বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী কোনটি?
A
যমুনা
B
হাড়িয়াভাঙ্গা
C
নাফ
D
হালদা
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী নদী হাড়িয়াভাঙ্গা নদী, আর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী নদী হলো নাফ নদী।
-
হাড়িয়াভাঙ্গা নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এবং এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমারেখা তৈরি করেছে।
-
এই নদী সাতক্ষীরা জেলা ও ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা হয়ে প্রবাহিত হয়ে সুন্দরবনের দিকে মিলিত হয়।
-
অপরদিকে, নাফ নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা এবং মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান) রাজ্যকে পৃথক করেছে।
-
নাফ নদী বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে এবং এটি দুই দেশের মধ্যে একটি প্রাকৃতিক সীমারেখা হিসেবে কাজ করে।
-
এই দুটি নদী বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সীমান্ত ভূগোলের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 23 hours ago
জামাল নজরুল ইসলাম কে?
Created: 2 months ago
A
ফুটবল খেলোয়াড়
B
অর্থনীতিবিদ
C
কবি
D
বৈজ্ঞানিক
প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম
প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন বিশ্বখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁর গবেষণার প্রধান ক্ষেত্র ছিল আপেক্ষিকতা, কোয়ান্টাম মেকানিক্স, বিশ্বতত্ত্ব এবং মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কিত তত্ত্ব।
তিনি আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্ব এবং ব্ল্যাক হোল, কসমোলজি সহ জটিল পদার্থবিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে মৌলিক গবেষণা করেছেন।
ড. জামাল নজরুল ইসলাম ১৯৩৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর লেখা ইংরেজি বই “The Ultimate Fate of the Universe” কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয় এবং বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়। বাংলা ভাষায় তাঁর সবচেয়ে পরিচিত বই হলো ‘কৃষ্ণগহ্বর’ (বাংলা একাডেমি প্রকাশিত), যা ব্ল্যাক হোল সম্পর্কিত।
তিনি সৌরজগতের গ্রহগুলোর অবস্থান এবং পৃথিবীর ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কেও গবেষণা করেছেন। তাঁর অবদান আইনস্টাইন-পরবর্তী মহাবিশ্ব গবেষণায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ড. জামাল নজরুল ইসলাম ২০০০ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। তিনি ২০১৩ সালের ১৬ মার্চ চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, প্রথম আলো, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬.
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার কোন নদী দ্বারা বিভক্ত?
Created: 5 months ago
A
নাফ
B
কর্ণফুলী
C
নবগঙ্গা
D
ভাগীরথী
• নাফ নদী (Naf River):
নাফ নদীর উৎস মিয়ানমারে। এটি বাংলাদেশের টেকনাফ ও মিয়ানমারের মধ্যবর্তী সীমান্ত নির্দেশ করে এবং পরে বঙ্গোপসাগরে মিশে যায়। নদীটির মোহনা বেশ প্রশস্ত, আর এর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬ কিলোমিটার।
• কর্ণফুলী নদী (Karnaphuli River):
এই নদী আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
• নবগঙ্গা নদী (Nabaganga River):
চুয়াডাঙ্গা শহরের কাছাকাছি মাথাভাঙ্গা নদী থেকে নবগঙ্গার উৎপত্তি। ধারণা করা হয়, মাথাভাঙ্গা থেকে বেরিয়ে এটি ‘গঙ্গার নবরূপ’ হিসেবে পরিচিতি পায়, সেখান থেকেই নবগঙ্গা নামের উৎপত্তি।
• ভাগীরথী নদী (Bhagirathi River):
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে প্রবাহিত এই নদী গঙ্গার প্রধান দুটি উৎসধারার একটি। এটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 5 days ago
নিচের কোন নদী বাংলাদেশে উৎপত্তি হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে?
Created: 3 days ago
A
করতোয়া
B
কর্ণফুলী
C
হালদা
D
মাতামুহুরী
হালদা নদী বাংলাদেশে উৎপত্তি হলেও বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়নি। মাতামুহুরি নদী চট্টগ্রাম থেকে আরাকানকে বিভক্তকারী পর্বতমালায় ২১°১৪´ উত্তর অক্ষাংশ ও ৯২°৩৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে উদ্ভূত একটি নদী। এর উৎসস্থান সাঙ্গু নদীর উৎস থেকে মাত্র ১° উত্তর ও ১° পূর্বে অবস্থিত। মগ ভাষায় নদীটির নাম মামুরি, যার বাংলা সংস্করণ মাতামুহুরী। সাঙ্গুর মতো মাতামুহুরীও পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তর-পশ্চিম দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পূর্ব দিক দিয়ে কক্সবাজার জেলায় প্রবেশ করেছে এবং ২১°৪৫´ উত্তর অক্ষাংশ ও ৯১°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
-
মাতামুহুরী নদী: চট্টগ্রাম থেকে আরাকান পর্বতমালা পর্যন্ত প্রবাহিত।
-
নদীর দৈর্ঘ্য: প্রায় ২৮৭ কিমি।
-
মাতামুহুরী মোহনা: বঙ্গোপসাগরে একটি চওড়া বদ্বীপ সৃষ্টি করেছে, যা ভোলাখাল থেকে খুটাখালি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
বদ্বীপটির বৈশিষ্ট্য: সুন্দরবনের বৈশিষ্ট্যধারী, খাঁড়ি ও গরান বনের আচ্ছাদনসহ ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
-
চাষাবাদ: বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে পুরো এলাকা চাষাবাদের অধীনে আনা হয়েছে।
-
প্রধান উপজেলা: চকোরিয়া।
মাতামুহুরী নদী এই অঞ্চলের পরিবেশ ও কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে চাষাবাদে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে ভূমিকা শক্তিশালী হয়েছে।
0
Updated: 3 days ago