‘আমার জ্বর জ্বর লাগছে’ - এটি কোন ধরনের বাক্য?
A
দ্বিরুক্ত
B
সরল বাক্য
C
মিশ্র
D
যৌগিক
উত্তরের বিবরণ
বাক্যটি সহজভাবে একটি ভাব প্রকাশ করছে, যেখানে কর্তা ও ক্রিয়া মাত্র একবার ব্যবহৃত হয়েছে। এতে কোনো উপবাক্য বা সংযোজক পদ নেই, তাই এটি সরল বাক্য হিসেবে গণ্য হয়।
-
‘আমার’ শব্দটি এখানে কর্তা হিসেবে কাজ করছে।
-
‘জ্বর জ্বর লাগছে’ অংশটি হলো বিধেয়, যা একটি সমাপিকা ক্রিয়া বহন করছে।
-
বাক্যে কোনো সংযোজক পদ বা উপবাক্য নেই, যা যৌগিক বা মিশ্র বাক্যে দেখা যায়।
-
যদিও ‘জ্বর জ্বর’ একটি দ্বিরুক্ত শব্দ, এটি বাক্যের গঠনকে প্রভাবিত করেনি।
-
তাই পুরো বাক্যটি একটি ভাব ও একটিমাত্র ক্রিয়া প্রকাশ করায় এটি সরল বাক্য।
0
Updated: 1 day ago
বিশেষ নিয়মে গঠিত স্ত্রী বাচক শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বালক-বালিকা
B
দু:খী - দু:খিনী
C
খান-খানম
D
নর-নারী
বিশেষ নিয়মে গঠিত স্ত্রী বাচক শব্দ হলো সেই শব্দ যা স্বাভাবিক নারীবাচক প্রিফিক্স বা সাফিক্স (যেমন: -কা, -িনী, -ম) ব্যবহার না করে আলাদা রূপ ধারণ করে।
-
যেমন:
-
“নর” (পুরুষ) এর স্ত্রীবাচক রূপ হলো “নারী”। এখানে কোনো সাধারণ নারী-বাচক যোগ (যেমন -কা, -িনী) ব্যবহার হয়নি। এটি একটি স্বতন্ত্র রূপ, তাই এটি বিশেষ নিয়মে গঠিত।
-
-
অন্যগুলো:
-
বালক → বালিকা (সাধারণভাবে -কা যোগ করা হয়েছে)
-
দুঃখী → দুঃখিনী (-নী যোগ)
-
খান → খানম (-ম যোগ)
এগুলো সাধারণ নিয়মে গঠিত স্ত্রীবাচক শব্দ।
-
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো ঘ) নর-নারী।
0
Updated: 1 month ago
নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে কী বলে?
Created: 1 month ago
A
যৌগিক ধ্বনি
B
অক্ষর
C
বর্ণ
D
মৌলিক স্বরধ্বনি
অক্ষর (Syllable)
-
মানুষের কণ্ঠযন্ত্রের সামান্য প্রয়াসে উচ্চারিত ক্ষুদ্রতম ধ্বনি বা শব্দাংশকে অক্ষর বা সিলেবল বলা হয়।
-
অক্ষর প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে—
(ক) মুক্তাক্ষর
(খ) বদ্ধাক্ষর
মুক্তাক্ষর
-
যখন একটি অক্ষর কেবলমাত্র একটি স্বরবর্ণ দ্বারা গঠিত হয়, তখন তাকে মুক্তাক্ষর বলে।
-
একে স্বরান্ত অক্ষর বা অযুগ্ম ধ্বনিও বলা হয়।
-
মুক্তাক্ষরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এর উচ্চারণ শেষে মুখ খোলা থাকে এবং অক্ষরকে চাইলে দীর্ঘায়িত করে উচ্চারণ করা যায়।
-
উদাহরণ: “ভালোবাসো যদি বলিবে না কেন?”
এখানে (ভা), (লো), (বা), (সো), (য), (দি), (ব), (লি), (বে), (না), (কে), (ন)—মোট ১২টি অক্ষরই মুক্তাক্ষর। -
মুক্তাক্ষর সাধারণত U চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
বদ্ধাক্ষর
-
যে সব অক্ষরের সমাপ্তি ঘটে ব্যঞ্জনধ্বনি বা অর্ধস্বরধ্বনি দিয়ে, সেগুলোকে বদ্ধাক্ষর বলা হয়।
-
একে যুগ্মাস্বরান্ত বা ব্যঞ্জনান্ত ধ্বনিও বলা হয়।
-
উদাহরণ: “সোম বার দিনরাত হরতাল।”
এখানে (সোম্), (বার্), (দিন্), (রাত), (হর্), (তাল্)—এই ৬টি অক্ষর বদ্ধাক্ষর। -
বদ্ধাক্ষরকে সাধারণত ( – ) চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হয়।
উৎস: বাংলা কবিতার ছন্দ বিশ্লেষণ এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 1 month ago
কোন শব্দের প্রয়োগ শুদ্ধ?
Created: 1 month ago
A
সময়কাল
B
নিরপরাধী
C
দুরাবস্থা
D
বিবদমান
মত পোষণকারী।
অন্যদিকে—
-
দুরাবস্থা — সন্ধি বিষয়ক অপপ্রয়োগ; শুদ্ধ রূপ: দুরবস্থা।
-
নিরপরাধী — সমাস-ঘটিত অপপ্রয়োগ; শুদ্ধ রূপ: নিরপরাধ।
-
সময়কাল — সমার্থ শব্দের বাহুল্যজনিত অপপ্রয়োগ; শুদ্ধ রূপ: সময় বা কাল।
0
Updated: 1 month ago