‘স্টপ জেনোসাইড’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের মূল বিষয়বস্তু কী?
A
মুক্তিযুদ্ধ
B
গণ অভ্যুত্থান
C
আগরতলা মামলা
D
ভাষা আন্দোলন
উত্তরের বিবরণ
‘স্টপ জেনোসাইড’ একটি ঐতিহাসিক প্রামাণ্যচিত্র, যা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানি সেনাদের নৃশংসতা তুলে ধরে। এটি জহির রায়হানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ, যা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের সত্যচিত্র প্রচারে বড় ভূমিকা রাখে।
• Stop Genocide (১৯৭১) প্রামাণ্যচিত্রে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর গণহত্যা চিত্রিত হয়।
• এতে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ পরিস্থিতি ও শরণার্থীদের দুর্দশা তুলে ধরা হয়েছে।
• এই চলচ্চিত্রটি বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে সহায়তা করে।
• জহির রায়হান চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন ভারতের শরণার্থী শিবিরে অবস্থানকালে।
• এটি মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে।
0
Updated: 11 hours ago
‘শ্যামল ছায়া’ চলচ্চিত্রটির পটভূমি কী?
Created: 3 weeks ago
A
১৯৪৭ সালের দেশভাগ
B
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ
C
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
D
১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি
‘শ্যামল ছায়া’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এক অনন্য সাহিত্য ও চলচ্চিত্রকর্ম, যার রচয়িতা ও নির্মাতা ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। এই সৃষ্টি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত, যেখানে মানবতা, ত্যাগ, ভালোবাসা ও দেশপ্রেমের গভীর চিত্র ফুটে উঠেছে।
-
‘শ্যামল ছায়া’ মূলত হুমায়ূন আহমেদের রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস, যা ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
উপন্যাসটির কাহিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত, যেখানে সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রাম, যুদ্ধের ভয়াবহতা ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা অনুপমভাবে চিত্রিত হয়েছে।
-
পরবর্তীতে এই উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে চলচ্চিত্র ‘শ্যামল ছায়া’ নির্মিত হয়, যার পরিচালনাও করেন হুমায়ূন আহমেদ।
-
চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে গভীর আবেগময় ও বাস্তবধর্মী চলচ্চিত্র হিসেবে স্থান পায়।
-
কাহিনিতে দেখা যায়—একদল সাধারণ মানুষ নদী পার হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পরিস্থিতিতে প্রতিটি মুহূর্তই হয়ে উঠছে জীবন-মৃত্যুর লড়াই।
-
এতে যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মানবিক সম্পর্ক, সহমর্মিতা ও আত্মত্যাগের চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
হুমায়ূন আহমেদ (১৯৪৮–২০১২):
-
তিনি ছিলেন কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার ও শিক্ষক—একজন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী।
-
জন্ম: নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে, মাতামহের বাড়িতে।
-
ছাত্রজীবনে লেখা ‘নন্দিত নরকে’ (১৯৭২) উপন্যাসের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে।
-
দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার’ (১৯৭৩) প্রকাশের পর তিনি দ্রুত পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেন।
-
তাঁর সাহিত্যজীবনে গল্প, উপন্যাস, নাটক, বিজ্ঞান কল্পকাহিনি, শিশুতোষ সাহিত্য ও প্রবন্ধ মিলিয়ে তিন শতাধিক গ্রন্থ রচিত হয়েছে।
-
শেষ উপন্যাস ‘দেয়াল’ (অপ্রকাশিত)–এর পটভূমি ছিল ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
১. শ্যামল ছায়া
২. আগুনের পরশমণি
৩. অনিল বাগচীর একদিন
৪. জোছনা ও জননীর গল্প
চলচ্চিত্র নির্মাণে অবদান:
-
প্রথম চলচ্চিত্র: আগুনের পরশমণি (১৯৯৫)
-
শেষ চলচ্চিত্র: ঘেটুপুত্র কমলা (২০১২)
-
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র: শ্যামল ছায়া, যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত এবং মুক্তিযুদ্ধের মানবিক দিক ও বেদনার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্যামল ছায়া’ শুধু মুক্তিযুদ্ধের একটি গল্প নয়; এটি বাংলাদেশের মানুষের আত্মত্যাগ, সাহস ও ভালোবাসার এক চিরন্তন দলিল, যা সাহিত্য ও চলচ্চিত্র—উভয় ক্ষেত্রেই ঐতিহাসিক মূল্য বহন করে।
0
Updated: 3 weeks ago