উপসর্গের কাজ কী?
A
নতুন শব্দ গঠন করা
B
শব্দের বিরতি দেখানো
C
শব্দের অর্থ বোঝানো
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
উপসর্গ মূল শব্দের আগে যুক্ত হয়ে তার অর্থ পরিবর্তন করে বা ভিন্ন অর্থের নতুন শব্দ তৈরি করে। এটি বাংলা ভাষায় শব্দ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে।
-
উপসর্গ মানে হলো ‘শব্দের আগে বসা অংশ’, যা মূল শব্দের অর্থে পরিবর্তন আনে।
-
এটি মূল শব্দের অর্থ, ভাব বা প্রয়োগে নতুনত্ব সৃষ্টি করে।
-
যেমন: ‘অ’ + শুভ = অশুভ, এখানে ‘অ’ উপসর্গটি ‘শুভ’ শব্দের বিপরীত অর্থ তৈরি করেছে।
-
উপসর্গের ফলে ভাষা হয় বহুমাত্রিক ও সমৃদ্ধ।
-
বাংলা ভাষায় প্রায় ৫০টির মতো সাধারণ উপসর্গ ব্যবহৃত হয়, যেমন অ-, অন-, উপ-, অধি-, সু- ইত্যাদি।
0
Updated: 1 day ago
’অনুক্ষণ’ শব্দে ’অনু’ উপসর্গটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
পশ্চাৎ
B
সাদৃশ্য
C
সঙ্গে
D
পৌনঃপুন
‘অনু’ উপসর্গ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। ‘অনুক্ষণ’ শব্দে এটি পৌনঃপুন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
পশ্চাৎ অর্থে:
-
অনুশোচনা, অনুগামী, অনুজ, অনুচর, অনুতাপ, অনুকরণ
-
-
সাদৃশ্য অর্থে:
-
অনুবাদ, অনুরূপ, অনুকার
-
-
পৌনঃপুন অর্থে:
-
অনুক্ষণ, অনুদিন, অনুশীলন
-
-
সঙ্গে অর্থে:
-
অনুকূল, অনুকম্পা
-
-
‘অনু’ একটি তৎসম উপসর্গ, যা শব্দের অর্থ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
অন্যান্য কিছু তৎসম উপসর্গের উদাহরণ: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ
-
এই উপসর্গগুলো বাংলা শব্দগঠনে অর্থ ও ব্যবহার নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ ব্যাকরণের কোন অংশের অন্তর্ভুক্ত করা যায়?
Created: 3 months ago
A
সন্ধি
B
উপসর্গ
C
কারক
D
প্রত্যয়
সঠিক উত্তর: খ) উপসর্গ।
অব্যয়ীভাব সমাস
যখন অব্যয় (যেমন: উপ, প্রতি, নির্, অনু) ধরনের শব্দ বিশেষ্য বা অন্য কোনো পদের আগে বসে এবং সেইভাবে গঠিত শব্দের মানে সেই অব্যয়ের অর্থেই প্রকাশ পায়—তখন তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
এখানে মনে রাখতে হবে:
উপসর্গ হলো এক ধরনের অব্যয়।
তাই উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দগুলোকে অব্যয়ীভাব সমাস ধরা হয়।
এই সমাসে ব্যাসবাক্য (পূর্ণ বাক্য) গঠনের সময় আলাদা করে অব্যয়ের নাম বলা হয় না, কেবল তার অর্থ বোঝানো হয়।
উদাহরণসহ ব্যাখ্যা
১. উপকূল = উপ + কূল → কূলের কাছে
২. প্রতিদিন = প্রতি + দিন → প্রতিটি দিন
৩. নির্ভয় = নির্ + ভয় → ভয় নেই এমন
৪. অনুকূল = অনু + কূল → কূলের অনুগত
এই শব্দগুলোর বৈশিষ্ট্য
-
এগুলো উপসর্গ + বিশেষ্য পদের মিলনে গঠিত।
-
নতুন অর্থ তৈরি করে।
-
বাংলা ব্যাকরণে এদের উপসর্গ হিসেবেও ধরা হয়।
অন্যান্য অপশন কেন নয়
-
ক) সন্ধি: ধ্বনির মিলন সংক্রান্ত।
-
গ) কারক: বিভক্তি ও পদের সম্পর্ক বোঝায়।
-
ঘ) প্রত্যয়: শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হয়।
উৎস: ভাষাশিক্ষা – ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 3 months ago
”উৎপীড়ন”শব্দে ’উৎ’ উপসর্গটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
অতিশয্য
B
প্রস্তুতি
C
ঊর্ধ্বমুখিতা
D
উপকর্ষ
‘উৎ’ উপসর্গটি সংস্কৃত তৎসম উপসর্গ, যা শব্দে যুক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে। ‘উৎপীড়ন’ শব্দে এটি ‘অতিশয্য’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে, অর্থাৎ অত্যধিক বা অতিরিক্ত পীড়ন বোঝায়। নিচে ‘উৎ’ উপসর্গটির বিভিন্ন অর্থে ব্যবহারের উদাহরণ দেওয়া হলো—
-
ঊর্ধ্বমুখিতা অর্থে: উদ্যম, উন্নতি, উৎক্ষিপ্ত, উদগ্রীব, উত্তোলন।
-
অতিশয্য অর্থে: উচ্ছেদ, উত্তপ্ত, উৎফুল্ল, উৎসুক, উৎপীড়ন।
-
প্রস্তুতি অর্থে: উৎপাদন, উচ্চারণ।
-
উপকর্ষ অর্থে: উৎকোচ, উচ্ছৃঙ্খল, উৎকট।
0
Updated: 3 weeks ago