হরপ্রসাদ শাস্ত্রী প্রথম কোথায় থেকে ‘চর্যাপদ’ আবিষ্কার করেন?
A
নেপালের রাজদরবার
B
ভারতের গ্রন্থাকার
C
শ্রীলংকার গ্রন্থাগার
D
চীনের রাজদরবার
উত্তরের বিবরণ
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম, যিনি ‘চর্যাপদ’ আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রাচীন বাংলার সাহিত্যকে নতুন পরিচয়ে তুলে ধরেন। তাঁর এই আবিষ্কার বাংলা সাহিত্যের আদিম যুগের প্রমাণ হিসেবে মূল্যবান।
চর্যাপদ হল প্রাচীন বাংলায় রচিত বৌদ্ধ সাধকদের গীতিকাব্য, যা দীর্ঘদিন অজানাই ছিল।
১৯০৭ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের রাজগ্রন্থাগারে একটি প্রাচীন পাণ্ডুলিপি থেকে এই চর্যাগুলির সন্ধান পান।
এই পাণ্ডুলিপিতে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের লেখা ধর্মীয় ও কাব্যিক পদাবলি সংরক্ষিত ছিল।
‘চর্যাপদ’ আবিষ্কারের পরই বাংলার সহস্র বছরের সাহিত্য ঐতিহ্য উন্মোচিত হয়।
এর ফলে বাংলা ভাষার প্রাচীনতম রূপের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং শাস্ত্রীর নাম চিরস্মরণীয় হয়ে ওঠে।
0
Updated: 12 hours ago
চর্যাপদের টীকাকারের নাম কি?
Created: 1 month ago
A
মীননাথ
B
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
মুনিদত্ত
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ হলো বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এবং এটি গানের সংকলন।
-
এটিকে চর্যাগীতি, চর্যাপদ বা চর্যাচর্যবিনিশ্চয় নামেও ডাকা হয়।
-
চর্যাপদের বিষয়বস্তু মূলত বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে সাধনভজন ও আধ্যাত্মিক তত্ত্ব প্রকাশ করে।
-
চর্যাগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছিলেন।
-
১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন, যা বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন।
-
১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ চর্যাপদকে আধুনিক লিপিতে প্রকাশ করে।
-
চর্যাপদের টীকা করেন মুনিদত্ত।
-
চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র, আর ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী সেই তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 1 month ago
৫) চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে মোট কয়টি গান ছিল?
Created: 2 months ago
A
৫০
B
৫১
C
সাড়ে ৪৬
D
৪২
চর্যাপদের পদসংখ্যা
-
চর্যাপদের কিছু পাতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মোট সাড়ে ৪৬টি পদ আবিষ্কৃত হয়েছে।
-
এর মধ্যে ২৩ নম্বর পদের কেবল অর্ধেক পাওয়া গেছে।
-
২৪, ২৫ ও ৪৮ নম্বর পদ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।
-
সুকুমার সেন মনে করেন চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা ৫১টি।
-
শহীদুল্লাহ মনে করেন চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা ৫০টি।
চর্যাপদের পুঁথি সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রাপ্ত পুঁথিতে মূলত একান্নটি গান ছিল।
-
এর মধ্যে ১১ নম্বর পদ টীকাকার কর্তৃক ব্যাখ্যা করা হয়নি।
-
কিছু পাতা নষ্ট হওয়ায়—
-
তিনটি সম্পূর্ণ পদ (২৪, ২৫ ও ৪৮) হারিয়ে গেছে।
-
একটি পদ (২৩) কেবল আংশিকভাবে পাওয়া গেছে।
-
-
তাই মোট পাওয়া পদের সংখ্যা দাঁড়ায় সাড়ে ছেচল্লিশটি।
-
পুঁথিটির লিপিকাল সম্পর্কে দুইটি মত আছে—
-
বারো থেকে ষোড়শ শতকের মধ্যে।
-
কারও মতে, ১১৯৯ সালে লিপিকৃত পঞ্চাকার পুঁথির লিপির সঙ্গে মিল থাকায় বার শতক (১২শ শতক) হতে পারে।
-
-
চর্যার পুঁথি বাংলা অক্ষরে লেখা।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 2 months ago
কোন শাসকদের আমলে চর্যাপদ রচিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়?
Created: 1 month ago
A
মৌর্য
B
গুপ্ত
C
সেন
D
পাল
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি, যা পাল শাসকদের আমলে রচিত হয় বলে ধারণা করা হয়। এটি মূলত বৌদ্ধ সহজিয়া সম্প্রদায়ের সাধক-কবিদদের আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক চিন্তা ও সাধারণ জনজীবনের অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ প্রকাশ করে। চর্যাপদ রচনার সময়কাল প্রধানত ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দী, যা পাল বংশের শাসনকালের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
চর্যাপদ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
চর্যাপদ রচনার সময়কাল ধরা হয় ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দী, পাল শাসনকালীন।
-
পাল শাসকরা বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
-
চর্যাপদগুলো রচিত হয় বৌদ্ধ সহজিয়া সম্প্রদায়ের সাধক-কবিদদের দ্বারা, যেখানে আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ভাবনার সঙ্গে সাধারণ জনজীবনের উপাদান মিশ্রিত ছিল।
-
১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের প্রধান কবিরা হলেন: সরহপা, শবরপা, লুইপা, ডোম্বীপা, ভুসুকুপা, কাহ্নপা, কুক্কুরীপা, মীনপা, আর্যদেব, ঢেণ্ঢনপা প্রমুখ।
-
চর্যাপদ শুধুমাত্র প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন নয়, এটি প্রাচীন বাংলা গানেরও নিদর্শন।
0
Updated: 1 month ago