রক্তে কোলেস্টরল উপকারী , যদি রক্তে বেশি থাকে -
A
LDL
B
HDL
C
উভয়টি (ক+খ)
D
tg
উত্তরের বিবরণ
কোলেস্টেরল হলো একটি জৈব যৌগ যা হাইড্রোকার্বন কোলেস্টেইন থেকে উৎপন্ন হয় এবং এটি প্রাণী কোষের অপরিহার্য উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি লিপোপ্রোটিন নামক যৌগের মাধ্যমে রক্তে পরিবাহিত হয়, যা মূলত চর্বি ও প্রোটিনের মিশ্রণ। নিচে এর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো।
-
কোলেস্টেরল প্রাণী দেহের কোষঝিল্লির গঠন রক্ষা করে এবং হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে।
-
এটি লিপোপ্রোটিন এর মাধ্যমে রক্তে পরিবাহিত হয়, যা চর্বি দ্রবণীয় পদার্থকে পানিতে দ্রবণীয় অবস্থায় পরিবহন করতে সহায়তা করে।
-
প্রধানত তিন প্রকার লিপোপ্রোটিন বিদ্যমান— HDL, LDL এবং Triglycerides।
-
HDL (High-Density Lipoprotein) কে “ভালো কোলেস্টেরল” বলা হয়, কারণ এটি রক্ত থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণ করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
-
LDL (Low-Density Lipoprotein) কে “খারাপ কোলেস্টেরল” বলা হয়, কারণ এটি রক্তনালিতে জমে গিয়ে ধমনীর প্রাচীর সংকুচিত করে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ায়।
-
সাধারণভাবে, মানুষের রক্তে মোট কোলেস্টেরলের প্রায় ৭০% LDL থাকে, তবে এটি ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হতে পারে।
-
Triglycerides হলো এক ধরনের চর্বি, যা আমাদের খাদ্য ও দেহে শক্তি সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
-
খাদ্যে অতিরিক্ত চর্বি, মিষ্টি বা অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে Triglycerides এর মাত্রা বেড়ে যায়, যা ওজন বৃদ্ধি ও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।
-
শরীরে HDL, LDL এবং Triglycerides-এর সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 23 hours ago
অগভীর পানিতে সুনামির শক্তি কেমন হয়?
Created: 1 month ago
A
বৃদ্ধি পায়
B
কমে যায়
C
অনির্ধারিত
D
অপরিবর্তিত থাকে
সুনামি হলো একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। Tsunami শব্দটি জাপানি; যেখানে ‘সু’ অর্থ বন্দর এবং ‘নামি’ অর্থ ঢেউ, অর্থাৎ সুনামি শব্দের অর্থ হলো বন্দরের ঢেউ।
-
সমুদ্রতলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস এবং নভোজাগতিক ঘটনা সুনামি সৃষ্টি করতে পারে।
-
সুনামিকে পৃথিবীর তৃতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
-
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগটি সাধারণত শুধুমাত্র সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প ঘটলে সুনামি তৈরি হয়।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর স্বরণকালের ভয়ঙ্কর একটি সুনামি সংঘটিত হয়।
-
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে সৃষ্টি হয়েছিল ট্রাক্টনিক ভূমিকম্প।
-
ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে তৈরি এই মারাত্মক ভূমিকম্প রিখটার স্কেলে নয় মাত্রার ছিল।
-
এই জলোচ্ছাসে প্রায় তিন লাখ মানুষ নিহত হয়, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার আচেহ প্রদেশে নিহত হয় এক লাখ মানুষ।
-
অগভীর পানিতে যাওয়ার সময় সুনামি তার শক্তি হারায়, অর্থাৎ কমে যায়।
-
বঙ্গোপসাগরে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানি বাংলাদেশকে সুনামির প্রভাবে রক্ষা করে।
-
১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল বঙ্গোপসাগরের আরাকান অঞ্চলে সংঘটিত ভূমিকম্প থেকে সৃষ্ট সুনামি বাংলাদেশে আঘাত এনেছিল।
0
Updated: 1 month ago
মানবদেহে রক্তের কত শতাংশ রক্তরস থাকে?
Created: 2 months ago
A
৪৫%
B
৫৫%
C
৬৫%
D
৭৫%
রক্তরস (Plasma)
৯১–৯২% পানি
৮–৯% জৈব ও অজৈব পদার্থ
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
লাল বর্ণের অস্বচ্ছ তরল যোজক টিস্যু
অল্প ক্ষারধর্মী ও লবণাক্ত
পরিমাণ
পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে রক্ত: প্রায় ৫–৬ লিটার
দেহের মোট ওজনের প্রায় ৮%
রক্তের রঙ
মানুষসহ মেরুদণ্ডী প্রাণীর রক্ত লাল
কারণ: রক্তে হিমোগ্লোবিন (লোহিত প্রোটিন) থাকে
হিমোগ্লোবিন + অক্সিজেন → অক্সিহিমোগ্লোবিন (O₂ পরিবহন করে)
গ্যাস পরিবহন
O₂ → হিমোগ্লোবিন দ্বারা পরিবাহিত হয়
CO₂ →
সামান্য অংশ হিমোগ্লোবিন দ্বারা
প্রধানত বাইকার্বনেট আয়ন (HCO₃⁻) আকারে
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
শরীরের কোষে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য কোন রক্তকণিকা দায়ী?
Created: 1 month ago
A
নিউট্রোফিল
B
প্লাজমা
C
এরিথ্রোসাইট
D
থ্রম্বোসাইট
এরিথ্রোসাইট (লোহিত রক্তকণিকা) হলো মানবদেহের প্রধান রক্তকণিকাগুলোর মধ্যে একটি, যার প্রধান কাজ হলো ফুসফুস থেকে সারা শরীরে অক্সিজেন পরিবহন করা।
প্রধান বৈশিষ্ট্য ও কার্যাবলী:
-
এরিথ্রোসাইট বা লোহিত রক্তকণিকা রক্তের মোট আয়তনের প্রায় ৪৫% দখল করে।
-
এতে থাকা হিমোগ্লোবিন নামক লৌহযুক্ত প্রোটিন ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে শরীরের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেয়।
-
লোহিত রক্তকণিকার আয়ু ১২০ দিন।
-
লাল অস্থিমজ্জা (Red Bone Marrow) লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে।
-
তৈরি হওয়ার পর, লোহিত রক্তকণিকা প্লীহায় (Spleen) সঞ্চিত থাকে এবং প্রয়োজনে রক্তপ্রবাহে সরবরাহ করা হয়।
-
রক্তকণিকার মধ্যে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
-
লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস নেই এবং এর আকৃতি হলো দ্বি-অবতল বৃত্তাকার।
উল্লেখযোগ্য অন্যান্য রক্তকণিকা ও উপাদান:
-
নিউট্রোফিল (Neutrophil): শ্বেত রক্তকণিকা, যা রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
প্লাজমা (Plasma): রক্তের তরল অংশ, যা হরমোন, প্রোটিন ও পুষ্টি উপাদান পরিবহন করে।
-
থ্রম্বোসাইট (Platelets): রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
0
Updated: 1 month ago