তোমার এ পূণ্য প্রচেষ্টা সফল হোক। বাক্যটিতে 'পূণ্য' শব্দটি হলো-
A
বিশেষ্য
B
বিশেষণ
C
অব্যয়
D
ক্রিয়া
উত্তরের বিবরণ
বাক্যটিতে ‘পূণ্য’ শব্দটি এমন একটি শব্দ যা ‘প্রচেষ্টা’ শব্দকে বিশেষিত করেছে, অর্থাৎ এটি প্রচেষ্টার গুণ বা ধর্ম প্রকাশ করছে। তাই এটি বিশেষণবাচক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
‘পূণ্য প্রচেষ্টা’ বলতে বোঝানো হয়েছে এমন এক প্রচেষ্টা যা নৈতিকভাবে বা ধর্মীয়ভাবে ভালো।
-
এখানে ‘পূণ্য’ শব্দটি গুণবাচক অর্থে ব্যবহৃত, যা কোনো কিছুর ভালো বা মহৎ দিক প্রকাশ করে।
-
বাংলা ব্যাকরণে যখন কোনো শব্দ অন্য কোনো বিশেষ্যকে বিশেষিত করে, তখন সেটিকে বিশেষণ বলা হয়।
-
এই বাক্যে ‘প্রচেষ্টা’ একটি বিশেষ্য, আর ‘পূণ্য’ তার বিশেষণ।
-
উদাহরণস্বরূপ, যেমন ‘সৎ কাজ’, ‘বুদ্ধিমান ছাত্র’, ‘সুন্দর ফুল’ — এখানেও প্রথম শব্দগুলো পরবর্তী বিশেষ্যকে বিশেষিত করছে, একইভাবে ‘পূণ্য প্রচেষ্টা’-তেও তাই হয়েছে।
-
অর্থাৎ, ‘পূণ্য’ শব্দটি গুণবাচক বিশেষণ, যা প্রচেষ্টার ধর্ম বা মান বোঝায়।
0
Updated: 23 hours ago
'নগর' শব্দের বিশেষণ পদ -
Created: 5 months ago
A
নাগরীকত্ব
B
নাগরক
C
নগরসমেত
D
নাগরী
'নগর' শব্দের বিশেষণ: নাগরক।
'নাগরক' শব্দের অর্থ:
-
নগরে বসবাসকারী,
-
নগররক্ষক।
অন্যদিকে,
বিশেষ্য পদ: নাগরী, নাগরীকত্ব।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান।
0
Updated: 5 months ago
'জিন্দা' শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত?
Created: 2 months ago
A
উর্দু
B
ফারসি
C
আরবি
D
হিন্দি
জিন্দা (বিশেষণ)
-
উৎপত্তি: ফারসি ভাষা
-
অর্থ:
-
জীবিত
-
জীবন্ত
-
ফারসি ভাষার আরও কিছু শব্দ:
-
খোদা, গুনাহ, দোজখ, ফেরেশতা, আমদানি, রপ্তানি, বেহেশত, নমুনা, রোজা, হাঙ্গামা
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান
0
Updated: 2 months ago
“এ মাটি সোনার বাড়া“ - এ উদ্ধৃতিতে ‘সোনা’ কোন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
বিশেষণের অতিশায়ন
B
উপাদানবাচক বিশেষণ
C
রূপবাচক বিশেষণ
D
বিধেয় বিশেষণ
এই বাক্যে “এ মাটি সোনার বাড়া” কথাটি একটি আবেগমিশ্রিত রূপক প্রয়োগ, যেখানে ‘সোনা’ শব্দটি বাস্তব অর্থে ধাতুবিশেষ নয়, বরং মাটির গুণ, মূল্য ও মর্যাদা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। এখানে বক্তা নিজের দেশের মাটির প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন, যেন মাটি নিজেই অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়েছে। তাই এই ‘সোনা’ শব্দটি বিশেষণের অতিশায়ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
এখানে মূল ভাবটি বোঝার জন্য নিচের দিকগুলো লক্ষ্য করা যায়—
মাটিকে সোনার সঙ্গে তুলনা করে তার মূল্যবান ও শ্রেষ্ঠত্ব বোঝানো হয়েছে। বাস্তবে মাটি ধাতু নয়, কিন্তু ভালোবাসা ও গর্ব প্রকাশের জন্য ‘সোনা’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
বাংলা ভাষায় বিশেষণের অতিশায়ন তখন ঘটে, যখন কোনো গুণ বা বৈশিষ্ট্যকে অতিরিক্তভাবে প্রকাশ করে কোনো কিছুর শ্রেষ্ঠত্ব বা মহিমা বোঝানো হয়। এই অতিরঞ্জন বাস্তব নয়, কিন্তু ভাবপ্রকাশে গভীরতা আনে।
“এ মাটি সোনার বাড়া” কথায় বক্তা বোঝাতে চেয়েছেন যে, এই দেশের মাটি এত উর্বর, এত প্রিয় ও সমৃদ্ধ যে তা সোনার মতো মূল্যবান। অর্থাৎ এখানে মাটির গুণকে অতিরঞ্জনের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে।
যদি বাক্যে “রূপবাচক বিশেষণ” ব্যবহৃত হতো, তবে তা কোনো নির্দিষ্ট গুণ বা রূপের দিক নির্দেশ করত, যেমন “নীল আকাশ” বা “সবুজ মাঠ”। কিন্তু ‘সোনার মাটি’ বাস্তব রঙ বা উপাদানের কথা বলে না, বরং মূল্য ও মর্যাদা বোঝায়।
‘উপাদানবাচক বিশেষণ’ ব্যবহৃত হয় তখন, যখন কোনো বস্তুর গঠনের উপাদান বোঝানো হয়, যেমন “লোহার দরজা” বা “সোনার আংটি”। কিন্তু এখানে মাটি বাস্তবেই সোনার তৈরি নয়, তাই তা প্রযোজ্য নয়।
‘বিধেয় বিশেষণ’ ব্যবহৃত হয় কর্তা বা পদ সম্পর্কে মন্তব্য করতে, যেমন “সে ভালো”, “ফুল সুন্দর”—কিন্তু “এ মাটি সোনার বাড়া” তে ‘সোনা’ কর্তার বিধেয় নয়, বরং তার গুণের অতিশায়ন।
সুতরাং, এই বাক্যে ‘সোনা’ শব্দটি মাটির অতুলনীয় মূল্য ও গৌরব প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত অতিশয়ণমূলক বিশেষণ। এর মাধ্যমে বক্তা দেশপ্রেম, গর্ব ও আবেগের এক গভীর রূপ তুলে ধরেছেন। এটি সাহিত্যিক অলঙ্কারে এক ধরণের অতিশয়োক্তি বা hyperbole, যা ভাষার আবেগঘন সৌন্দর্য বাড়ায়।
তাই এই উদ্ধৃতিতে ‘সোনা’ শব্দটি বিশেষণের অতিশায়ন হিসেবে ব্যবহৃত, যা মাটির প্রতি অতিরিক্ত প্রশংসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।
0
Updated: 2 weeks ago