মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে বিশ্বের কোন দেশটি সহায়তা করছে?
A
চীন
B
জাপান
C
কোরিয়া
D
কানাডা
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার মাতারবাড়ি এলাকায় একটি ১২শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে, যা দেশের জ্বালানি খাতে একটি যুগান্তকারী প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
-
এই প্রকল্পটি জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা (JICA)-এর অর্থায়নে ও কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
-
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো দেশের জ্বালানি ঘাটতি দূর করা এবং শিল্পখাতে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা।
-
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হলে এটি হবে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, যার মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ যোগ হবে।
-
এই প্রকল্পের আওতায় গভীর সমুদ্রবন্দর, কয়লা আমদানির টার্মিনাল, ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রমও সম্পন্ন করা হচ্ছে।
-
মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পূর্ণ হলে এটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা, শিল্পোন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
-
প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজের তত্ত্বাবধান করছে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি (BCPCL), যা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (BPDB) ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (CMC)-এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত।
0
Updated: 22 hours ago
সম্প্রতি, দক্ষিণ চীন সাগরে প্রথমবারের মতো যৌথ নৌ মহড়া করেছে- [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 2 months ago
A
ভারত ও চীন
B
ভারত ও ফিলিপাইন
C
চীন ও ফিলিপাইন
D
ফিলিপাইন ও জাপান
যৌথ নৌ মহড়া: ভারত ও ফিলিপাইন
-
প্রথমবারের মতো দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় যৌথ সামরিক নৌ মহড়া চালিয়েছে ভারত ও ফিলিপাইন।
-
দুই দিনব্যাপী মহড়াটি শুরু হয় ৩ আগস্ট।
-
ভারতের অংশগ্রহণকারী জাহাজসমূহ:
-
আইএনএস দিল্লি (গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার)
-
আইএনএস শক্তি (ট্যাংকার)
-
আইএনএস কিল্টান (করভেট)
-
-
ফিলিপাইনের অংশগ্রহণকারী জাহাজ:
-
বিআরপি মিগুয়েল মালভার (ফ্রিগেট)
-
বিআরপি হোসে রিজাল (ফ্রিগেট)
-
উল্লেখযোগ্য:
-
দক্ষিণ চীন সাগর বিশ্ববাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে বার্ষিক নৌবাণিজ্যের আর্থিক পরিমাণ প্রায় তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
-
বেইজিংয়ের দাবিকে ঘিরে ব্রুনেই, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনসহ উপকূলীয় দেশগুলোর সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
-
২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত এই দাবিকে অযৌক্তিক ঘোষণা করলেও চীন সেই রায় প্রত্যাখ্যান করেছে।
তথ্যসূত্র: পত্রিকা প্রতিবেদন [Link]
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে অপ্রচলিত বাজার গুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে- [জুলাই, ২০২৫]
Created: 2 months ago
A
রাশিয়া
B
জাপান
C
অস্ট্রেলিয়া
D
ব্রাজিল
তৈরি পোশাক শিল্প:
-
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জাপান।
-
চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত ১১ মাসে দেশটিতে ১১২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়,
-
যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১০.৩২% বেশি।
-
অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
-
তৃতীয় শীর্ষ অপ্রচলিত বাজার হলো রাশিয়া।
উৎস: প্রথম আলো
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ শক্তির উৎস-
Created: 4 months ago
A
খনিজ তেল
B
প্রাকৃতিক গ্যাস
C
পাহাড়ী নদী
D
ওপরের সবগুলোই
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উৎস ব্যবহৃত হচ্ছে। এই উৎসগুলোর মধ্যে কিছু নবায়নযোগ্য, আবার কিছু নির্ভর করছে ফসিল জ্বালানির ওপর। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান উৎসসমূহ।
প্রধান বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎস:
-
প্রাকৃতিক গ্যাস:
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় উৎস হলো প্রাকৃতিক গ্যাস। দেশের অধিকাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র এই গ্যাস নির্ভর এবং এটি তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য। -
খনিজ তেল (ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল):
বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্রে খনিজ তেল ব্যবহার করা হয়। বিশেষত ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল দিয়ে চালিত কেন্দ্রগুলো ব্যাকআপ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। -
পাহাড়ী নদীর জলশক্তি:
জলবিদ্যুৎ বা হাইড্রোইলেকট্রিক শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে কাপ্তাই হ্রদের হাইড্রো পাওয়ার স্টেশন উল্লেখযোগ্য। এটি দেশের একমাত্র কার্যকর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ:
বর্তমান বিশ্বে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির গুরুত্ব বেড়েছে, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ধীরে ধীরে বাড়ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উৎসসমূহ হলো:
-
সৌর শক্তি (Solar PV):
গ্রিড ও অফ-গ্রিড পর্যায়ে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। -
বায়ু শক্তি:
উপকূলীয় অঞ্চলে বাতাসের গতিকে কাজে লাগিয়ে বায়ু টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। -
জৈব বর্জ্য ও বায়োগ্যাস:
গবাদিপশুর গোবর, পোল্ট্রির বর্জ্য এবং শহুরে ময়লা-আবর্জনা থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। -
কৃষিজ বর্জ্য ও শিল্প উচ্ছিষ্ট:
ধানের তুষ, ইক্ষুর ছোবড়া, কাঠের ছাই ইত্যাদি জৈব বর্জ্য এবং শিল্প প্রক্রিয়ায় অব্যবহৃত তাপও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার হচ্ছে।
নিউক্লিয়ার শক্তি:
পরমাণু বিক্রিয়া থেকে উৎপন্ন শক্তিকে বিদ্যুৎ রূপে ব্যবহারের চেষ্টা বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এই উদ্যোগের অংশ, যা দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাস এখনো প্রধান ভূমিকা পালন করলেও ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে নবায়নযোগ্য ও পরমাণু শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। জ্বালানির বহুমাত্রিকতা নিশ্চিত করা এবং টেকসই শক্তির দিকে অগ্রসর হওয়াই হবে আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা।
তথ্যসূত্র:
-
বিদ্যুৎ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
-
পত্রিকা রিপোর্ট
-
নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন
0
Updated: 4 months ago