নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ নয় কোনটি?
A
দাই
B
রজকী
C
সৎমা
D
সতীন
উত্তরের বিবরণ
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ হলো সেই শব্দ, যার কোনো পুরুষবাচক রূপ নেই। অর্থাৎ শব্দটি সবসময় স্ত্রীবাচক অর্থেই ব্যবহৃত হয় এবং তার পুরুষবাচক রূপ তৈরি করা যায় না। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে ‘রজকী’ এর পুরুষবাচক রূপ ‘রজক’ আছে, তাই এটি নিত্য স্ত্রীবাচক নয়।
-
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ মানে যাদের কোনো পুরুষবাচক রূপ নেই।
-
যেমন: সতীন, সৎমা, দাই, সধবা, এয়ো— এদের কোনো পুরুষবাচক রূপ নেই।
-
‘রজকী’ শব্দটি ‘রজক’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ধোপা বা কাপড় ধোওয়া ব্যক্তি।
-
তাই ‘রজকী’ স্ত্রীবাচক হলেও এটি নিত্য স্ত্রীবাচক নয়, কারণ এর পুরুষবাচক রূপ বিদ্যমান।
0
Updated: 1 day ago
‘বীণাপাণি’ সমস্তপদটি কোন সমাস?
Created: 2 months ago
A
ব্যধিকরণে বহুব্রীহি
B
ব্যতিহার বহুব্রীহি
C
মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি
D
অলুক বহুব্রীহি
যে বহুব্রীহি সমাসে সমস্যমান পদের দুটিই বিশেষ্যপদ হয়, তাকে বলে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস। যেমন - বীণা পানিতে যার = বীণাপাণি আশীতে (দাঁতে) বিষ যার = আশীবিষ।
0
Updated: 2 months ago
কোনটি কর্মবাচ্যের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
চোরটা ধরা পড়েছে।
B
আমার খাওায়া হলো না।
C
ছাত্ররা অঙ্ক করছে
D
আমাকে এখন যেতে হবে।
কর্মবাচ্য হলো সেই ধরনের বাক্য, যেখানে কর্মের সাথে ক্রিয়ার সম্বন্ধ প্রধানভাবে প্রকাশিত হয়। এই ধরনের বাক্যে কর্মই বাক্যের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয় এবং ক্রিয়া তার সাথে সম্পর্কিত থাকে।
উদাহরণ:
-
আলেকজান্ডার কর্তৃক পারস্য দেশ বিজিত হয়।
-
চোরটা ধরা পড়েছে।
অন্যদিকে—
-
কর্তৃবাচ্য: ছাত্ররা অঙ্ক করছে।
-
ভাববাচ্য: আমার খাওয়ানো হলো না। আমাকে এখন যেতে হবে।
0
Updated: 1 month ago
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে শহিদ হয়েছিলেন কোন সাহিত্যিক?
Created: 1 month ago
A
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
B
জহির রায়হান
C
মুনীর চৌধুরী
D
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
সঠিক উত্তর হলো: মুনীর চৌধুরী
অন্যান্য অপশনের বিশ্লেষণ:
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়: তিনি ১৯৫৬ সালে মারা যান, তাই ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততা নেই।
-
জহির রায়হান: তিনি ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি নিখোঁজ হন (সম্ভবত নিহত), কিন্তু ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ডে নয়।
-
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী: তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবিত ছিলেন এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালে মারা যান।
মুনীর চৌধুরীর জীবনী ও সাহিত্যকর্ম
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, অনুবাদক এবং সাহিত্যসমালোচক। তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল নোয়াখালী জেলায়। বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও রাজনীতির বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি গভীর ভূমিকা রেখেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
-
জন্ম: ২৭ নভেম্বর ১৯২৫, মানিকগঞ্জ।
-
পৈতৃক নিবাস: নোয়াখালী জেলা।
-
ভাষা আন্দোলন: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের কারণে তিনি কারাবন্দী হন। জেলখানায় থেকেই ১৯৫৩ সালে তিনি তাঁর বিখ্যাত নাটক “কবর” রচনা করেন।
-
বাংলা টাইপরাইটার উদ্ভাবন: ১৯৬৫ সালে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে তিনি “মুনীর অপ্টিমা” নামের একটি বাংলা টাইপরাইটার কী-বোর্ড তৈরি করেন।
-
মৃত্যু: ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর হাতে অপহৃত ও হত্যাকাণ্ডে শহিদ হন।
মুনীর চৌধুরীর মৌলিক নাটক
-
কবর (১৯৫৩) — ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত।
-
রক্তাক্ত প্রান্তর — পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ অবলম্বনে।
-
মানুষ — ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে।
-
নষ্ট ছেলে — রাজনৈতিক চেতনাসমৃদ্ধ নাটক।
-
পলাশী ব্যারাক ও অন্যান্য — রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে।
-
দণ্ডকারণ্য — তিনটি নাটকের সমন্বয়ে রচিত।
-
রাজার জন্মদিন — সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রচিত এক অভিনব নাটক।
অনুবাদ নাটক
-
কেউ কিছু বলতে পারে না (১৯৬৯) — জর্জ বার্নার্ড শ’র You Never Can Tell অবলম্বনে।
-
রূপার কৌটা (১৯৬৯) — জন গলজ্ওয়র্দির The Silver Box অবলম্বনে।
-
মুখরা রমণী বশীকরণ (১৯৭০) — উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের Taming of the Shrew অবলম্বনে।
0
Updated: 1 month ago