B
নশ্বর
C
নষ্টমান
D
বিনশ্বর
• 'নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার' এক কথায় প্রকাশ হচ্ছে - নশ্বর।
অন্যদিকে,
• 'নষ্ট হওয়াই স্বভাব নয় যার' এক কথায় হবে- 'অবিনশ্বর'।
• কিছু গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ:
- 'যার বাসস্থান নেই' এক কথায় প্রকাশ - অনিকেত।
- 'স্থায়ী ঠিকানা নেই যার' এক কথায় প্রকাশ - উদ্বাস্তু।
- 'যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে' এক কথায় প্রকাশ - উদ্বাস্তু।
- 'যা চিরস্থায়ী নয়' এক কথায় প্রকাশ - নশ্বর।
- 'ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী' এক কথায় প্রকাশ - ক্ষণস্থায়ী।
- 'যা স্থায়ী নয়' এক কথায় প্রকাশ - অস্থায়ী।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 3 months ago
এক কথায় প্রকাশ কর, 'কম কথা বলে যে'-
Created: 1 week ago
A
আবাচাল
B
মিতভাষী
C
মিতভাষি
D
মিতভাসী
যে ব্যক্তি অল্প কথা বলে, তাকে মিতভাষী বলা হয়। শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘মিত’ অর্থাৎ ‘সংযমিত’ এবং ‘ভাষী’ অর্থাৎ ‘বক্তা’ থেকে। অর্থাৎ, যার কথায় সংযম আছে, যিনি প্রয়োজন ছাড়া কথা বলেন না—তিনি মিতভাষী।
মিতভাষী ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য হলো—তিনি অযথা কথা না বলে ভাবনাচিন্তা করে কথা বলেন।
তিনি সবসময় বিনয়ী, যুক্তিবোধসম্পন্ন ও শিষ্টাচারসম্পন্ন হয়ে থাকেন।
এদের কথায় পরিমিতি ও সংযম দেখা যায়, যা ব্যক্তিত্বকে আরও মর্যাদাপূর্ণ করে তোলে।
সমাজে এমন মানুষদের সাধারণত জ্ঞানী ও ভদ্র হিসেবে গণ্য করা হয়।
‘অল্প কথায় অনেক কিছু বলা’—এটাই মিতভাষীর মূল গুণ।
তাদের কথা সংক্ষিপ্ত হলেও অর্থবহ হয় এবং তা অন্যদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সাহিত্যে, নীতিকথায় এবং আচার-আচরণে মিতভাষিতা একটি মহৎ গুণ হিসেবে বিবেচিত।
অন্যদিকে, যারা বেশি কথা বলে, তাদের কথার গুরুত্ব কমে যায়; কিন্তু মিতভাষীরা তাঁদের সংযত ও চিন্তাশীল কথাবার্তার মাধ্যমে সম্মান অর্জন করেন।
অতএব, ‘কম কথা বলে যে’ তার এক কথায় প্রকাশ—মিতভাষী।
0
Updated: 1 week ago