‘ষড়ঋতু’ কোন সমাস?
A
বহুব্রীহি
B
দ্বিগু
C
দ্বন্দ্ব
D
কর্মধারয়
উত্তরের বিবরণ
‘ষড়ঋতু’ শব্দটি এমন একটি সমাস যেখানে সংখ্যাবাচক শব্দ ও বিশেষ্য মিলিত হয়ে নতুন অর্থ সৃষ্টি করে। এটি দ্বিগু সমাস নামে পরিচিত, যা সাধারণত সংখ্যা ও বিশেষ্য পদ একত্রে ব্যবহারে গঠিত হয়।
দ্বিগু সমাসের বৈশিষ্ট্য:
-
এই সমাসে সংখ্যাবাচক পদ আগে এবং বিশেষ্য পদ পরে থাকে।
-
যুক্ত হয়ে এটি একটি পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেমন— ষড়ঋতু মানে ছয়টি ঋতু।
-
এর উদাহরণ আরও হলো ত্রিলোক (তিন লোক), দ্বিজাতি (দুই জাতি) ইত্যাদি।
-
এই ধরনের সমাসে প্রথম পদটি সংখ্যার নির্দেশ করে, আর দ্বিতীয় পদটি মূল অর্থ বহন করে।
-
দ্বিগু সমাস সাধারণত সংখ্যা প্রকাশে বা গণনার বোধে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 19 hours ago
নিচের কোনটি দ্বিগু সমাসের সমস্ত পদ?
Created: 1 month ago
A
সাতসমুদ্র
B
প্রতিদিন
C
নীলকণ্ঠ
D
মুখেভাত
দ্বিগু সমাস= সংখ্যাবাচক শব্দ+বিশেষ্য। সাত= সংখ্যাবাচক শব্দ এবং সমুদ্র=বিশেষ্য।
0
Updated: 1 month ago
'কৈ' শব্দেটি কোন দ্বিস্বরধ্বনি যোগে গঠিত?
Created: 2 months ago
A
ওই্
B
অঐ
C
এই্
D
উই্
দ্বিস্বরধ্বনি
-
সংজ্ঞা:
যখন পূর্ণ স্বরধ্বনি ও অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হয়, তখন তাকে দ্বিস্বরধ্বনি বলা হয়। -
উদাহরণ – কৈ:
-
‘কৈ’ শব্দে [ও] পূর্ণ স্বরধ্বনি এবং [ই্] অর্ধস্বরধ্বনি একত্রে উচ্চারিত হয়ে [ওই্] তৈরি হয়েছে।
-
-
দ্বিস্বরধ্বনির আরও উদাহরণ:
| দ্বিস্বরধ্বনি | উদাহরণ |
|---|---|
| [আই্] | তাই, নাই |
| [এই্] | সেই, নেই |
| [আও্] | যাও, দাও |
| [আএ্] | খায়, যায় |
| [উই্] | দুই, রুই |
| [অএ্] | নয়, হয় |
| [ওউ্] | মৌ, বউ |
| [ওই্] | কৈ, দই |
| [এউ্] | কেউ, ঘেউ |
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম–দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago
কোনটি দ্বিগু সমাস?
Created: 6 days ago
A
সপ্তাহ
B
মনগড়া
C
দলছুট
D
কেনাকাটা
সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদ যুক্ত হয়ে যখন সমাহার, সমষ্টি বা মিলন বোঝায়, তখন সেই সমাসকে দ্বিগু সমাস বলা হয়। এই সমাসে গঠিত পদটি সাধারণত বিশেষ্য পদ হয়, যা সমষ্টিগত অর্থ প্রকাশ করে। নিচে এর বিশ্লেষণ দেওয়া হলোঃ
-
সাত দিনের সমাহার = সপ্তাহ — এখানে "সাত" সংখ্যাবাচক শব্দ এবং "দিন" বিশেষ্য পদ মিলে সমষ্টিগত অর্থে সপ্তাহ গঠিত হয়েছে, যা দ্বিগু সমাস।
-
তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল — এখানে “তিন” ও “কাল” একত্র হয়ে সময়ের তিন রূপ বোঝাচ্ছে, এটিও দ্বিগু সমাস।
-
মন দ্বারা গড়া = মনগড়া — এখানে “মন” ও “গড়া” একত্র হয়ে তৈরি শব্দটি তৃতীয় তৎপুরুষ সমাস, কারণ “মন দ্বারা” অর্থে তৃতীয়া বিভক্তি লুপ্ত হয়েছে।
-
দল থেকে ছুট = দলছুট — এখানে “দল” ও “ছুট” একত্র হয়ে “থেকে” অর্থে পঞ্চমী বিভক্তি লুপ্ত হয়েছে, তাই এটি পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস।
এইভাবে দ্বিগু সমাস সংখ্যা ও বিশেষ্যের মিলনে সমষ্টিগত ধারণা প্রকাশ করে, আর অন্যান্য তৎপুরুষ সমাস বিভক্তির অর্থ লুপ্ত হয়ে নতুন বিশেষ্য তৈরি করে।
0
Updated: 6 days ago