বাংলা ভাষার প্রাচীন যুগের সময়কাল-
A
৭০০-১৪০০ খ্রি.
B
৬৫০-১২০০ খ্রি.
C
৪০০-৮০০ খ্রি.
D
৭০০-১০০০ খ্রি.
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার ইতিহাস সাধারণভাবে তিনটি যুগে বিভক্ত করা হয়েছে—প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক। এর মধ্যে প্রাচীন যুগের সময়কাল ৬৫০ থেকে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সময়কালেই বাংলা ভাষার প্রাথমিক বিকাশ ঘটে এবং তা নিজস্ব রূপ পেতে শুরু করে।
– প্রাচীন যুগ (৬৫০–১২০০ খ্রি.): এই সময়ে ভাষায় পালি ও সংস্কৃতের প্রভাব ছিল প্রবল। চর্যাপদ এই যুগের অন্যতম নিদর্শন।
– মধ্যযুগ (১২০১–১৮০০ খ্রি.): মুসলিম শাসনের প্রভাবে ভাষায় ফারসি ও আরবি শব্দ প্রবেশ করে এবং সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়।
– আধুনিক যুগ (১৮০১ থেকে বর্তমান): মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কার ও নবজাগরণের প্রভাবে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সর্বাঙ্গে বিকশিত হয়।
0
Updated: 19 hours ago
'শূন্যপূরাণের' রচয়িতা -
Created: 2 weeks ago
A
রামাই পণ্ডিত
B
হলায়ূধ মিশ্র
C
কাহ্নপা
D
কুক্কুরীপা
'শূন্যপুরাণ' রামাই পণ্ডিত রচিত একটি বৌদ্ধ ধর্মীয় তত্ত্বগ্রন্থ এবং এটি অন্ধকার যুগের একটি সাহিত্য নিদর্শন। এই গ্রন্থটি মূলত ধর্মপূজাপদ্ধতি সম্পর্কে লিখিত, যেখানে গদ্য ও পদ্য মিশ্রিত একটি চম্পুকাব্য রচিত হয়েছে। 'শূন্যপুরাণ' ৫১টি অধ্যায়ে বিভক্ত, যার প্রথম ৫টি অধ্যায় সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করে। এটি ত্রয়োদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত রচিত হতে পারে, তবে সঠিক সময়কাল নিয়ে মতভেদ রয়েছে। শূন্যপুরাণ নামহীন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, এবং বিশ্বকোষপ্রণেতা নাগেন্দ্রনাথ বসু ১৩১৪ বঙ্গাব্দে 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ' থেকে এটি নামকরণ করে প্রকাশ করেন।
'শূন্যপুরাণ' গ্রন্থের মধ্যে ‘নিরঞ্জনের রুষ্মা’ নামে একটি অংশ রয়েছে, যেখানে মুসলিম পীর-গাজী কর্তৃক ব্রাহ্মণদের অত্যাচারের হাত থেকে বৌদ্ধদের রক্ষা করার বিবরণ দেয়া হয়েছে। ভাষাগত বৈশিষ্ট্যের কারণে কিছু পণ্ডিত এই অংশকে পরবর্তীকালের রচনা বলে মনে করেন এবং তাঁদের মতে, এটি হিন্দু-মুসলিম ধর্মসমন্বয়ের চেতনা থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
তবে 'শূন্যপুরাণ' ছাড়া আরও কিছু লেখকও উল্লেখযোগ্য, যেমন হলায়ূধ মিশ্র, কাহ্নপা এবং কুক্কুরীপা। হলায়ূধ মিশ্র ছিলেন রাজা লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি এবং তিনি 'সেক শুভোদয়া' নামক একটি চম্পূকাব্য রচনা করেন, যা খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে রচিত হয়েছিল। কাহ্নপা, যিনি চর্যাপদের সর্বাধিক পদরচয়িতা, সহজিয়া তান্ত্রিক বৌদ্ধযোগী ছিলেন এবং তাঁর ১৩টি পদ রচনা করেন। কুক্কুরীপা, যিনি চর্যাপদের মহিলা কবি হিসেবে পরিচিত, তিনটি পদ রচনা করেন, তবে ৪৮নং পদটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এই তথ্যগুলো বাংলা সাহিত্য এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় তত্ত্বের মূল্যবান অংশ হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 2 weeks ago
‘কিন্ডারগার্টেন’ কোন ভাষা থেকে?
Created: 12 hours ago
A
ইংরেজি
B
পর্তুগিজ
C
ওলন্দাজ
D
জার্মান
‘Kindergarten’ শব্দটি এসেছে জার্মান ভাষা থেকে, যার অর্থ শিশুদের উদ্যান বা বাগান। শব্দটির গঠন ও অর্থ উভয়ই শিশু শিক্ষার ধারণার সঙ্গে সম্পর্কিত।
Kinder অর্থ শিশু বোঝায় এবং Garten অর্থ উদ্যান বা বাগান।
এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ফ্রিডরিখ ফ্রবেল (Friedrich Fröbel), যিনি আধুনিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জনক হিসেবে পরিচিত।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে শিশুরা খেলাধুলা ও আনন্দের মাধ্যমে শিখতে পারে, তাই স্কুলের পরিবেশ যেন একটি বাগানের মতো হয়।
পরবর্তীতে এই ধারণা থেকেই ইংরেজি সহ অন্যান্য ভাষায় “Kindergarten” শব্দটি গৃহীত হয়।
0
Updated: 12 hours ago
ব্যাপক অর্থে 'শিক্ষা'র ধারণায় কোনটি অধিক গ্রহণযোগ্য?
Created: 5 days ago
A
অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে আচরণের পরিবর্তন
B
মানব জীবনের বিকাশ সাধন
C
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন
D
সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা অর্জন
'শিক্ষা' একটি ব্যাপক ও গভীর ধারণা, যা কেবল একাধিক দক্ষতা বা জ্ঞান অর্জনের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের সার্বিক বিকাশ এবং জীবনকে আরো অর্থবহ ও ফলপ্রসূ করে তোলা। ব্যাপক অর্থে শিক্ষার ধারণায় মানব জীবনের বিকাশ সাধন অধিক গ্রহণযোগ্য।
এখানে আমরা জানতে পারব কেন খ) মানব জীবনের বিকাশ সাধন হল সঠিক উত্তর, এবং অন্যান্য অপশনগুলো কেন সঠিক নয়:
-
অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে আচরণের পরিবর্তন (ক):
এই ধারণাটি মূলত অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক পরিবেশের মাধ্যমে মানুষের আচরণের পরিবর্তনকে বোঝায়। যদিও এটি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কিন্তু শিক্ষা কেবলমাত্র আচরণ পরিবর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো মানুষের জীবনের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ, যা কেবল আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে অর্জিত হয় না। -
মানব জীবনের বিকাশ সাধন (খ):
এটি শিক্ষার একটি ব্যাপক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ধারণা। এখানে, শিক্ষা শুধুমাত্র জ্ঞান অর্জন বা দক্ষতা শিখতে সহায়ক নয়, বরং এটি মানুষের মনোভাব, মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সৃজনশীলতা, এবং সামাজিক দায়িত্বের উন্নতি সাধনেও সাহায্য করে। শিক্ষা ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস, চিন্তাশক্তি, এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে বিকশিত করে, যা তাকে জীবনে সফল হতে সহায়ক হয়। -
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন (গ):
এই ধারণাটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান এবং দক্ষতাকে গুরুত্ব দেয়। তবে, এটি শিক্ষার সীমিত দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে, কারণ শিক্ষা শুধু কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখানো জ্ঞান ও দক্ষতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং ব্যক্তিগত এবং সামাজিক বিকাশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এটি পুরোপুরি ব্যাপক শিক্ষার ধারণাকে ধরতে পারে না। -
সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা অর্জন (ঘ):
এটি আধুনিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, কিন্তু এটি শিক্ষার ব্যাপক ধারণার মাত্র একটি অংশ। সাক্ষরতা ও জীবন দক্ষতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু মানব জীবনের পূর্ণাঙ্গ বিকাশের ধারণাটি আরও ব্যাপক এবং এর মধ্যে আরও অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমন মানসিক, সামাজিক, এবং নৈতিক উন্নয়ন।
এছাড়াও, শিক্ষা মানুষের আচরণ এবং মানসিকতার পরিবর্তন, সমাজে তার ভূমিকা ও সম্পর্কের উন্নতি সাধন, এবং তার কর্মজীবনে সাফল্যের দিকে পথপ্রদর্শন করে। মানব জীবনের বিকাশের জন্য শিক্ষার সব দিককে একত্রে বিবেচনা করা হয়, যা কেবলমাত্র জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনের চেয়ে অনেক বেশি ব্যাপক এবং গভীর।
0
Updated: 5 days ago