‘অঙ্গ জুড়ায় তোমার ছায়ায় এসে’- ‘ছায়া’ বলতে কী?
A
গাছের ছায়া
B
জন্মভূমির আশ্রয়
C
মায়ের কোল
D
জন্মভূমির প্রকৃতি
উত্তরের বিবরণ
এই পঙক্তিতে কবি গভীর মমতায় জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। ‘ছায়া’ শব্দটি এখানে আক্ষরিক নয়, বরং রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়ে জন্মভূমির আশ্রয় ও স্নেহের প্রতীক হিসেবে এসেছে।
জন্মভূমির আশ্রয় মানে এমন এক স্থান, যেখানে মানুষ নিরাপত্তা, শান্তি ও আত্মিক তৃপ্তি খুঁজে পায়।
ছায়া শব্দটি মমতার আবরণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন মা সন্তানের মাথায় স্নেহের ছায়া দেন।
এই ছায়ায় শরীর ও মন উভয়েই প্রশান্তি পায়—যা গাছের ছায়া নয়, বরং মানসিক আশ্রয়।
কবি এইভাবে জন্মভূমির মায়াময় আশ্রয়কে হৃদয়ের শান্তির প্রতীক করেছেন।
0
Updated: 12 hours ago
'নিদাঘ ' শব্দের 'নি' উপসর্গটি কোন অর্থ দ্যোতনা বুঝিয়েছে?
Created: 4 days ago
A
আতিশয্য
B
অভাব
C
নিশ্চয়
D
নিষেধ
‘নিদাঘ’ শব্দটি বাংলায় ব্যবহৃত একটি বিশেষণ যা কোনো জিনিস বা অবস্থা চরম মাত্রায়, তীব্র বা অতিরিক্ত অবস্থায় আছে তা প্রকাশ করে। এখানে মূল শব্দ হলো ‘দাঘ’, যা সাধারণ অর্থে গরম, তীব্রতা বা ক্ষয়ক্ষতির অনুভূতি বোঝায়। কিন্তু ‘নি’ উপসর্গটি মূল শব্দের আগে বসার ফলে এটি শব্দের অর্থকে শক্তিশালী, অতিরিক্ত বা অতিশয়ত্মক অর্থে প্রসারিত করেছে। অর্থাৎ, ‘নিদাঘ’ মানে চরম তীব্র, অত্যধিক প্রখর বা অতিশয় তাপযুক্ত।
‘নি’ উপসর্গটি সাধারণভাবে বাংলা ভাষায় ব্যবহার করা হয় কোনো কাজ বা গুণের পরিমাণকে বাড়িয়ে বা তীব্র করে দেখাতে। এটি মূল শব্দের অর্থকে এমনভাবে উদ্ভাসিত করে যে, শব্দটি সাধারণ বা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে অনেক বেশি মাত্রা বা প্রভাব বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, ‘নির্জন’ শব্দে ‘নি’ উপসর্গ প্রকাশ করে সম্পূর্ণ শূন্যতা বা একাকীত্ব, ‘নিস্তব্ধ’ শব্দে এটি শান্ত বা নিস্তব্ধ অবস্থার তীব্রতা বোঝায়। ঠিক একইভাবে, ‘নিদাঘ’ শব্দে ‘নি’ উপসর্গ মূল শব্দ ‘দাঘ’-কে অতিশয় প্রখর বা চরম তাপের অর্থে রূপান্তরিত করেছে।
‘নিদাঘ’ শব্দটি সাহিত্যে বা দৈনন্দিন কথ্য ভাষায় সেই পরিস্থিতি বা অনুভূতিকে প্রকাশ করে যেখানে কোনো বস্তু, অনুভূতি বা কাজ অত্যন্ত তীব্র, প্রচণ্ড বা অতিশয় মাত্রায় উপস্থিত থাকে। উদাহরণস্বরূপ, “নিদাঘ গরম” মানে হলো অত্যন্ত প্রচণ্ড গরম, “নিদাঘ ক্রোধ” মানে হলো অতিশয় রাগ বা চরম তীব্র রাগ। এই ধরনের ব্যবহার ভাষায় আবেগ, অনুভূতি বা প্রকৃতির প্রভাবকে চিত্রায়িত করতে সাহায্য করে।
‘নি’ উপসর্গের বৈশিষ্ট্য হলো এটি কোনো শব্দকে সম্পূর্ণ বা চরম মাত্রায় উপস্থাপন করতে সক্ষম। এটি শব্দকে সাধারণ থেকে উচ্চতর বা অতিশয়ত্মক মাত্রায় উন্নীত করে। উদাহরণস্বরূপ, সাধারণ গরম → নিদাঘ গরম, সাধারণ ক্রোধ → নিদাঘ ক্রোধ, সাধারণ শীত → নিদাঘ শীত। প্রতিটি ক্ষেত্রে ‘নি’ উপসর্গ মূল অর্থকে প্রবল ও তীব্র আকারে প্রকাশ করেছে।
বাংলা ব্যাকরণ এবং শব্দ গঠনের দিক থেকে ‘নি’ উপসর্গের ব্যবহার উচ্চারণ এবং অনুভূতির ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি মূল শব্দের সাথে সংযুক্ত হয়ে ভাষাকে আরও প্রাণবন্ত ও অর্থবহ করে তোলে। অতএব, ‘নিদাঘ’ শব্দের মাধ্যমে আমরা একটি ধারণা পাই যা সাধারণ শব্দের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী, তীব্র এবং চরম অবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে।
ব্যাখ্যা (পয়েন্ট আকারে):
-
‘নিদাঘ’ শব্দের মূল অর্থ হলো চরম তীব্র বা অতিশয় প্রখর।
-
‘নি’ উপসর্গটি মূল শব্দের অর্থকে বৃদ্ধি বা তীব্রতা দেয়।
-
এটি সাধারণ বা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে অত্যধিক বা চরম অবস্থার ধারণা প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: “নিদাঘ গরম” → অত্যন্ত প্রচণ্ড গরম।
-
উদাহরণ: “নিদাঘ ক্রোধ” → অতিশয় রাগ বা চরম তীব্র রাগ।
-
‘নি’ উপসর্গ সাধারণভাবে কোনো কাজ বা গুণের মাত্রা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি শব্দের অর্থকে উচ্চতর বা অতিশয়ত্মক আকারে রূপান্তরিত করে।
-
সাহিত্যে এবং দৈনন্দিন ভাষায় এটি চরম অনুভূতি বা প্রভাব দেখাতে ব্যবহৃত হয়।
-
‘নিদাঘ’ শব্দের মাধ্যমে আমরা সেই পরিস্থিতি বোঝাতে পারি যা সাধারণ চরমের চেয়ে অনেক বেশি তীব্র বা প্রখর।
-
ব্যাকরণগত দিক থেকে ‘নি’ উপসর্গ মূল শব্দের সাথে সংযুক্ত হয়ে শব্দকে প্রাণবন্ত ও অর্থবহ করে তোলে।
0
Updated: 4 days ago
‘কৃতঘ্ন’ শব্দের অর্থ কি?
Created: 6 days ago
A
যে উপকারীর অপকার করে
B
যে উপকারীর উপকার করে না
C
যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে না
D
যে উপকারীর উপকার ভুলে যায়
কৃতঘ্ন শব্দটি এমন ব্যক্তিকে বোঝায়, যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে না বা উপকারীর অপকার করে। এটি একটি অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিকে নির্দেশ করে, অর্থাৎ যে কৃতজ্ঞ নয়। অপরদিকে, কৃতজ্ঞ হলো সেই ব্যক্তি, যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
-
কৃতঘ্ন → যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে না / যে উপকারীর অপকার করে → অকৃতজ্ঞ
-
কৃতজ্ঞ → যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে → উপকার স্বীকারকারী ব্যক্তি
0
Updated: 6 days ago
'বিরাগী' শব্দের অর্থ কী?
Created: 4 months ago
A
উদাসীন
B
প্রতিকূল
C
রাগহীন
D
বিশেষভাবে রুষ্ট
বিরাগী (বিশেষণ)
-
শব্দটি সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত।
-
অর্থ হলো: উদাসীন, আসক্তিহীন এবং নিঃস্পৃহ।
-
বিরাগী শব্দের অর্থ অনুরাগী শব্দের সম্পূর্ণ বিপরীত।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।
0
Updated: 4 months ago