জীবনানন্দ দাশকে 'নির্জনতার কবি' আখ্যা দিয়েছেন কে?
A
বুদ্ধদেব বসু
B
বিষ্ণু দে
C
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরের বিবরণ
জীবনানন্দ দাশ বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কবি, যিনি প্রকৃতি, জীবন ও মানবমনের গভীর অনুভূতি তার কাব্যে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর কবিতায় প্রায়শই নির্জনতা, একাকীত্ব এবং ভাবনার গভীরতা প্রকাশ পেয়েছে। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশিষ্ট সাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসু তাঁকে ‘নির্জনতার কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
জীবনানন্দের কাব্যে সরল ভঙ্গি, প্রকৃতির সঙ্গে মিলন এবং মানব জীবনের একাকীত্বের চিত্র অসাধারণভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তাঁর প্রবন্ধ ও কবিতায় নির্জনতার অনুভূতি শুধুমাত্র একাকীত্ব নয়, বরং আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক গভীরতার প্রতিফলন। ফলে সাহিত্য বিশ্লেষকের দৃষ্টিকোণ থেকে, এই আখ্যা সঠিকভাবে তাঁর কবিতার ভাব ও স্বরূপকে নির্দেশ করে। তাই প্রশ্নের সঠিক উত্তর ‘বুদ্ধদেব বসু’।
0
Updated: 17 hours ago
ইংরেজি ভাষায় জীবনানন্দ দাশের ওপর গ্রন্থ লিখেছেন কে?
Created: 1 month ago
A
ডব্লিউ বি ইয়েটস
B
ক্লিনটন বি সিলি
C
অরুন্ধতী রায়
D
অমিতাভ ঘোষ
ক্লিনটন বি. সিলি
-
ক্লিনটন বি. সিলি যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বাংলা সাহিত্য অনুবাদক।
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪১ সালের ২১ জুন। বর্তমানে তিনি শিকাগো ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক।
-
বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি জীবনানন্দ দাশ-এর জীবন ও সাহিত্য নিয়ে তিনি গভীরভাবে গবেষণা করেছেন।
-
জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে তার লেখা গুরুত্বপূর্ণ জীবনীগ্রন্থের নাম “A Poet Apart”, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯০ সালে।
-
এ গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ করেন ফারুক মঈনউদ্দীন। অনুবাদ সংস্করণটির নাম “অনন্য জীবনানন্দ”, যা প্রকাশিত হয় ২০১১ সালে।
উৎস: প্রথম আলো, রিপোর্ট প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২৪।
0
Updated: 1 month ago
‘কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব ও কাঁঠালছায়ায়’ কে আসবেন?
Created: 5 days ago
A
গোবিন্দচন্দ্র দাস
B
জসীম উদ্দীন
C
সুফিয়া কামাল
D
জীবনানন্দ দাশ
এই পংক্তিটি এসেছে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দ দাশ-এর কবিতা থেকে। তিনি ছিলেন নিভৃতচারী কবি, যিনি প্রকৃতি, নস্টালজিয়া, সময় ও মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানবজীবনের গভীরতা ফুটিয়ে তুলেছেন। “কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব ও কাঁঠালছায়ায়” পংক্তিতে কবি মৃত্যুর পর আবার ফিরে আসার এক রহস্যময় প্রত্যয় প্রকাশ করেছেন। এটি তাঁর কবিতায় মৃত্যুর পর পুনর্জন্ম বা প্রকৃতিতে ফিরে আসার ধারণার প্রতিফলন।
বাংলা সাহিত্যে জীবনানন্দ দাশকে কেন এই পংক্তির কবি বলা হয়, তা বোঝাতে নিচের তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ—
• জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯–১৯৫৪) বাংলা কবিতার “নির্জনতার কবি” নামে পরিচিত। তিনি বাংলা কবিতাকে আধুনিকতার নতুন রূপ দেন এবং প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ককে গভীরভাবে অনুধাবন করেন।
• তাঁর কবিতায় প্রকৃতি কেবল দৃশ্য নয়, বরং মানুষের স্মৃতি, বেদনা ও চেতনার অংশ হয়ে ওঠে। “কুয়াশার বুকে ভেসে” বাক্যাংশে সেই প্রকৃতির মায়াময় ও অবিনশ্বর উপস্থিতিই বোঝানো হয়েছে।
• “আসিব ও কাঁঠালছায়ায়” অংশে কবি মৃত্যুর পরেও প্রিয় ভূমিতে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এটি জীবনানন্দের কবিতায় প্রচলিত পুনর্জন্ম ভাবনা বা নস্টালজিক প্রত্যাবর্তনের চিত্র।
• তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে আছে “রূপসী বাংলা,” “বনলতা সেন,” “ধূসর পাণ্ডুলিপি,” “বেলা অবেলা কালবেলা” ইত্যাদি। এসব কাব্যে তিনি মানুষের অস্তিত্ব, সময়ের প্রবাহ এবং বাংলার গ্রামীণ প্রকৃতি নিয়ে ভাবনা প্রকাশ করেছেন।
• “রূপসী বাংলা” কাব্যগ্রন্থে কবি এক হারানো বাংলার স্বপ্ন এঁকেছেন, যেখানে তিনি মৃত্যুর পরও প্রকৃতির অঙ্গ হয়ে ফিরে আসতে চান—এই পংক্তিটিও সেই ভাবধারার প্রতিফলন।
• জীবনানন্দের কবিতায় কুয়াশা, কাঁঠালছায়া, নদী, মাঠ, গাছপালা, পাখি, এবং গ্রামীণ নারী—সবই তাঁর কবিতার চিরচেনা প্রতীক। এগুলোর মাধ্যমে তিনি জীবনের মায়া ও মৃত্যুর শান্তিকে একসঙ্গে প্রকাশ করেছেন।
• অন্য বিকল্পগুলোর মধ্যে গোবিন্দচন্দ্র দাস ছিলেন প্রকৃতি ও মানবপ্রেমের কবি, জসীম উদ্দীন ছিলেন পল্লীকবিতা ও গ্রামীণ জীবনের কাব্যকার, এবং সুফিয়া কামাল ছিলেন মানবতা ও নারীজাগরণের প্রতীক। তবে “কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব ও কাঁঠালছায়ায়”—এই রোমান্টিক ও রহস্যময় ভাবধারার পংক্তি কেবল জীবনানন্দেরই কবিতায় পাওয়া যায়।
• তাঁর কবিতার ভাষা ছিল নিঃশব্দ, গভীর ও দার্শনিক। তাই সাহিত্য সমালোচকরা তাঁকে “বাংলা কবিতার ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসী” বলে অভিহিত করেছেন।
অতএব, এই পংক্তিতে বর্ণিত “আমি”—অর্থাৎ যিনি কুয়াশার বুকে ভেসে ফিরে আসবেন—তিনি আর কেউ নন, জীবনানন্দ দাশ, যিনি মৃত্যুর পরেও বাংলার প্রকৃতির সঙ্গে চিরদিন একাত্ম হয়ে থাকতে চেয়েছেন।
0
Updated: 5 days ago
‘রূপসী বাংলার কবি’ হিসেবে খ্যাতি লাভ হয়েছেন-
Created: 1 month ago
A
জসীম উদ্দীন
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
জীবনানন্দ দাশ
D
কাজী নজরুল ইসলাম
‘রূপসী বাংলার কবি’ জীবনানন্দ দাশ
-
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ তাঁর কাব্যে চিত্ররূপময়ভাবে ফুটে উঠেছে।
-
বিশেষত ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থে আবহমান বাংলার চিত্ররূপ ও সূক্ষ্ম সৌন্দর্য প্রকাশের কারণে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ নামে খ্যাত।
-
প্রকৃতির পাশাপাশি জীবনানন্দের কাব্যে প্রতিফলিত হয়েছে বিপন্ন মানবতা, আধুনিক নগরজীবনের অবক্ষয়, হতাশা, নিঃসঙ্গতা এবং সংশয়বোধ।
জীবনানন্দ দাশের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
0
Updated: 1 month ago