খনার বচনে প্রাধান্য পেয়েছে-
A
শিল্প
B
সাহিত্য
C
নাট্য
D
কৃষি-আবহাওয়া
উত্তরের বিবরণ
‘খনার বচন’ মূলত প্রাচীন বাংলার গ্রামীণ জীবনের অভিজ্ঞতা ও প্রাকৃতিক জ্ঞানের প্রতিফলন। এতে সাধারণ মানুষের জীবনধারার সঙ্গে যুক্ত কৃষি, আবহাওয়া ও ঋতুচক্রের সম্পর্ক বিশদভাবে ফুটে উঠেছে।
• ‘খনার বচন’ হলো লোকজ অভিজ্ঞতা থেকে গঠিত ছন্দোবদ্ধ বচন, যা কৃষক সমাজের পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করত।
• এতে বৃষ্টি, রোদ, বীজ বপন, ফসল তোলা, মৌসুমি পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে স্পষ্ট পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
• বচনগুলোতে প্রাকৃতিক লক্ষণ দেখে কৃষিকাজের সময় নির্ধারণের জ্ঞান পাওয়া যায়।
• এগুলো মূলত বাস্তব জীবননির্ভর শিক্ষণীয় উপদেশ, যা আজও বাংলার লোকসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
• তাই ‘খনার বচনে’ শিল্প বা সাহিত্য নয়, কৃষি ও আবহাওয়া-সংক্রান্ত জ্ঞানই মূল প্রাধান্য পেয়েছে।
0
Updated: 18 hours ago
'খনার বচন' -এর মূলভাব কী?
Created: 2 months ago
A
লৌকিক প্রণয়সঙ্গীত
B
শুদ্ধ জীবনযাপন রীতি
C
সামাজিক মঙ্গলবোধ
D
রাষ্ট্র পরিচালনা নীতি
খনার বচন ও এর মূলভাব
খনার বচনের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের জীবনে শুদ্ধ জীবনযাপন ও নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা।
খনার বচন কী?
-
খনার বচন হলো এমন প্রজ্ঞাময় বাক্য বা উক্তি যা বিশেষ অর্থ বহন করে। ইংরেজিতে একে saying বা proverb বলা যায়, কিন্তু খনার বচনের তাৎপর্য আরও গভীর।
-
এটি সাধারণত শুভাশুভ, নীতি, উপদেশ বা জীবনমূল্য সম্পর্কিত হয়। যেমন: গুরুর বচন, মহাপুরুষের বচন।
-
বাংলায় ডাক ও খনার উক্তি এই ধরনের বচনের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।
বিষয়বস্তু
-
খনার বচন মূলত কৃষি, আবহাওয়া, ঋতু ও জ্যোতিশাস্ত্রের সাথে সম্পর্কিত।
-
এছাড়াও স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক পরামর্শও এতে অন্তর্ভুক্ত।
প্রণেতা ও রচনা
-
‘খনার বচন’-এর প্রকৃত রচয়িতা ছিলেন লীলাবতী, যিনি খনা নামে পরিচিত।
-
এটি প্রায় ৮ম থেকে ১২শ শতাব্দীর মধ্যে রচিত।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago