নিচের কোনটি শরৎচন্দ্র সাহিত্যের চরিত্র নয়?
A
সাবিত্রী
B
সুরবালা
C
গফুর
D
ষোড়শী
উত্তরের বিবরণ
সাহিত্যের চরিত্র বিশ্লেষণে লেখকের স্বকীয়তা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনাগুলোয় প্রধানত সমাজবাস্তবতা, মানবপ্রেম ও নারীজীবনের সংগ্রাম ফুটে ওঠে। এখানে সুরবালা চরিত্রটি শরৎচন্দ্রের নয়, বরং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “একরাত্রি” গল্পের চরিত্র, তাই এটি অন্য তিনটির থেকে আলাদা।
-
সুরবালা এসেছে রবীন্দ্রনাথের গল্প “একরাত্রি” থেকে, যা মানবসম্পর্ক ও ত্যাগের এক গভীর দৃষ্টান্ত।
-
সাবিত্রী শরৎচন্দ্রের “পল্লীসমাজ” উপন্যাসের চরিত্র, যিনি আদর্শ নারী রূপে পরিচিত।
-
গফুর শরৎচন্দ্রের “মহেশ” গল্পের দরিদ্র মুসলমান চরিত্র, যা সাম্প্রদায়িক মানবতার প্রতীক।
-
ষোড়শী শরৎচন্দ্রের “দত্তা” উপন্যাসের নায়িকা, বুদ্ধিমতী ও দৃঢ়চেতা নারীচরিত্র।
তাই স্পষ্ট যে, সুরবালা শরৎচন্দ্র সাহিত্যের চরিত্র নয়।
0
Updated: 1 day ago
শচীন, দামিনী ও শ্রীবিলাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
চতুরঙ্গ
B
চার অধ্যায়
C
নৌকাডুবি
D
ঘরে বাইরে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ১৮৬১-১৯৪১ সালে জীবিত, একজন বহুপ্রতিভাবান ব্যক্তি যিনি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত।
তিনি মূলত কবি হিসেবেই বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত, এবং ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। এশিয়ার মধ্যে তিনিই প্রথম এই গৌরব অর্জন করেন। রবীন্দ্রনাথ মোট বারোটি উপন্যাস রচনা করেছেন।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস হলো চতুরঙ্গ, যা প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে।
-
এটি তাঁর সর্বশেষ উপন্যাস, যা সাধু ভাষায় লেখা।
-
চতুরঙ্গ সমালোচকদের মধ্যে বিশেষভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিল, কারণ প্রথমে এটি মাসিক পত্রিকা **‘সবুজপত্র’**ে ১৩২১ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
-
প্রথম প্রকাশের সময় প্রতিটি অধ্যায় আলাদা আলাদা গল্প হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। এই গল্পগুলোর নাম ছিল জ্যাঠামশায়, শচীশ, দামিনী, শ্রীবিলাস।
উপন্যাসের মূল চরিত্রগুলো:
-
জ্যাঠামশায়
-
শচীশ
-
দামিনী
-
শ্রীবিলাস
-
তৎকালীন ‘সবুজপত্র’ পাঠকরা ভাবতেন যে তারা আলাদা আলাদা গল্প পড়ছেন, কিন্তু পরে জানা যায় এগুলো ছিল এককভাবে চতুরঙ্গ উপন্যাসের অংশ।
-
রবীন্দ্রনাথ নিজেই উপন্যাসটির সংক্ষিপ্ত বিবরণে উল্লেখ করেছেন: “এই বইখানির নাম চতুরঙ্গ। ‘জ্যাঠামশায়’, ‘শচীশ’, ‘দামিনী’ ও ‘শ্রীবিলাস’ ইহার চারি অংশ।”
0
Updated: 1 month ago
'সৃষ্টিরহস্য' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
আরজ আলী মাতুব্বর
B
আহমদ শরীফ
C
হুমায়ূন আজাদ
D
ড. আনিসুজ্জামান
আরজ আলী মাতুব্বর
-
আরজ আলী মাতুব্বর ছিলেন একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও স্বশিক্ষিত দার্শনিক।
-
তিনি ১৩০৭ বঙ্গাব্দের ৩ পৌষ বরিশাল জেলার লামচরি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
গ্রামের মক্তবে কয়েক মাস লেখাপড়া করার পর নিজ প্রচেষ্টায় নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন।
-
তিনি মূলত বস্তুবাদী দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন। মানবজীবন, প্রকৃতি-পরিবেশ, জড়জগৎ ও বিশ্ব-সংসার থেকে পাঠ নিয়ে তিনি নিজস্ব মতবাদ গড়ে তোলেন।
-
তাঁর রচনায় মুক্তচিন্তা ও যুক্তিবাদী দর্শনের ছাপ স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
১৩৯২ বঙ্গাব্দের ১ চৈত্র তিনি বরিশালেই মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
সৃষ্টিরহস্য (১৯৭৭)
-
সত্যের সন্ধান (১৯৭৩)
-
মুক্তমন (১৯৮৮)
0
Updated: 1 month ago
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বড়াই কি ধরনের চরিত্র?
Created: 3 months ago
A
শ্রী রাধার ননদিনী
B
শ্রী রাধার শাশুড়ি
C
রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতী
D
জনৈক গোপবালা
‘বড়ায়ি’ ছিলেন রাধাকৃষ্ণ প্রেমপর্বের একজন গুরুত্বপূর্ণ দূতী চরিত্র।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রাচীনতম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বিশেষভাবে স্বীকৃত।
১৯০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামে শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘরে পুথিটি আবিষ্কার করেন বিশিষ্ট পণ্ডিত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ।
পুথিটির প্রারম্ভে কোনো শিরোনাম অনুপস্থিত থাকায়, আবিষ্কারক বসন্তরঞ্জন রায়ই একে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে অভিহিত করেন। একে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও চিহ্নিত করা হয়।
১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর উদ্যোগে এই পুথিটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়, বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায়।
চলমান পাণ্ডুলিপির প্রথম দুটি ও শেষ পৃষ্ঠা অনুপস্থিত থাকায় কবির পরিচয় নির্দিষ্টভাবে পাওয়া না গেলেও, কবিতায় পাওয়া “চণ্ডীদাস” ও “বড়ু চণ্ডীদাস” নামের ভিত্তিতে এই কাব্যের রচয়িতা হিসেবে বড়ু চণ্ডীদাস-কে গ্রহণ করা হয়েছে।
এই কাব্যটি মূলত এক গীতি-আলেখ্য যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার প্রেমপর্বের নানা রূপ ও পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে।
এখানে তিনটি মুখ্য চরিত্র—শ্রীকৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি—যারা কাব্যের কাহিনি গঠনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মোট ১৩টি খণ্ডে বিভক্ত, যেগুলো হলো:
-
জন্ম খণ্ড
-
তাম্বুল খণ্ড
-
দান খণ্ড
-
নৌকা খণ্ড
-
ভার খণ্ড
-
ছত্র খণ্ড
-
বৃন্দাবন খণ্ড
-
কালিয়দমন খণ্ড
-
যমুনা খণ্ড
-
হার খণ্ড
-
বাণ খণ্ড
-
বংশী খণ্ড
-
বিরহ খণ্ড
এই কাব্য বাংলা সাহিত্য এবং ধর্মীয় ভক্তিমূলক চর্চার এক অমূল্য নিদর্শন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 3 months ago