হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিসের অভাবে হয়?
A
ভিটামিন ই
B
ইনসুলিন
C
ক্যালসিয়াম
D
রক্তের গ্লুকোজ
উত্তরের বিবরণ
হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলো শরীরে রক্তের গ্লুকোজ বা চিনির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যাওয়া। এটি এমন একটি অবস্থা, যা শরীরের শক্তির ঘাটতি তৈরি করে এবং মস্তিষ্কসহ বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলে।
-
হাইপোগ্লাইসেমিয়া শব্দটি এসেছে “Hypo” অর্থাৎ কম এবং “Glycemia” অর্থাৎ রক্তে গ্লুকোজ থেকে।
-
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকভাবে ৭০–১০০ mg/dL হয়ে থাকে। এর নিচে নামলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া ধরা হয়।
-
প্রধান কারণ হলো রক্তে পর্যাপ্ত গ্লুকোজের অভাব বা ইনসুলিনের অতিরিক্ত নিঃসরণ।
-
লক্ষণ হিসেবে দুর্বলতা, ঘাম, মাথা ঘোরা, ক্ষুধা, বিভ্রান্তি ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া দেখা দিতে পারে।
-
এটি দ্রুত চিকিৎসা না করলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় এবং মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
0
Updated: 1 day ago
মানুষের রক্তে শ্বেতকণিকা ও লোহিত কণিকার অনুপাত-
Created: 2 weeks ago
A
১:৫০০
B
১:৬৫০
C
২:৭০০
D
১:৭০০
মানুষের রক্তে লোহিত রক্তকণিকা RBC) ও শ্বেত রক্তকণিকা WBC)-এর মধ্যে অনুপাত সাধারণত প্রায় ১:৭০০, অর্থাৎ প্রতি ১টি শ্বেত রক্তকণিকার বিপরীতে প্রায় ৭০০টি লোহিত রক্তকণিকা থাকে। তাই, সঠিক উত্তর: ঘ) ১:৭০০।
0
Updated: 2 weeks ago
লোহিত কণিকার আয়ুষ্কাল কতদিন?
Created: 2 weeks ago
A
১২০ দিন
B
১০০ দিন
C
৮০ দিন
D
৬০ দিন
মানুষের লোহিত রক্তকণিকার আয়ুষ্কাল সাধারণত ১২০ দিন। এই সময় পর কণিকাগুলো spleen বা প্লীহায় নষ্ট হয় এবং নতুন কণিকা তৈরি হয়।
0
Updated: 2 weeks ago
মানুষের শরীরে কত প্রকারের রক্ত কণিকা আছে?
Created: 5 days ago
A
তিন
B
চার
C
দুই
D
পাঁচ
মানবদেহে রক্ত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তরল পদার্থ, যা শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে। রক্তের প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রক্ত কণিকা (Blood Cells)। মানুষের শরীরে মূলত তিন প্রকারের রক্ত কণিকা থাকে, যেগুলো শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
লাল রক্ত কণিকা (Red Blood Cells বা RBC):
এগুলো রক্তের সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উপস্থিত থাকে। এদের প্রধান কাজ হলো ফুসফুস থেকে অক্সিজেন শরীরের বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেওয়া এবং কোষ থেকে উৎপন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড ফুসফুসে ফিরিয়ে আনা। প্রতিটি লাল রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক লৌহজাত প্রোটিন থাকে, যা অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে রক্তকে লাল রঙ প্রদান করে। লাল রক্ত কণিকার আয়ু সাধারণত প্রায় ১২০ দিন। এরপর এগুলো লিভার ও প্লীহা (Spleen) দ্বারা ধ্বংস হয়। -
শ্বেত রক্ত কণিকা (White Blood Cells বা WBC):
এরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার (Immune System) মূল অংশ। শ্বেত রক্ত কণিকা বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ও অন্যান্য জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। এদের প্রধান কাজ হলো শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা। শ্বেত রক্ত কণিকা আবার বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত যেমন নিউট্রোফিল, লিম্ফোসাইট, মোনোসাইট, ইওসিনোফিল ও বেসোফিল। এদের সংখ্যা লাল রক্ত কণিকার তুলনায় অনেক কম হলেও কার্যক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। -
রক্তপ্লেটলেট (Platelets বা Thrombocytes):
এরা ছোট ও চ্যাপ্টা আকারের কোষাংশ, যাদের প্রধান কাজ হলো রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা। শরীরে কোথাও কাটা বা ক্ষত হলে প্লেটলেট সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে যায় এবং ক্ষতস্থানে জমে গিয়ে রক্তপাত বন্ধ করে দেয়। এদের আয়ু সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন। যদি প্লেটলেটের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়, তখন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা হেমোরেজের ঝুঁকি দেখা দেয়।
মানুষের শরীরে এই তিন ধরনের রক্ত কণিকা একসাথে কাজ করে শরীরের সামগ্রিক ভারসাম্য রক্ষা করে। লাল রক্ত কণিকা জীবনধারণে অপরিহার্য অক্সিজেন সরবরাহ করে, শ্বেত রক্ত কণিকা জীবাণুর আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে, আর রক্তপ্লেটলেট রক্তক্ষরণ বন্ধ করে দেহকে নিরাপদ রাখে।
অতএব, মানুষের শরীরে তিন প্রকারের রক্ত কণিকা আছে—লাল রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা ও রক্তপ্লেটলেট।
0
Updated: 5 days ago