‘পাঠক’- প্রকৃতি ও প্রত্যয়
A
পাঠ্য + ণক
B
পাঠ + অক
C
পঠ + অনক
D
পঠ্ + ণক
উত্তরের বিবরণ
‘পাঠক’ শব্দের গঠনে মূল ধাতু ও প্রত্যয়ের সঠিক সংযোজন বোঝা জরুরি। এই শব্দটি এসেছে ধাতু ‘পঠ্’ থেকে, যার অর্থ পড়া। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রত্যয় ‘ণক’, যা কর্মকারী বা কর্তার ভাব প্রকাশ করে।
পঠ্ ধাতুর অর্থ হলো ‘পড়া’ বা ‘পাঠ করা’।
ণক প্রত্যয় যোগে শব্দটি ‘যিনি পাঠ করেন’ অর্থে ‘পাঠক’ হয়।
পাঠক শব্দে কর্ম সম্পাদনকারী ব্যক্তির ধারণা প্রকাশ পায়, যেমন পাঠক বই পড়ে বা শ্রবণ করে।
এটি একটি তদ্ধিত শব্দ, কারণ এখানে ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন অর্থ সৃষ্টি করেছে।
সুতরাং, সঠিক গঠন হলো ‘পঠ্ + ণক’, যা থেকে ‘পাঠক’ শব্দটি গঠিত হয়েছে।
0
Updated: 13 hours ago
'নেতা' শব্দের প্রকৃতি -প্রত্যয় কোনটি?
Created: 6 days ago
A
নি+তৃ
B
নী+তা
C
নে+তাই
D
নৃ+তা
“নেতা” শব্দটি বাংলা ভাষায় একটি সাধারণ এবং বহুল ব্যবহৃত শব্দ, যা সাধারণত কোন দল, সমাজ বা রাষ্ট্রের নেতৃত্বকারী ব্যক্তিকে বোঝায়। এটি একটি সংকর শব্দ, যা মূলত দুটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত—মূল শব্দ (নী) এবং প্রত্যয় (তা)। এখানে প্রত্যয় “তা” যোগ করার মাধ্যমে মূল অর্থে পরিবর্তন বা নির্দিষ্টতা আনা হয়েছে।
শব্দ গঠন ও প্রকৃতি
-
মূল শব্দ: “নী”
-
“নী” হলো শব্দের মূল অংশ।
-
এটি নেতৃত্ব বা পরিচালনার ধারণা প্রকাশ করে।
-
বাংলা ব্যাকরণের নিয়মে, অনেক শব্দের মূল অংশ স্বাধীনভাবে অর্থ বহন করতে পারে, তবে কখনো কখনো তা সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করে না।
-
-
প্রত্যয়: “তা”
-
“তা” একটি বহুল ব্যবহৃত নামের বা অব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত প্রত্যয়।
-
এটি মূল শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যক্তি, অবস্থা বা গুণের নাম নির্ধারণ করে।
-
উদাহরণ:
-
নেতা = নী + তা → নেতৃত্বকারী ব্যক্তি
-
শান্তি = শান্ত + তা → শান্ত থাকার অবস্থা
-
বিদ্যা = বিদ + তা → জ্ঞান বা শিক্ষার অবস্থা
-
-
-
সংকর গঠন:
-
“নী” মূল অর্থ বহন করছে, কিন্তু এটি একা ব্যবহার করলে নেতৃত্বের ধারণা সম্পূর্ণ প্রকাশ পায় না।
-
“তা” যোগ করার ফলে এটি নাম বা পদবী হিসেবে নির্দিষ্ট অর্থ পায়।
-
এই ধরনের গঠন বাংলায় খুবই সাধারণ।
-
“নেতা” শব্দের ব্যবহার
-
সমাজ ও রাজনীতিতে:
-
নেতা হলো সেই ব্যক্তি যিনি সমাজ বা দলের নির্দেশনা ও নেতৃত্ব দেন।
-
উদাহরণ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন মহান নেতা।
-
-
শিক্ষার ক্ষেত্রে:
-
স্কুল বা কলেজে শিক্ষার্থীরা বোঝায় নেতৃত্বমূলক চরিত্র।
-
উদাহরণ: ক্লাসের ছাত্রনেতা সকলকে সমন্বয় করে।
-
-
সাধারণ ব্যবহার:
-
দৈনন্দিন কথ্য ভাষায় নেতা বলতে বোঝায় যে ব্যক্তি গোষ্ঠীর দিক নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: গ্রামের নেতা সকল সমস্যার সমাধান করেন।
-
ব্যাকরণগত বিশ্লেষণ
-
“নেতা” হলো নামের শব্দ (noun)।
-
এটি পুরুষ বা নারী উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তবে সাধারণত পুরুষকে বোঝানো হয়।
-
শব্দের ধরণ:
-
মূল শব্দ + প্রত্যয় = “নী” + “তা”
-
মূল অর্থ: নেতৃত্ব
-
প্রত্যয় অর্থ: ব্যক্তিত্ব বা পদবী নির্ধারণ
-
শেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
-
বাংলা ভাষায় প্রত্যয় শব্দের শেষে যোগ করে মূল অর্থকে নির্দিষ্ট বা বিশেষ করা হয়।
-
“তা” হলো সবচেয়ে সাধারণ নাম গঠনের প্রত্যয়, যা বিশেষভাবে ব্যক্তি বা অবস্থার নাম প্রকাশ করে।
-
অন্য উদাহরণ:
-
গুণ + তা = গুণতা → গুণের অবস্থা
-
সেবা + তা = সেবতা → সেবা প্রদানকারী ব্যক্তি
-
শক্তি + তা = শক্ততা → শক্তির অবস্থা
-
পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি
-
যখন প্রশ্ন আসে “নেতা শব্দের প্রকৃতি” বা “প্রত্যয় কী?”, মনে রাখবেন:
-
মূল শব্দ: নী
-
প্রত্যয়: তা
-
গঠন: মূল + প্রত্যয়
-
-
এটি সহজে লেখা যায় বাক্যে:
-
নেতা শব্দটি গঠিত হয়েছে মূল শব্দ নী এবং প্রত্যয় তা যোগ করে।
-
-
প্রশ্নে কখনো “শব্দ বিশ্লেষণ” বা “নাম গঠন” চাওয়া হতে পারে।
-
মূল ভাব বোঝা গুরুত্বপূর্ণ: নেতা মানে নেতৃত্বকারী ব্যক্তি।
0
Updated: 4 days ago
‘মেধাবী’ শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয়:
Created: 19 hours ago
A
মেধা + বিন
B
মেধা + বি
C
মেধা + বী
D
মেধা + আবী
‘মেধাবী’ শব্দটি মূলত ‘মেধা’ শব্দের সঙ্গে ‘বিন’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে। এখানে প্রত্যয়টি বিশেষণ তৈরি করে এবং কোনো গুণ বা বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে। এই ধরনের গঠন বাংলা ব্যাকরণের প্রকৃতি-প্রত্যয় প্রক্রিয়ায় সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
‘বিন (বী)’ প্রত্যয় ‘আছে’ বা ‘অধিকারী’ অর্থে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি বিশেষণ গঠনে ব্যবহৃত হয়, যেখানে মূল শব্দের গুণ প্রকাশ পায়।
-
উদাহরণস্বরূপ: মায়া + বিন্ = মায়াবী, অর্থাৎ যার মধ্যে মায়া আছে।
-
একইভাবে, মেধা + বিন্ = মেধাবী, অর্থাৎ যার মধ্যে মেধা আছে।
-
আরও উদাহরণ: যশঃ + বিন্ = যশস্বী, তেজঃ + বিন্ = তেজস্বী।
-
তাই ‘মেধাবী’ শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয় হচ্ছে মেধা + বিন।
0
Updated: 19 hours ago
প্রত্যয়গতভাবে শুদ্ধ কোনটি?
Created: 5 months ago
A
উৎকর্ষতা
B
উৎকর্ষ
C
উৎকৃষ্ট
D
উৎকৃষ্টতা
অপশনে দ্বৈত উত্তর রয়েছে
• উৎকর্ষ (বিশেষ্য পদ)
এই শব্দটি কৃৎ-প্রত্যয়ে গঠিত (উৎ + √কৃষ্ + অ) রূপে।
তবে, এর সঙ্গে যদি ‘তা’ (বিশেষ্য) প্রত্যয় যোগ করা হয়, তাহলে গঠিত হয় ‘উৎকর্ষতা’। কিন্তু এটি দ্বিত্বপ্রয়োগজনিত বাহুল্য দোষে দুষ্ট, কারণ ‘উৎকর্ষ’ নিজেই একটি পরিপূর্ণ বিশেষ্য। অতএব, ‘উৎকর্ষতা’ শব্দটি শুদ্ধ নয়।
• উৎকৃষ্ট (বিশেষণ পদ)
এটি গঠিত হয়েছে (উৎ + √কৃষ্ + ত) রূপে, অর্থাৎ এটি কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত একটি বিশেষণ।
এই ‘উৎকৃষ্ট’ শব্দের সঙ্গে ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত হলে গঠিত হয় ‘উৎকৃষ্টতা’, যা একটি বিশুদ্ধ বিশেষ্য পদ। এটি ‘উৎকর্ষ’ শব্দের সমার্থক হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
সারসংক্ষেপে
প্রদত্ত উদাহরণে কেবল ‘উৎকর্ষতা’ শব্দটি শুদ্ধ নয়।
শুদ্ধ কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দ দুটি হলো—
১. উৎকর্ষ (উৎ + √কৃষ্ + অ)
২. উৎকৃষ্ট (উৎ + √কৃষ্ + ত)
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।
0
Updated: 5 months ago