‘বিচ্ছেদ’ শব্দটি সন্ধি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত একটি যৌগিক শব্দ, যেখানে দুটি ধ্বনিগত অংশ মিলিত হয়ে নতুন অর্থ প্রকাশ করে। এখানে শব্দটির গঠন বিশ্লেষণ করলে মূল উপাদান ও সংযোজনের নিয়ম স্পষ্ট হয়।
• মূল দুটি অংশ হলো “বি” এবং “ছেদ”।
• “বি” উপসর্গটি যোগ হলে মূল শব্দের অর্থে ‘পৃথক’ বা ‘আলাদা করা’ ভাব প্রকাশ পায়।
• “ছেদ” শব্দের অর্থ হলো কাটা বা বিভাজন।
• এই দুই অংশের মিলনে “বি + ছেদ = বিচ্ছেদ” হয়েছে, যার অর্থ ‘বিচ্ছিন্নতা’ বা ‘পৃথক হওয়া’।
• ধ্বনিগত কারণে এখানে চ্চ ধ্বনি উৎপন্ন হয়েছে, যা সন্ধি-নিয়ম অনুযায়ী স্বাভাবিক।
অতএব, “বিচ্ছেদ” শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ হলো বি + ছেদ।
‘বিচ্ছেদ' শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
A
বিচ + ছেদ
B
বি + ছেদ
C
বিচঃ + ছেদ
D
বিঃ + ছেদ
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 12 hours ago
Related MCQ
সন্ধি ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 1 month ago
A
ধ্বনিতত্ত্বে
B
রূপতত্ত্বে
C
বাক্যতত্ত্বে
D
অর্থতত্ত্বে
সব ভাষার ব্যাকরণের প্রধানত চারটি বিষয়ের আলোচনা হয় ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব এবং অর্থতত্ত্ব। সন্ধি ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্ব অংশে আলোচিত হয়।
ধ্বনির উচ্চারণ প্রণালী, উচ্চারণের স্থান, বর্ণ বিন্যাস, ধ্বনি সংযোগ বা সন্ধি, ধ্বনির পরিবর্তন ও লোপ, ণত্ব ও ষত্ব বিধান ইত্যাদি ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
0
Updated: 1 month ago
'মস্যাধার' এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ -
Created: 1 month ago
A
মৎস + আধার
B
মসা + আধার
C
মসি + আধার
D
মসী + আধার
‘মস্যাধার’ এর সন্ধি-বিচ্ছেদ:
-
মস্যাধার = মসী + আধার
সূত্র (য-ফলা):
ই-কার (ই/ঈ) এবং পরবর্তী স্বর ভিন্ন হলে ই বা ঈ স্থানে য (য-ফলা) আসে। য-ফলা লেখার সময় পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে লেখা হয়।
উদাহরণসমূহ:
-
ই + অ = য্ + অ → অতি + অন্ত = অত্যন্ত
-
ই + আ = য্ + আ → ইতি + আদি = ইত্যাদি
-
ই + উ = য্ + উ → অতি + উক্তি = অত্যুক্তি
-
ই + ঊ = য্ + ঊ → প্রতি + ঊষ = প্রত্যূষ
-
ঈ + আ = য্ + আ → মসী + আধার = মস্যাধার
-
ই + এ = য্ + এ → প্রতি + এক = প্রত্যেক
-
ঈ + অ = য্ + অ → নদী + অম্বু = নদ্যম্বু
অন্যান্য উদাহরণ:
প্রত্যহ, অত্যধিক, গত্যন্তর, প্রত্যাশা, প্রত্যাবর্তন, আদ্যন্ত, যদ্যপি, অভ্যুত্থান, অত্যাশ্চর্য, প্রত্যুপকার ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
"মহৌৎসুক্য' শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
মহা + ওৎসুক্য
B
মহ + ঔৎসুক্য
C
মহা + ঔৎসুক্য
D
মহঃ + ঔৎসুক্য
সন্ধির নিয়ম অনুযায়ী, যখন প্রথম পদের শেষে অ-ধ্বনি বা আ-ধ্বনি এবং দ্বিতীয় পদের শুরুতে ও-ধ্বনি বা ঔ-ধ্বনি থাকে, তখন তাদের সংযোগে ঔ-ধ্বনি সৃষ্টি হয়। বানানে এটি ঔ-কারের রূপে প্রকাশিত হয়ে আগের বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়।
উদাহরণসমূহ:
-
আ + ঔ = ঔ
-
মহা + ঔৎসুক্য = মহৌৎসুক্য
-
মহা + ঔদার্য = মহৌদার্য
-
মহা + ঔদাস্য = মহৌদাস্য
-
-
অ + ঔ = ঔ
-
পরম + ঔষধ = পরমৌষধ
-
চিত্ত + ঔদার্য = চিত্তৌদার্য
-
দিব্য + ঔষধ = দিব্যৌষধ
-
0
Updated: 4 weeks ago