বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখিত কাব্যগ্রন্থ নয় কোনটি?
A
বনফুল
B
শ্যামলী
C
ঝরা পালক
D
পূরবী
উত্তরের বিবরণ
বাংলা আধুনিক কবিতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর অনন্য কাব্যভাষা ও স্বতন্ত্র ভাবধারার জন্য সাহিত্যজগতে বিশেষ স্থান অধিকার করেছেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ থেকেই তাঁর কবিতায় প্রকৃতি, নীরবতা, একাকিত্ব এবং দেশপ্রেমের অনন্য প্রকাশ দেখা যায়। নিচে তাঁর কাব্যগ্রন্থসমূহের তথ্য উপস্থাপন করা হলো।
-
‘ঝরা পালক’ (১৯২৮) জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যেখানে প্রেম, প্রকৃতি ও বিষণ্ণতার মিশ্রণ পাওয়া যায়।
-
তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ (১৯৩৬) আধুনিক বাংলা কবিতায় এক নতুন ধারা সৃষ্টি করে; এখানে বাস্তবতা ও অস্তিত্ববোধ গভীরভাবে প্রকাশ পায়।
-
‘রূপসী বাংলা’ রচিত হয় ১৯৩৪ সালে, তবে প্রকাশিত হয় মৃত্যুর পর ১৯৫৭ সালে। এতে বাংলার প্রকৃতি, নদী, ক্ষেত, গাছপালা ও গ্রামীণ জীবনের সৌন্দর্য কবিতার ছন্দে ফুটে উঠেছে।
-
‘সাতটি তারার তিমির’ (১৯৩৩) কাব্যগ্রন্থে কবির নিঃসঙ্গতা ও জীবনের অন্ধকার দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
-
‘বনলতা সেন’ (১৯৪২) তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ, যেখানে সময়, মৃত্যু, ও চিরন্তন নারীর প্রতীকে জীবনের ক্লান্তি প্রকাশিত হয়েছে।
-
‘মহাপৃথিবী’ (১৯৪৪) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রচিত, যেখানে মানবসভ্যতার পতন ও ধ্বংসের চিত্র উঠে এসেছে।
-
‘বেলা অবেলা কালবেলা’ (১৯৬১) মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়, যা তাঁর গভীর দার্শনিক ভাবনা ও জীবনবোধের প্রতিফলন।
জীবনানন্দ দাশের কাব্যকর্ম বাংলা কবিতাকে নতুন দিক নির্দেশ করেছে, যেখানে আধুনিকতার সঙ্গে প্রকৃতি, নীরবতা এবং সময়ের দর্শন মিলেমিশে এক অনন্য রূপ পেয়েছে।
0
Updated: 1 day ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত ছদ্মনাম-
Created: 1 month ago
A
বিস্যাসুন্দর ভাস্কর
B
ভানুমতি ঠাকুর
C
দিকশূণ্য ভট্টাচার্য
D
শ্রীমতি ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিভিন্ন সাহিত্যিক কাজের জন্য ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন।
-
সর্বাধিক ব্যবহৃত ছদ্মনাম: দিকশূণ্য ভট্টাচার্য
-
অন্য উল্লেখিত নাম যেমন ভানুমতি ঠাকুর, বিস্যাসুন্দর ভাস্কর, শ্রীমতি ঠাকুর রবীন্দ্রনাথের ছদ্মনাম নয়।
-
রবীন্দ্রনাথের নয়টি ছদ্মনাম:
-
ভানুসিংহ ঠাকুর
-
অকপটচন্দ্র ভাস্কর
-
আন্নাকালী পাকড়াশী
-
দিকশূণ্য ভট্টাচার্য
-
নবীনকিশোর শর্মণঃ
-
ষষ্ঠীচরণ দেবশর্মা
-
বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ
-
শ্রীমতি কনিষ্ঠা
-
শ্রীমতি মধ্যমা
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
Created: 1 month ago
A
১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ
B
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ
C
১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ
D
১৩৬৮ বঙ্গাব্দের ২২ বৈশাখ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অমর প্রতিভা, যিনি একাধিক ক্ষেত্রে তাঁর অবদান রেখেছেন—কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ এবং সমাজ-সংস্কারক হিসেবে। তিনি ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন এবং এশিয়ার বিদগ্ধ ও বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম এই গৌরব অর্জন করেন।
তাঁর জীবনবৃত্তান্তের মূল তথ্যসমূহ:
-
জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
-
পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
-
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান।
-
তিনি বাংলাদেশের শাহজাদপুর, পতিসর, কালিগ্রাম ও শিলাইদহে বসবাস করেছেন।
-
১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
বনফুল
-
কবিকাহিনী
-
গীতাঞ্জলি
-
পূরবী
-
শেষ লেখা
-
রবীন্দ্রনাথের কাব্যরচনা মানবতার অনুভূতি, প্রেম, প্রকৃতি, সামাজিক সচেতনতা ও আত্মিক অনুসন্ধানকে কেন্দ্র করে গঠিত।
-
তাঁর সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষার গৌরব বৃদ্ধি এবং বিশ্বসাহিত্যে স্বীকৃতি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago
'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী'র রচয়িতা কে?
Created: 6 days ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
বিদ্যাপতি
‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য কাব্যগ্রন্থ, যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত। তাই সঠিক উত্তর হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি এবং নোবেলজয়ী সাহিত্যিক। তাঁর কাব্যসৃষ্টি শুধু সাহিত্যিক নয়, বরং সামাজিক, দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক গভীরতাও ধারণ করে। ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ মূলত সেই ধারা-ই প্রকাশ করে, যেখানে রবীন্দ্রনাথ ছোটপদ্য ও সহজ ভাষার মাধ্যমে গভীর অর্থ ও মানবিক অনুভূতি ফুটিয়ে তোলেন।
এই কাব্যগ্রন্থে প্রধানভাবে লোকধর্ম, প্রেম, প্রকৃতি এবং মানবচেতনার সূক্ষ্ম আবেগ প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ বাংলা লোকসঙ্গীত, মধ্যযুগীয় পদাবলী ও ভক্তিকবিতার ধারাকে নিজস্ব রূপে সংমিশ্রিত করেছেন। গ্রন্থটির পদগুলোতে লক্ষ্য করা যায়—ভানুসিংহ ঠাকুর নামে একটি কাল্পনিক চরিত্রের জীবন ও অনুভূতির প্রতিফলন, যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন, আনন্দ-বেদনা এবং প্রেমের অনুভূতিকে কবিতার রূপ দিয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ এখানে পদ্যরূপের সংক্ষিপ্ত ও সরল আকার ব্যবহার করে, প্রতিটি কবিতায় একধরনের সঙ্গীতাত্মক ছন্দ বজায় রাখেন। এতে পাঠক সহজেই কবিতার ভাববিন্যাস ও গীতিময়তার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। তিনি প্রাচীন বাংলা পদাবলীর সরলতা বজায় রেখে আধুনিক কাব্যভাষার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যও প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তাঁর এই রচনার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে লোকসঙ্গীত এবং আধ্যাত্মিক কবিতার এক সুন্দর সংমিশ্রণ এসেছে। রবীন্দ্রনাথ প্রাচীন এবং আধুনিক বাংলা কাব্যধারার মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপন করেছেন। এছাড়া ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী তাঁর সামগ্রিক কাব্যসৃষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হিসেবে পরিচিত, যা পরবর্তী সময়ে বাংলা সাহিত্য ও গীতিকাব্যের বিকাশে প্রভাব ফেলেছে।
সারসংক্ষেপে, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা, যা বাংলা সাহিত্যকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছে। এটি শুধুমাত্র কবিতা নয়, বরং বাংলা সাহিত্যের সঙ্গীতাত্মক ও লোকধর্মমুলক ঐতিহ্যের এক অমূল্য নিদর্শন।
0
Updated: 6 days ago