ভাববাচ্য

• সংজ্ঞা: যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই প্রধান হয়, তাকে ভাববাচ্য বলা হয়।

• ক্রিয়া: ভাববাচ্যের ক্রিয়া সর্বদা নামপুরুষের হয়।

• কর্তা: ভাববাচ্যের ক্ষেত্রে কর্তায় ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া বা তৃতীয়া বিভক্তি ব্যবহার হয়।

উদাহরণ:

• আমার (কর্তায় ষষ্ঠী) খাওয়া হলো না।

• আমাকে (কর্তায় দ্বিতীয়া) এখন যেতে হবে।

• তোমার দ্বারা (কর্তায় তৃতীয়া) এ কাজ হবে না।

উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

বাংলা ব্যাকরণে ভাববাচ্য এমন একটি রূপ, যেখানে কাজ বা ক্রিয়ার উপর জোর দেওয়া হয়, কিন্তু কর্তাকে গৌণ বা উহ্য রাখা হয়। ভাববাচ্যের কিছু বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়।

• ভাববাচ্যে ক্রিয়া সর্বদা নাম পুরুষের হয়ে থাকে।

• ভাববাচ্যের কর্তায় ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া অথবা তৃতীয় বিভক্তি ব্যবহৃত হয়।
  যেমন: আমার খাওয়া হলো না (এখানে কর্তা ষষ্ঠী বিভক্তিতে)।

• অনেক সময় ভাববাচ্যে কর্তা উহ্য থাকে এবং শুধুমাত্র কর্ম দিয়েই ভাববাচ্য গঠিত হয়।
  যেমন: এ পথে চলা যায় না, এবার ট্রেনে ওঠা যাক।

• প্রশ্নবোধক বাক্যেও ভাববাচ্যের ব্যবহার পাওয়া যায়।
  যেমন: কোথা থেকে আসা হচ্ছে?

• মূল ক্রিয়ার সঙ্গে সহযোগী ক্রিয়ার সংযোগে ভাববাচ্যের গঠন হয় এবং এর মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করা যায়।
  যেমন: এ রাস্তা আমার চেনা নেই।