প্রভাতফেরীতে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো…’ প্রথম গাওয়া হয় কখন?
A
১৯৬২
B
১৯৫২
C
১৯৫৪
D
১৯৫৯
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এই গানটির স্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গানটি শহীদদের স্মরণে প্রভাতফেরীর আবেগময় প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
গানটি আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি লিখেছিলেন, ভাষা শহীদদের স্মৃতিতে।
প্রথমে এটি গাওয়া হয় ১৯৫৩ সালে এক অনুষ্ঠানে।
তবে প্রভাতফেরীতে—যা ভাষা আন্দোলনের মূল প্রতীকী কর্মসূচি—গানটি প্রথম পরিবেশিত হয় ১৯৫৪ সালে।
এর সুর প্রথমে দেন আব্দুল লতিফ, পরে আলতাফ মাহমুদ তা জনপ্রিয় সুরে রূপ দেন।
এই গানটি পরবর্তীতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে।
0
Updated: 11 hours ago
‘কিন্ডারগার্টেন’ কোন ভাষা থেকে?
Created: 12 hours ago
A
ইংরেজি
B
পর্তুগিজ
C
ওলন্দাজ
D
জার্মান
‘Kindergarten’ শব্দটি এসেছে জার্মান ভাষা থেকে, যার অর্থ শিশুদের উদ্যান বা বাগান। শব্দটির গঠন ও অর্থ উভয়ই শিশু শিক্ষার ধারণার সঙ্গে সম্পর্কিত।
Kinder অর্থ শিশু বোঝায় এবং Garten অর্থ উদ্যান বা বাগান।
এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ফ্রিডরিখ ফ্রবেল (Friedrich Fröbel), যিনি আধুনিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জনক হিসেবে পরিচিত।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে শিশুরা খেলাধুলা ও আনন্দের মাধ্যমে শিখতে পারে, তাই স্কুলের পরিবেশ যেন একটি বাগানের মতো হয়।
পরবর্তীতে এই ধারণা থেকেই ইংরেজি সহ অন্যান্য ভাষায় “Kindergarten” শব্দটি গৃহীত হয়।
0
Updated: 12 hours ago
কোনটি ঠিক?
Created: 1 week ago
A
রৌদ্র করোটিতে-ভ্রমণ কাহিনী
B
রাইফেল রোটি আওরাত-নাটক
C
সোজবাদিয়ার ঘাট-সিনেমা
D
ঘর মন জানালা-উপন্যাস
“ঘর মন জানালা” একটি উপন্যাস, যা আধুনিক জীবনের জটিলতা, মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সমাজবাস্তবতার সূক্ষ্ম চিত্র তুলে ধরে। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে এটি-ই সঠিক উত্তর, কারণ অন্যান্য রচনাগুলো ভিন্ন ঘরানার সাহিত্যকর্ম।
এই উপন্যাসে লেখক মানুষের মানসিক দিক, সামাজিক অবস্থান এবং পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে উপস্থাপন করেছেন। গল্পের গঠন, ভাষা ও বর্ণনার ধরণ উপন্যাসের স্বাভাবিক রীতি অনুসারে তৈরি, যা একে অন্যান্য ঘরানার থেকে স্পষ্টভাবে পৃথক করেছে।
-
উপন্যাসের মূল বৈশিষ্ট্য হলো চরিত্র, ঘটনা ও পরিবেশের মাধ্যমে জীবনের বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরা। “ঘর মন জানালা”-তে লেখক এই তিনটি উপাদানকে দক্ষতার সঙ্গে একত্র করেছেন।
-
গল্পে বাস্তবতা ও মানসিক গভীরতার সমন্বয় রয়েছে, যা পাঠককে চরিত্রদের অনুভূতি ও সংগ্রামের সঙ্গে একাত্ম করে তোলে।
-
লেখক এখানে সমাজ ও পারিবারিক মূল্যবোধের পরিবর্তন, মানুষের একাকিত্ব এবং ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে কাহিনি বিন্যাস করেছেন, যা উপন্যাসের জন্য আদর্শ বিষয়।
-
ভাষা ও শৈলী সহজ হলেও গভীর আবেগময়। এতে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ যেমন আছে, তেমনি বাস্তব জীবনের টানাপোড়েনও ফুটে উঠেছে।
-
“ঘর মন জানালা” নামটিও প্রতীকী— ‘ঘর’ মানে পারিবারিক পরিসর, ‘মন’ মানে ব্যক্তিগত অনুভূতি, আর ‘জানালা’ মানে বাইরের জগতের দিকে মানুষের দৃষ্টিপাত। এই প্রতীকগুলোর মাধ্যমে লেখক মানুষের অন্তর্জগত ও বহির্জগতের সম্পর্ককে সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন।
-
কাহিনির অগ্রগতি ধীর এবং বাস্তবধর্মী, যা উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য। নাটক বা গল্পের মতো সংক্ষিপ্ত নয়, বরং চরিত্র ও ঘটনার পরিপূর্ণ বিকাশ রয়েছে।
-
উপন্যাসটি পাঠককে শুধু বিনোদন দেয় না, বরং চিন্তা-ভাবনার দিকেও নিয়ে যায়। এটি সামাজিক পরিবর্তন ও মানবিক মূল্যবোধের পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানায়।
অন্য বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, “রৌদ্র করোটিতে” একটি ভ্রমণকাহিনী, “রাইফেল রোটি আওরাত” একটি নাটক, এবং “সোজবাদিয়ার ঘাট” একটি চলচ্চিত্র। তাই শুধুমাত্র “ঘর মন জানালা” উপন্যাস হিসেবে সঠিক।
সবদিক বিবেচনায় বলা যায়, “ঘর মন জানালা”-ই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে উপন্যাস হিসেবে যথার্থ ও সঠিক উত্তর।
0
Updated: 1 week ago
“হরতাল” শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত?
Created: 3 days ago
A
সংস্কৃত
B
হিন্দি
C
গুজরাটি
D
উর্দু
"হরতাল" শব্দটি গুজরাটি ভাষা থেকে এসেছে এবং এর মূল অর্থ হলো “বিরতি” বা “বিক্ষোভের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো।” এটি বিশেষত রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনগুলোতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে কোনও কর্মসূচি বা কর্মস্থল বন্ধ করার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। শব্দটি মূলত গুজরাটি ভাষার "હરતા" (Harta) থেকে উদ্ভূত, যা বিরতি বা অবরোধের ধারণা প্রকাশ করে।
হরতাল শব্দটি ভারতীয় উপমহাদেশে খুবই পরিচিত, বিশেষ করে ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে। এটির ব্যবহার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতেও ব্যাপকভাবে দেখা যায়।
হরতাল কার্যক্রমের মধ্যে সাধারণত কর্মক্ষেত্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পরিবহন সেবা ইত্যাদি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এটি অনেক সময় সরকারের বিরুদ্ধে বা কোনো বিশেষ নীতি বা আইন বিরোধী প্রতিবাদ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, প্রাক্কালীন পরিবেশে হরতাল আয়োজন করা হয়েছিল একাধিক ইস্যুতে, যেমন—বিভিন্ন শ্রমিক আন্দোলন, নাগরিক অধিকার, অথবা বিশেষ আইন বিরোধী প্রতিবাদ।
গুজরাটি ভাষার মূল শব্দটির এই পরিবর্তিত রূপ "হরতাল" ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। এমনকি এ শব্দটি এমনকি বাংলা ভাষাতেও ব্যবহৃত হয়ে এসেছে এবং এর অর্থ ও প্রভাব এখন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই শব্দের ব্যবহার হিন্দি, বাংলা, এবং উর্দু ভাষাতেও লক্ষণীয়, তবে এর মূল শিকড় গুজরাটি ভাষার সাথে সম্পর্কিত।
0
Updated: 3 days ago