‘শীতার্ত’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ?
A
শীতা + অর্ত
B
শীতার্ত
C
শীত ঋত
D
শীত + আর্ত
উত্তরের বিবরণ
‘শীতার্ত’ শব্দটি দুটি অংশের মিলনে গঠিত, যেখানে শব্দের অর্থ ও উচ্চারণ পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন রূপ সৃষ্টি হয়েছে। এই ধরনের গঠনকে সন্ধি বলা হয়।
শীত শব্দের শেষে থাকা ‘অ’ এবং ঋত শব্দের শুরুতে থাকা ‘ঋ’ একত্রে মিলিত হয়ে ‘আর্্য’ বা ‘ঋ-কার’-এ পরিবর্তিত হয়েছে। ফলে ‘শীত’ ও ‘ঋত’ যোগে নতুন শব্দ ‘শীতার্ত’ গঠিত হয়।
এখানে অ + ঋ = আর্্য এই পরিবর্তনটি অধ্যয়সন্ধি বা গুণসন্ধি নিয়মে ঘটে।
অতএব সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ হলো শীত + ঋত = শীতার্ত।
0
Updated: 12 hours ago
'দুস্তর' শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
দুসত্ + অর
B
দুঃ + তর
C
দু + তর
D
দুস্ + তর
বিসর্গ সন্ধি নিয়ম
নিয়ম: বিসর্গ ঃ এর পর বিভিন্ন ধরনের ব্যঞ্জন থাকলে বিসর্গের ধ্বনি পরিবর্তিত হয়।
-
তালব্য ব্যঞ্জনের আগে:
-
বিসর্গ স্থলে তালব্য শিশ ধ্বনি হয়।
-
উদাহরণ:
-
দুঃ + তর = দুস্তর
-
দুঃ + থ = দুস্থ
-
-
-
মূর্ধন্য ব্যঞ্জনের আগে:
-
বিসর্গ স্থলে মূর্ধন্য শিশ ধ্বনি হয়।
-
উদাহরণ:
-
নিঃ + চয় = নিশ্চয়
-
শিরঃ + ছেদ = শিরশ্ছেদ
-
-
-
দন্ত্য ব্যঞ্জনের আগে:
-
বিসর্গ স্থলে দন্ত্য শিশ ধ্বনি হয়।
-
উদাহরণ:
-
ধনুঃ + টঙ্কার = ধনুষ্টঙ্কার
-
নিঃ + ঠুর = নিষ্ঠুর
-
-
সূত্রগুলো:
-
ঃ + ত/থ → স + ত/থ
-
ঃ + চ/ছ → শ + চ/ছ
-
ঃ + ট/ঠ → ষ + ট/ঠ
এভাবে বিসর্গের ধ্বনি পরবর্তী ব্যঞ্জনের ধ্বনির ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
‘অজন্ত’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ-
Created: 1 month ago
A
অজ্ + অন্ত
B
অচ্ + অন্ত
C
অজ্ঃ + অন্ত
D
অচ্ঃ + অন্ত
• ‘অজন্ত’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ: অচ্ + অন্ত।
-
এটি ব্যঞ্জনসন্ধির উদাহরণ।
ব্যঞ্জন ও স্বরধ্বনি যোগে গঠিত ব্যঞ্জনসন্ধির কিছু উদাহরণ:
-
প্রাক্ + উক্ত = প্রাগুক্ত
-
ণিচ্ + অন্ত = ণিজন্ত
-
অচ্ + অন্ত = অজন্ত
-
ষট্ + অঙ্গ = ষড়ঙ্গ
-
ষট্ + ঋতু = ষড়ঋতু
-
ষট্ + ঐশ্বর্য = ষড়ৈশ্বর্য
-
ষট্ + আনন = ষড়ন
-
সৎ + অর্থক = সদর্থক
-
সৎ + ইচ্ছা = সদিচ্ছা
-
মৃৎ + অঙ্গ = মৃদঙ্গ
-
অপ্ + অগ্নি = অবগ্নি
-
অপ্ + ইন্ধন = অবিন্ধন
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 1 month ago
’ভূর্ধ্ব’ শব্দের সঠিক সন্ধি-বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
ভূর্ব + উধ
B
ভূ + ঊর্ধ্ব
C
ভূ + উর্ধ্ব
D
ভু + ঊর্ধ্ব
উ-কার কিংবা ঊ-কার-এর পর আবার উ-কার বা ঊ-কার এলে, উভয় স্বরচিহ্ন মিলিত হয়ে ঊ-কারে পরিণত হয়, এবং এই ঊ-কারটি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জন ধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়ে উচ্চারিত হয়।
উদাহরণ—
– মরু + উদ্যান = মরুদ্যান
– বহু + ঊর্ধ্ব = বহূর্ধ্ব
– বধূ + উৎসব = বধূৎসব
– ভূ + ঊর্ধ্ব = ভূর্ধ্ব
এই নিয়ম বাংলা বানান ও উচ্চারণ উভয় ক্ষেত্রেই একরূপভাবে প্রযোজ্য।
0
Updated: 3 weeks ago