‘ব্যাকরণ’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ-
A
বিশেষভাবে বিশ্লেষণ
B
সাধারণ সংশ্লেষণ
C
বিশেষভাবে সংযোজন
D
সাধারণ বিশ্লেষণ
উত্তরের বিবরণ
‘ব্যাকরণ’ শব্দটি ভাষার শুদ্ধতা, শৈলী ও গঠন বোঝার মৌলিক ভিত্তি। এটি শব্দ, ধ্বনি, ও বাক্য গঠনের নিয়ম ব্যাখ্যা করে। ব্যুৎপত্তিগতভাবে শব্দটি দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে এর প্রকৃত অর্থ প্রকাশ করে।
‘ব্যা’ উপসর্গের অর্থ ‘বিশেষভাবে’ এবং ‘করণ’ অর্থ ‘করা’ বা ‘বিশ্লেষণ করা’।
ব্যা + করণ = ব্যাকরণ, অর্থাৎ ভাষাকে বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করা।
এর দ্বারা বোঝায় ভাষার বিভিন্ন উপাদান যেমন ধ্বনি, শব্দ, বাক্য ইত্যাদির নিয়মিত পর্যালোচনা।
ব্যাকরণের সাহায্যে ভাষার শুদ্ধ রূপ নির্ধারিত হয় এবং তা ব্যবহারে নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হয়।
তাই ব্যুৎপত্তিগতভাবে ‘ব্যাকরণ’-এর অর্থ বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।
0
Updated: 13 hours ago
৬) 'থলে' শব্দে 'থ' কোন ধরনের স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন?
Created: 2 months ago
A
তালু স্পৃষ্ট
B
কণ্ঠ স্পৃষ্ট
C
দন্ত স্পৃষ্ট
D
ওষ্ঠ স্পৃষ্ট
স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন (Plosive Consonants)
সংজ্ঞা:
যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় দুটি বাক্প্রত্যঙ্গ পরস্পরের সংস্পর্শে এসে বায়ুপথে বাধা তৈরি করে, সেগুলোকে স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন বা স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি বলা হয়।
উদাহরণ:
-
ফল, থলে, ঠাণ্ডা, ছুরি, খেলা – এখানে ফ, থ, ঠ, ছ, খ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জনধ্বনি।
উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী শ্রেণীবিভাগ:
-
ওষ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: প, ফ, ব, ভ
-
দন্ত স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ত, থ, দ, ধ
-
মূর্ধা স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ট, ঠ, ড, ঢ
-
তালু স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: চ, ছ, জ, ঝ
-
কণ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ক, খ, গ, ঘ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
'আড়কোলা' শব্দে 'আড়' কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
আধা
B
বক্র
C
সমূহ
D
বিশিষ্ট
বাংলা ভাষায় ‘আড়’ উপসর্গ বিভিন্ন অর্থ প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়, যা মূল শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অর্থকে সম্প্রসারিত বা নির্দিষ্ট করে। এটি প্রায়শই ‘বক্র’, ‘আধা/প্রায়’ এবং ‘বিশিষ্ট’ অর্থে ব্যবহৃত হয়।
-
‘বক্র’ অর্থে ব্যবহৃত উদাহরণ:
-
আড়চোখে, আড়নয়নে
-
-
‘আধা’ বা ‘প্রায়’ অর্থে ব্যবহৃত উদাহরণ:
-
আড়ক্ষ্যাপা, আড়মোড়া, আড়পাগলা
-
-
‘বিশিষ্ট’ অর্থে ব্যবহৃত উদাহরণ:
-
আড়কোলা (পাথালিকোলা), আড়গড়া (আস্তাবর), আড়কাঠি
-
বাংলা উপসর্গসমূহ: বাংলা ভাষায় মোট একুশটি উপসর্গ রয়েছে। এগুলো হলো:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
0
Updated: 1 month ago
‘অনির্বচনীয়’ শব্দটির অর্থ-
Created: 19 hours ago
A
সুনিশ্চিত
B
নির্বাচনযোগ্য
C
বর্ণনাতীত
D
অনিশ্চিত
‘অনির্বচনীয়’ শব্দটি এমন কিছু বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যা ভাষায় সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা যায় না। এটি সাধারণত অতুলনীয়, গভীর বা অলৌকিক অনুভূতির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেখানে কথা বা বর্ণনা অপ্রতুল হয়ে পড়ে।
অন্ (না) অর্থে ‘না’, নির্বচন মানে ‘বচন’ বা ‘বর্ণনা’, আর ঈয় প্রত্যয় যোগে গঠিত হয়েছে অনির্বচনীয়।
অর্থ: যা বর্ণনাতীত, অর্থাৎ কথায় প্রকাশ করা যায় না।
ব্যবহার: যেমন— “তার সৌন্দর্য সত্যিই অনির্বচনীয়।”
সমার্থক শব্দ: অবর্ণনীয়, অপ্রকাশ্য।
বিপরীত শব্দ: বর্ণনীয় বা প্রকাশযোগ্য।
এইভাবে শব্দটির অর্থ ও গঠন উভয়ই ইঙ্গিত দেয় যে এটি এমন কিছুকে বোঝায় যা ভাষার সীমা অতিক্রম করে।
0
Updated: 19 hours ago