ধ্বনি হলো-
A
অর্থবোধক শব্দসমটি
B
ভাষার লিখিত শব্দ
C
দুটি শব্দের মিলন
D
ভাষার ক্ষুদ্রতম অংশ
উত্তরের বিবরণ
ধ্বনি ভাষার গঠনমূলক একক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি শব্দের ভিত্তি তৈরি করে, যদিও নিজে কোনো অর্থ প্রকাশ করে না। ভাষার প্রতিটি শব্দই একাধিক ধ্বনির সমন্বয়ে গঠিত।
ধ্বনি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—
-
ধ্বনি ভাষার ক্ষুদ্রতম একক, যা উচ্চারণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
-
এটি অর্থবোধক নয়, তবে শব্দ গঠনের জন্য অপরিহার্য।
-
ধ্বনির সমন্বয়ে শব্দ তৈরি হয়, আর শব্দের সমন্বয়ে বাক্য গঠিত হয়।
-
ধ্বনিকে মূলত স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি—এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
-
ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ ও শব্দার্থ নির্ধারণে ধ্বনির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 13 hours ago
বাংলায় বর্গীয় ধ্বনি কয়টি?
Created: 2 weeks ago
A
১০টি
B
১৫টি
C
২০টি
D
২৫টি
0
Updated: 2 weeks ago
'তুলা > তুলো' কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 2 months ago
A
পরাগত স্বরসঙ্গতি
B
প্রগত স্বরসঙ্গতি
C
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি
D
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি
স্বরসঙ্গতি
সংজ্ঞা:
-
একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অন্য স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলা হয়।
-
উদাহরণ: দেশি → দিশি, বিলাতি → বিলিতি, মুলা → মুলো।
প্রকারভেদ:
-
প্রগত স্বরসঙ্গতি:
-
আদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হলে।
-
উদাহরণ: মুলা → মুলো, শিকা → শিকে, তুলা → তুলো।
-
-
পরাগত স্বরসঙ্গতি:
-
অন্ত্যস্বরের কারণে আদ্যস্বর পরিবর্তিত হলে।
-
উদাহরণ: আখো → আখুয়া → এখো, দেশি → দিশি।
-
-
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি:
-
আদ্যস্বর ও অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বর পরিবর্তিত হলে।
-
উদাহরণ: বিলাতি → বিলিতি, জিলাপি → জিলিপি।
-
-
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি:
-
আদ্য ও অন্ত্য দুই স্বরই পরস্পর প্রভাবিত হলে।
-
উদাহরণ: মোজা → মুজো।
-
চলিত বাংলায় স্বরসঙ্গতি:
-
গিলা → গেলা, মিলামিশা → মেলামেশা, মিঠা → মিঠে, ইচ্ছা → ইচ্ছে।
-
বিশেষ ক্ষেত্রে:
-
পূর্বস্বর উ-কার হলে পরবর্তী স্বর ও-কার হয়: মুড়া → মুড়ো, চুলা → চুলো।
-
বিশেষ নিয়মে: উড়ুনি → উড়নি, এখনি → এখুনি।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম–দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
'ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব' গ্রন্থের রচয়িতা -
Created: 3 months ago
A
মুহম্মদ আবদুল হাই
B
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
C
মুনীর চৌধুরী
D
মুহম্মদ এনামুল হক
• মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত ধ্বনিবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের নাম - ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব।
• ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব:
- বাংলা ভাষার ধ্বনির গঠন, উচ্চারণ ও ব্যবহারবিধি সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা-বিশেষণ দিয়ে রচিত।
- তাঁর ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব গ্রন্থটি মুহম্মদ আবদুল হাইকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি দান করে।
- ভাষাতত্ত্বের মৌলিক বিষয় নিয়ে এরূপ উচ্চমানসম্পন্ন গবেষণাগ্রন্থ দুই বাংলার মধ্যে তিনি প্রথম রচনা করেন।
- ধ্বনিবিজ্ঞানী হিসেবে গ্রন্থটি তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়।
--------------------------
• মুহম্মদ আবদুল হাই:
- মুহম্মদ আবদুল হাই একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, গবেষক, ভাষাবিজ্ঞানী।
- তিনি ২৬ নভেম্বর ১৯১৯ সালে মুর্শিদাবাদের রাণীনগর থানার মরিচা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
- তাঁর রচিত গ্রন্থ ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব (১৯৬৪)।
• মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত গ্রন্থ:
- সাহিত্য ও সংস্কৃতি,
- তোষামোদ ও রাজনীতির ভাষা,
- ভাষা ও সাহিত্য,
- ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব,
- বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত প্রভৃতি।
----------------------
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আরো কিছু গ্রন্থ:
• বাংলা সাহিত্যের কথা - ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
• বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা (২ খণ্ড) - গোপাল হালদার।
• শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
• ধ্বনিবিজ্ঞান ও ভাষাতত্ত্ব- মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
• বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য - আহমদ শরীফ।
• বঙ্গভাষা ও সাহিত্য - ড. দীনেশচন্দ্র সেন।
0
Updated: 3 months ago