টেস্টিং সল্ট এর রাসায়নিক নাম হলো-
A
সোডিয়াম ক্লোরাইড
B
সোডিয়াম কার্বনেট
C
সোডিয়াম স্টিয়ারেট
D
সোডিয়াম গ্লুটামেট
উত্তরের বিবরণ
খাবারে ব্যবহৃত সাধারণ লবণকে বলা হয় সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl)। এছাড়াও এক ধরনের লবণ আছে যাকে টেস্টিং সল্ট বা মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট (MSG) বলা হয়, যার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম গ্লুটামেট। এটি সাধারণত শুকনো খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়, যেমন পাউরুটি, চানাচুর ইত্যাদি।
-
সোডিয়াম ক্লোরাইড শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ, যা খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে এবং শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করে।
-
মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট (MSG) মূলত এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড থেকে তৈরি, যা খাবারে উমামি স্বাদ যোগ করে।
-
এটি খাদ্য সংযোজক (food additive) হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং স্বাদকে আরও তীব্র করে তোলে।
-
অতিরিক্ত MSG গ্রহণ করলে কিছু মানুষের মাথাব্যথা, তৃষ্ণা বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা হতে পারে।
-
এটি এশীয় খাবার, ফাস্ট ফুড, সুপ মিক্স, এবং চিপস-এর মতো প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 23 hours ago
কোনটি রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
লবণ পানিতে দ্রবীভূত হওয়া
B
মোম গলানো
C
দুধ থেকে দই হওয়া
D
বরফ গলে পানি হওয়া
পদার্থে পরিবর্তন মূলত দুই ধরনের হতে পারে—রাসায়নিক পরিবর্তন ও ভৌত পরিবর্তন। এ দুটির মধ্যে পার্থক্য পদার্থের অভ্যন্তরীণ গঠন ও বাহ্যিক রূপের পরিবর্তনের ওপর নির্ভর করে।
রাসায়নিক পরিবর্তন
-
এটি এমন পরিবর্তন যেখানে একটি পদার্থের অণুর গঠন পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ নতুন পদার্থ তৈরি হয়।
-
এ ধরনের পরিবর্তনের ফলে নতুন রাসায়নিক উপাদান বা যৌগ উৎপন্ন হয়।
-
উদাহরণ: লোহায় মরিচা ধরা, দুধ থেকে দই হওয়া, গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া, উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৃদ্ধি, ফল পাকলে লাল বা হলুদ হওয়া ইত্যাদি।
ভৌত পরিবর্তন
-
এটি এমন পরিবর্তন যেখানে পদার্থের অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক গঠন অপরিবর্তিত থাকে, তবে বাহ্যিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে।
-
এ ক্ষেত্রে পদার্থের রূপ, আকার, অবস্থান বা অবস্থার পরিবর্তন হয়, কিন্তু মৌলিক বৈশিষ্ট্য একই থাকে।
-
উদাহরণ: পানিকে তাপ দিয়ে বাষ্পে রূপান্তর করা, লবণ পানিতে দ্রবীভূত হওয়া, বরফ গলে পানি হওয়া, মোম তাপে গলে যাওয়া ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
এক্স-রের কোন বৈশিষ্ট্য সঠিক?
Created: 1 month ago
A
এক্স-রে সরল পথে গমন করে
B
এক্স-রে আলোর চেয়ে বড় তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ধারণ করে
C
এক্স-রে বিক্ষিপ্ত হয় তড়িৎ ক্ষেত্র দ্বারা
D
এক্স-রে গ্যাসের মধ্য দিয়ে গমনকালে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না
এক্স-রে (X-Rays) হলো এমন এক ধরনের তড়িৎচুম্বকীয় রশ্মি যা ১৮৯৫ সালে জার্মান বিজ্ঞানী প্রফেসর উইলিয়াম রঞ্জন আবিষ্কার করেন। পরে একে রঞ্জন রশ্মি নামেও ডাকা হয়। এক্স-রে তখন সৃষ্টি হয় যখন উচ্চগতির ইলেকট্রন কোনো ধাতব প্রতিবন্ধকের (Target) সাথে সংঘর্ষে বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং তার গতিশক্তি এক্স-রেতে রূপান্তরিত হয়।
এক্স-রের বৈশিষ্ট্য:
-
এক্স-রে সরল পথে চলে।
-
এক্স-রে অদৃশ্য, সাধারণ আলো রেটিনায় পড়লে দেখা যায় কিন্তু এক্স-রে দেখার অনুভূতি জাগায় না।
-
এটি তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
এক্স-রের তরঙ্গদৈর্ঘ্য আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চেয়ে অনেক ছোট।
-
এক্স-রে আলোর সমবেগে (≈ 3×10⁸ m/s) চলে।
-
আলোর মতো এক্স-রে প্রতিফলন, প্রতিসরণ, অপবর্তন ও পোলারাইজেশন করতে পারে।
-
এক্স-রে আলোর তড়িৎক্রিয়া প্রদর্শন করে।
-
এক্স-রে ফটোগ্রাফিক প্লেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
-
এক্স-রে তড়িৎ ক্ষেত্র বা চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা বিক্ষিপ্ত হয় না, অর্থাৎ কোনো চার্জ নেই।
-
এক্স-রে গ্যাসকে আয়নিত করতে সক্ষম।
-
এক্স-রে প্রতিপ্রভা (fluorescence) সৃষ্টি করতে পারে।
-
এক্স-রের ভেদন ক্ষমতা অত্যধিক।
-
এক্স-রে জীবন্ত কোষকে ধ্বংস করতে পারে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে প্রতি সেকেন্ডে কতবার পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের দিক পরিবর্তন হয়?
Created: 2 months ago
A
৪০ বার
B
১০০ বার
C
৬০ বার
D
৫০ বার
তড়িৎ প্রবাহ:
- দুটি ভিন্ন বিভবের ধাতব বস্তুকে যখন পরিবাহী তার দ্বারা যুক্ত করা হয় তখন তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়।
- যখন দুটি ভিন্ন বিভবের ধাতব বস্তুকে তার দ্বারা সংযুক্ত করা হয়, তখন নিম্ন বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তু থেকে ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন উচ্চ বিভবসম্পন্ন ধাতব বস্তুর দিকে প্রবাহিত হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ধাতব বস্তুর মধ্যে বিভব পার্থক্য বর্তমান থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত ঋণাত্মক আধানের এই প্রবাহ চলে।
- কোনোভাবে যদি ধাতব বস্তুদ্বয়ের মধ্যবর্তী বিভব পার্থক্য বজায় রাখা যায় তখন এই প্রবাহ নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে।
- ঋণাত্মক আধান বা ইলেকট্রনের এই প্রবাহের জন্যই তড়িৎ প্রবাহিত হয়।
- মূলত কোনো পরিবাহীর যেকোনো প্রস্থচ্ছেদের মধ্য দিয়ে একক সময়ে যে পরিমাণ আধান প্রবাহিত হয় তাই হলো তড়িৎ প্রবাহ।
- প্রচলিত তড়িৎ প্রবাহের দিক ইলেকট্রন প্রবাহের বিপরীত দিকে হয়।
- তড়িৎ প্রবাহের একক হলো অ্যাম্পিয়ার। একে সাধারণত A দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
- তড়িৎ প্রবাহ দুই প্রকার।
যথা-
(ক) পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বা পরিবর্তী প্রবাহ বা এসি প্রবাহ:
- যখন নির্দিষ্ট সময় পরপর তড়িৎ প্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয়, সেই তড়িৎ প্রবাহকে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে।
- বর্তমান বিশ্বের সকল দেশের তড়িৎ প্রবাহই পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ।
- এর কারণ তুলনামূলকভাবে এটি উৎপন্ন ও সরবরাহ করা সহজ এবং সাশ্রয়ী।
- পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের উৎস জেনারেটর বা ডায়নামো।
- দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে জেনারেটরের সাহায্যে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ উৎপন্ন করা হয়।
- পর্যায়বৃত্ত প্রবাহের দিক পরিবর্তন দেশভেদে বিভিন্ন হয়।
যেমন- বাংলাদেশে পর্যায়বৃত্ত প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে পঞ্চাশবার এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সেকেন্ডে ষাটবার দিক পরিবর্তন করে।
(খ) অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বা সমপ্রবাহ বা একমুখী প্রবাহ বা ডিসি প্রবাহ:
- যখন সময়ের সাথে সাধারণত তড়িৎ প্রবাহের দিকের কোনো পরিবর্তন না ঘটে, অর্থাৎ যে তড়িৎ প্রবাহ সবসময় একই দিকে প্রবাহিত হয়, সেই প্রবাহকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ বলে।
- তড়িৎ কোষ বা ব্যাটারি থেকে অপর্যায়বৃত্ত প্রবাহ পাওয়া যায়।
- আবার ডিসি জেনারেটরের সাহায্যেও এই প্রকার তড়িৎ প্রবাহ উৎপন্ন করা যায়।
0
Updated: 2 months ago