“ব্যায়ামে শরীর ভালো থাকে”- বাক্যে ‘ব্যায়ামে’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
A
অপাদানে ৭মী
B
অধিকরণে ৭মী
C
করণে ৭মী
D
কর্মে ৭মী
উত্তরের বিবরণ
বাক্যে ‘ব্যায়ামে শরীর ভালো থাকে’ শব্দটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ‘ব্যায়ামে’ শব্দটি মূলত কাজ সম্পাদনের মাধ্যম নির্দেশ করে। তাই এটি করণ কারক নির্দেশ করে এবং এতে সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত হয়েছে।
-
‘ব্যায়ামে’ শব্দটি এসেছে ‘ব্যায়াম’ থেকে, যার অর্থ শরীরচর্চা বা শারীরিক অনুশীলন।
-
বাক্যে এটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে কিসের দ্বারা শরীর ভালো থাকে, অর্থাৎ ব্যায়ামের দ্বারা।
-
যে শব্দে কাজ সম্পাদনের উপায় বা মাধ্যম প্রকাশ পায়, তাকে করণ কারক বলে।
-
করণ কারকে সাধারণত সপ্তমী বিভক্তি ব্যবহৃত হয়, যা এখানে ‘-এ’ যোগে প্রকাশ পেয়েছে।
-
তাই ‘ব্যায়ামে’ শব্দটি করণে সপ্তমী বিভক্তি, যা মাধ্যম নির্দেশ করছে।
0
Updated: 19 hours ago
'তিলে তেল আছে' কোন কারকে কোন বিভক্তি?
Created: 1 month ago
A
অধিকরণে সপ্তমী
B
অধিকরণে শূন্য
C
অপাদানে সপ্তমী
D
অপাদানে শূন্য
তিলে তৈল আছে (অধিকরণে ৭মী)। কিন্তু, তিলে তৈল হয় (অপাদানে ৭মী)।
0
Updated: 1 month ago
'পাপে বিরত থাকো' কোন কারকে কোন বিভক্তি?
Created: 2 weeks ago
A
করণ কারকে ৭মী
B
অপাদান কারকে ৭মী
C
অধিকরণ কারকে ৭মী
D
কর্ম কারকে ৭
0
Updated: 2 weeks ago
কারক কত প্রকার?
Created: 1 week ago
A
চার প্রকার
B
পাঁচ প্রকার
C
ছয় প্রকার
D
সাত প্রকার
উ. গ) ছয় প্রকার
বাংলা ব্যাকরণে কারক এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক উপাদান যা ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের অন্যান্য শব্দের সম্পর্ক নির্দেশ করে। এটি মূলত বাক্যের গঠনকে অর্থবহ করে তোলে এবং শব্দগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক স্পষ্ট করে। কারক ছাড়া কোনো বাক্যের কাঠামো সম্পূর্ণ হয় না, কারণ এটি কর্তা, কর্ম, দাতা, গ্রহীতা, স্থান বা মাধ্যমের সম্পর্ক নির্ধারণ করে।
বাংলা ভাষায় ছয় প্রকার কারক রয়েছে, প্রতিটি কারকের নিজস্ব ভূমিকা ও অর্থ প্রকাশের ক্ষমতা আছে। নিচে সংক্ষেপে প্রতিটি কারকের বর্ণনা দেওয়া হলো।
কর্তৃকারক ক্রিয়ার কর্তা বা কাজ সম্পাদনকারীকে নির্দেশ করে। যেমন—রহিম বই পড়ে। এখানে ‘রহিম’ কর্তৃকারক।
কর্মকারক ক্রিয়ার দ্বারা যে বস্তু বা ব্যক্তি প্রভাবিত হয়, তাকে কর্মকারক বলে। যেমন—সে ফল খায়। এখানে ‘ফল’ কর্মকারক।
সম্প্রদান কারক যাকে কোনো কিছু দেওয়া হয় বা যার জন্য কাজটি করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলা হয়। যেমন—আমি ভাইকে কলম দিলাম। এখানে ‘ভাইকে’ সম্প্রদান কারক।
অপাদান কারক যেখান থেকে কোনো কিছু বিচ্ছিন্ন হয় বা আলাদা হয়, তাকে অপাদান কারক বলে। যেমন—গাছ থেকে ফল পড়ল। এখানে ‘গাছ থেকে’ অপাদান কারক।
অধিকরণ কারক কোনো কাজ সংঘটনের স্থান বা সময় নির্দেশ করে। যেমন—ছেলেটি মাঠে খেলছে। এখানে ‘মাঠে’ অধিকরণ কারক।
অধিকরন কারক (করণ কারক নামেও পরিচিত) কোনো কাজ সম্পাদনের উপায় বা যন্ত্র নির্দেশ করে। যেমন—সে কলম দিয়ে লেখে। এখানে ‘কলম দিয়ে’ অধিকরন কারক।
এই ছয়টি কারকই বাক্যে শব্দগুলোর সম্পর্ককে স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ করে। বাংলা ভাষায় কিছু ব্যাকরণবিদ সাতটি কারক উল্লেখ করলেও মূলত অধিকাংশ গ্রন্থে ছয়টি কারককেই গ্রহণ করা হয়েছে। কারকের সঠিক প্রয়োগ ভাষার গঠন ও ভাব প্রকাশে শুদ্ধতা আনে।
কারক শেখার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, একটি বাক্যে কোন শব্দ ক্রিয়ার কর্তা, কোনটি কর্ম, কার জন্য বা কার দ্বারা কাজটি হচ্ছে, কোথায় এবং কীভাবে তা সম্পন্ন হচ্ছে। তাই ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কারকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু ব্যাকরণিক সম্পর্কই নয়, অর্থের গভীরতাও প্রতিষ্ঠিত করে।
0
Updated: 1 week ago