কোন শব্দটি অপপ্রয়োগের দৃষ্টান্ত ?
A
অশ্রুজল
B
অঞ্জলি
C
কিংশুক
D
প্রদীপ (ব্যাখ্যা দেখুন)
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় অনেক সময় শব্দের ভুল প্রয়োগ ঘটে, যাকে অপপ্রয়োগ বলা হয়। এটি সাধারণত তখন ঘটে যখন একটি শব্দের অর্থের পুনরাবৃত্তি হয় বা শব্দের গঠন অপ্রয়োজনীয়ভাবে জটিল হয়ে পড়ে। নিচে এমন কিছু উদাহরণ তুলে ধরা হলো যা এই বিষয়টি স্পষ্ট করে।
• অশ্রুজল শব্দটি ভুল হিসেবে ধরা হয়, কারণ অশ্রু শব্দের অর্থই চোখের জল। তাই ‘অশ্রুজল’ বললে অর্থ দাঁড়ায় ‘চোখের জল জল’, যা বাহুল্যপূর্ণ।
• আয়ত্তাধীন শব্দটিও ভুল, কারণ আয়ত্ত অর্থই অধীন। ফলে ‘আয়ত্তাধীন’ ব্যবহার করলে একই অর্থ দুইবার প্রকাশিত হয়।
• জন্মবার্ষিকী শব্দের পরিবর্তে জন্মবার্ষিক ব্যবহারই যথার্থ; স্ত্রীলিঙ্গপ্রত্যয় যুক্ত রূপটি অপ্রয়োজনীয়।
• ভাষাভাষী শব্দের স্থলে ভাষী যথেষ্ট, কারণ ভাষাভাষী বলতে অর্থে পুনরুক্তি ঘটে।
তবে বাংলা একাডেমি অভিধান অনুসারে ‘অশ্রুজল’ ও ‘অশ্রুবারি’ শব্দ দুটি শুদ্ধ বলে স্বীকৃত।
0
Updated: 1 day ago
কোন যতিচিহ্নের থামার প্রয়োজন নেই?
Created: 1 month ago
A
প্রশ্নবোধক চিহ্ন
B
হাইফেন
C
পূর্ণচ্ছেদ
D
কোলন
নিচের যতিচিহ্নগুলোর থামার প্রয়োজন নেই:
-
হাইফেন
-
ইলেক বা লোপ চিহ্ন
-
ব্র্যাকেট
অন্যদিকে, যে যতিচিহ্নগুলোতে প্রায় এক সেকেন্ডের বিরাম প্রয়োজন:
-
দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ
-
প্রশ্নবোধক চিহ্ন
-
বিস্ময় চিহ্ন
-
কোলন
-
কোলন-ড্যাস
-
ড্যাস
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি?
Created: 1 day ago
A
১৩ টি ও ৩৮ টি
B
১৫ টি ও ৪১ টি
C
১০ টি ও ৩৭ টি
D
১১টি ও ৩৯ টি
বাংলা ভাষার বর্ণমালা অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও প্রাচীন। এতে ধ্বনিভিত্তিক দুটি প্রধান বর্ণগোষ্ঠী আছে— স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ। এদের সংখ্যার নির্দিষ্টতা বাংলা ভাষার গঠন ও উচ্চারণ নিয়ম বুঝতে সাহায্য করে।
-
বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০টি বর্ণ রয়েছে।
-
এর মধ্যে স্বরবর্ণ ১১টি, যেমন— অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
-
ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি, যেমন— ক থেকে হ পর্যন্ত বিভিন্ন ধ্বনির বর্ণ।
-
বাংলা ভাষায় এই বর্ণগুলো মিলে গঠিত হয় শব্দ, শব্দ থেকে বাক্য।
-
স্বরবর্ণ ছাড়া কোনো শব্দ উচ্চারণ করা যায় না, তাই এগুলোর ভূমিকা মৌলিক।
-
ব্যঞ্জনবর্ণ মূলত স্বরবর্ণের সহায়তায় উচ্চারিত হয় এবং শব্দের কাঠামো তৈরি করে।
0
Updated: 1 day ago
কোনটি প্রান্তিক বিরাম চিহ্ন?
Created: 1 month ago
A
ড্যাস
B
কোলন
C
কমা
D
বিস্ময় চিহ্ন
যতিচিহ্ন হলো সেই সাংকেতিক চিহ্ন যা বাক্যের অর্থ স্পষ্ট করতে বাক্যের মধ্যে বা শেষে ব্যবহৃত হয়। এটিকে ছেদ চিহ্ন বা বিরামচিহ্ন নামেও ডাকা হয়।
বাক্যে অবস্থান অনুযায়ী যতিচিহ্নকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা যায়—
প্রান্তিক বিরামচিহ্ন:
-
দাঁড়ি, প্রশ্নবোধক চিহ্ন, বিস্ময় চিহ্ন ইত্যাদি।
বাক্যান্তর্গত বিরামচিহ্ন:
-
কমা, সেমিকোলন, ড্যাস, হাইফেন ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago