সন্ধির নিয়ম অনুযায়ী আ + ঋ = আর হয়। অর্থাৎ দুটি শব্দ যখন মিলিত হয় এবং প্রথম শব্দের শেষে ‘আ’ থাকে আর দ্বিতীয় শব্দের শুরু হয় ‘ঋ’ দিয়ে, তখন ‘আ’ ও ‘ঋ’ মিলে ‘আর’ রূপ নেয়। এই নিয়মে শব্দগঠন করলে নিম্নরূপ পরিবর্তন ঘটে।
-
তৃষ্ণা + ঋত = তৃষ্ণার্ত
এখানে ‘আ’ (তৃষ্ণা) এবং ‘ঋ’ (ঋত) একত্র হয়ে ‘আর’ হয়েছে। ফলে নতুন শব্দ ‘তৃষ্ণার্ত’ গঠিত হয়েছে, যার অর্থ তৃষ্ণায় কাতর বা অত্যন্ত পিপাসিত ব্যক্তি।
-
একইভাবে, ক্ষুধা + ঋত = ক্ষুধার্ত, অর্থাৎ ‘ক্ষুধায় কাতর’।
-
এ নিয়ম অনুসারে ‘তৃষ্ণা + ঋত’ শব্দটি কখনো ‘তৃষ্ণাঋত’ হবে না, বরং নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়ে ‘তৃষ্ণার্ত’ হবে।
এইভাবে আ + ঋ = আর সন্ধির প্রয়োগে সঠিক শব্দরূপ গঠিত হয়, যা বাংলা ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ একটি সন্ধি-নিয়ম।