‘অহরহ’- সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
A
অহ+বহঃ
B
অহ+অহ
C
অহঃ+অহ
D
অহঃ+বহ
উত্তরের বিবরণ
‘অহরহ’ শব্দটি দুটি শব্দের যোগে গঠিত, যা সময়ের ধারাবাহিকতা বোঝায়। এই শব্দের অর্থ ‘প্রতিদিন’ বা ‘নিরবচ্ছিন্নভাবে’। নিচে এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ ব্যাখ্যা করা হলো—
-
অহঃ অর্থ দিন, আর অহ অর্থও দিন।
-
দুটি শব্দ যুক্ত হলে অহঃ + অহ = অহরহ হয়। এখানে ঃ (বিসর্গ) ধ্বনির পরে অ আসায় বিসর্গ র ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
-
এ নিয়মটি বিসর্গ সন্ন্যাস সন্ধি নামে পরিচিত।
-
তাই ‘অহরহ’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো অহঃ + অহ, যার অর্থ দিনদিন বা সর্বদা।
0
Updated: 19 hours ago
"পরীক্ষা" এর সন্ধি বিচ্ছেদ
Created: 2 weeks ago
A
পরি + এক্ষা
B
পরি + ঈক্ষা
C
পরি + ইক্ষা
D
পর + ঈক্ষা
বাংলা ভাষায় সন্ধি হলো এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে দুটি শব্দ বা ধাতু মিলিত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে এবং মিলনের সময় তাদের স্বর বা ব্যঞ্জনধ্বনিতে পরিবর্তন ঘটে। “পরীক্ষা” শব্দটি এমনই এক সন্ধির ফল, যা মূলত “পরি” ও “ঈক্ষা” শব্দের মিলনে গঠিত। এখানে স্বরসন্ধির মাধ্যমে শব্দের ধ্বনি পরিবর্তিত হয়েছে।
‘পরি’ উপসর্গ: ‘পরি’ একটি সাধারণ উপসর্গ, যার অর্থ “চারপাশে”, “সম্পূর্ণভাবে” বা “বিশেষভাবে”। এটি প্রায়ই মূল শব্দের অর্থকে আরও জোরালো করে তোলে।
-
‘ঈক্ষা’ ধাতু: ‘ঈক্ষা’ শব্দের অর্থ হলো দেখা বা পর্যবেক্ষণ করা। সংস্কৃত মূল “ईक्ष” (īkṣa) ধাতু থেকে এর উৎপত্তি।
-
সন্ধির ধরন: “পরি” এবং “ঈক্ষা” যোগে “পরীক্ষা” শব্দে স্বরসন্ধি ঘটেছে। এখানে প্রথম শব্দের ‘ই’ এবং দ্বিতীয় শব্দের ‘ঈ’ মিলিত হয়ে দীর্ঘ স্বর ‘ঈ’ রূপে প্রকাশিত হয়েছে।
-
রূপান্তর ব্যাখ্যা:
-
পরি + ঈক্ষা → পরি + ঈক্ষা (স্বরসন্ধির ফলে উচ্চারণে একীভূত হয়)
-
মিলিত শব্দের রূপ দাঁড়ায় পরীক্ষা
-
-
অর্থগত বিশ্লেষণ:
-
“পরি” অর্থে “চারপাশ থেকে” এবং “ঈক্ষা” অর্থে “দেখা” — এই দুটি মিলিয়ে “পরীক্ষা” অর্থ দাঁড়ায় ‘চারপাশ থেকে দেখা’ বা ‘নিরীক্ষণ করা’।
-
তাই বর্তমান ব্যবহারে “পরীক্ষা” মানে হচ্ছে “নিরীক্ষণ বা যাচাই প্রক্রিয়া।”
-
-
ব্যাকরণগত দৃষ্টিতে:
-
এটি স্বরসন্ধির অন্তর্গত, বিশেষ করে ই + ঈ = ঈ ধরনের সন্ধি।
-
এই নিয়ম অনুযায়ী ‘ই’ ধ্বনি এবং ‘ঈ’ ধ্বনি একত্র হলে উচ্চারণে দীর্ঘ ‘ঈ’ রূপে থাকে।
-
-
আরও কিছু উদাহরণ:
-
নিঃ + ঈশ্বর = নীশ্বর → নিঃঈশ্বর (অর্থ: ঈশ্বরহীন)
-
প্রতি + ইন্দ্রিয় = প্রত্যেন্দ্রিয় → প্রতি + ইন্দ্রিয় (অর্থ: প্রতিটি ইন্দ্রিয়)
-
সুতরাং, “পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা” একটি স্বরসন্ধিজাত শব্দ, যার অর্থ দাঁড়ায় ‘নিরীক্ষা’ বা ‘পর্যবেক্ষণ’। এই সন্ধির মাধ্যমে শব্দের ধ্বনি মসৃণ ও উচ্চারণে সহজ হয়েছে, যা বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক সৌন্দর্যের একটি উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
0
Updated: 2 weeks ago
'শিরশ্ছেদ' - শব্দটি কোন সন্ধিতে গঠিত?
Created: 2 months ago
A
স্বর
B
ব্যঞ্জন
C
বিসর্গ
D
নিপাতনে সিদ্ধ
বিসর্গ সন্ধি
-
যখন পূর্বপদের শেষে বিসর্গ (ঃ) থাকে এবং পরপদের প্রথমে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি আসে, তখন বিসর্গ পরিবর্তিত হয়ে পরবর্তী ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয়।
-
নিয়ম অনুযায়ী:
-
যদি পরবর্তী ব্যঞ্জন চ্ বা ছ্ হয় → বিসর্গ হয় শ্
-
যদি পরবর্তী ব্যঞ্জন ট্ বা ঠ্ হয় → বিসর্গ হয় ষ্
-
যদি পরবর্তী ব্যঞ্জন ত্ হয় → বিসর্গ হয় স্
-
অন্যান্য ব্যঞ্জনের সঙ্গে বিসর্গ যুক্ত হয়ে উচ্চারিত হয়।
-
উদাহরণ:
-
দুঃ + চিন্তা = দুশ্চিন্তা
-
নিঃ + ছিদ্র = নিশ্ছিদ্র
-
শিরঃ + ছেদ = শিরশ্ছেদ
-
নিঃ + ঠুর = নিষ্ঠুর
-
ইতঃ + তত = ইতস্তত
-
মনঃ + তাপ = মনস্তাপ
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 2 months ago
‘রাজ্ঞী’-এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
রাজ্ + নী
B
রাগ্ + নী
C
রাজ্ + জ্ঞী
D
রাগ্ + জ্ঞী
'রাজ্ঞী' এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ রাজ্ + নী। তালব্য অল্পপ্রাণ ধ্বনির পরে নাসিক্য ধ্বনি আসলে নাসিক্য ধ্বনিটিও তালব্য নাসিক্য ধ্বনি হয়। অর্থাৎ, ‘চ/জ’ এর পরে ঙ, ঞ, ণ, ন, ম (নাসিক্য ধ্বনি) থাকলে সেগুলো ‘ঞ’ হয়ে যায়। চ + ন = চ + ঞ, যাচ + না = যাচ্ঞা, রাজ + নী = রাজ্ঞী, জ + ন = জ + ঞ, যজ + ন = যজ্ঞ।
0
Updated: 1 month ago