মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কার সুপারিশ আবশ্যক হয়?
A
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
B
অ্যাটর্নী জেনারেল
C
আইনমন্ত্রী
D
কারোরই নয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান, তবে তাঁর ক্ষমতা সীমিত এবং মূলত প্রতীকী। কার্যনির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিপরিষদের হাতে ন্যস্ত। রাষ্ট্রপতি সংবিধানের নির্দিষ্ট ধারায় নির্ধারিত সীমার মধ্যে থেকেই দায়িত্ব পালন করেন। নিচে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
-
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সীমিত, কারণ বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা সংসদীয় গণতন্ত্রভিত্তিক, যেখানে কার্যনির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকে।
-
তিনি প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেন, তবে এ দুটি ক্ষেত্র ছাড়া অন্যান্য সকল বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেন।
-
জরুরি অবস্থা জারি করা, জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত বা ভঙ্গ করা, কিংবা মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগ—সবক্ষেত্রেই রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
-
সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন না, শুধু প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগের ক্ষেত্রটি ব্যতিক্রম।
-
রাষ্ট্রপতির ভূমিকা মূলত রাষ্ট্রের ঐক্যের প্রতীক, যিনি সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতা রক্ষা করেন এবং প্রশাসনিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন।
-
প্রয়োজনে তিনি রাষ্ট্রের জরুরি অবস্থা ঘোষণা বা অনুমোদন করেন, তবে সেটিও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যকর হয়।
-
এই সাংবিধানিক ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সরকারের নির্বাহী প্রধান, আর রাষ্ট্রপতি হলেন প্রধানত সংবিধান রক্ষক ও আনুষ্ঠানিক প্রধান।
অতএব, রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও প্রতীকী ভূমিকা পালন করেন, যেখানে তাঁর সকল কার্যক্রম মূলত প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে পরিচালিত হয়।
0
Updated: 1 day ago
রাষ্ট্রপতির কতদিনের জন্য তহবিল থেকে অর্থ অনুমোদনের ক্ষমতা আছে?
Created: 1 month ago
A
৯০ দিন
B
৩০ দিন
C
৪৫ দিন
D
৬০ দিন
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্বসমূহ
১. নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা:
-
প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী নিয়োগ।
-
শীর্ষ কর্মকর্তা যেমন মহাহিসাব রক্ষক, রাষ্ট্রদূত ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়োগ।
-
প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানদের নিয়োগ।
-
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ (প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ব্যতীত)।
২. সংসদ সংক্রান্ত ক্ষমতা:
-
জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান, স্থগিত ও ভেঙে দেওয়া (প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে)।
-
সংসদে ভাষণ ও বাণী প্রদান।
-
সংসদে পাস হওয়া বিলে সম্মতি দিয়ে আইন কার্যকর করা।
-
সংসদ ভেঙে গেলে বা অধিবেশন না থাকলে অধ্যাদেশ জারি।
৩. আর্থিক ক্ষমতা:
-
রাষ্ট্রপতির সম্মতি ছাড়া অর্থ বিল উত্থাপন সম্ভব নয়।
-
সংসদ অর্থ মঞ্জুর করতে ব্যর্থ হলে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের জন্য তহবিল থেকে অর্থ অনুমোদন।
৪. বিচার বিভাগীয় ক্ষমতা:
-
প্রধান বিচারপতির পরামর্শে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের নিয়োগ।
-
আদালত বা ট্রাইব্যুনালের প্রদত্ত দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করার ক্ষমতা।
৫. জরুরি অবস্থা ঘোষণা:
-
যুদ্ধ, বিদেশি আগ্রাসন বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা (প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে)।
৬. অন্যান্য দায়িত্ব:
-
জাতীয় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব।
-
খেতাব, পদক ও সম্মাননা প্রদান।
-
নাগরিকদের বিদেশি উপাধি গ্রহণের অনুমতি।
-
রাষ্ট্রীয় চুক্তি ও দলিল সম্পাদন।
-
বিদেশি কূটনীতিকদের পরিচয়পত্র গ্রহণ।
-
প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও বিচারপতিদের শপথ বাক্য পাঠ করানো।
৭. জবাবদিহিতা:
-
রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করবেন।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন কে?
Created: 3 months ago
A
রাষ্ট্রপতি
B
জাতীয় সংসদ
C
প্রধানমন্ত্রী
D
স্পীকার
প্রধান বিচারপতি
-
বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
-
এরপর, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে অন্যান্য বিচারপতিদের নিয়োগ দেন।
কে কে বিচারপতি হতে পারবেন না
কোন ব্যক্তি বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য হবেন না যদি—
১. তিনি বাংলাদেশের নাগরিক না হন; অথবা
২.
-
(ক) সুপ্রিম কোর্টে কমপক্ষে ১০ বছর আইনজীবী হিসেবে কাজ না করেন, অথবা
-
(খ) বাংলাদেশের ভেতরে ১০ বছর কোনো বিচার বিভাগীয় পদে কাজ না করেন, অথবা
-
(গ) আইনে নির্ধারিত যোগ্যতা পূরণ না করেন।
“সুপ্রিম কোর্ট”
এই অনুচ্ছেদে "সুপ্রিম কোর্ট" বলতে এমন সব আদালতকে বোঝানো হয়েছে, যারা সংবিধান কার্যকর হওয়ার আগে বাংলাদেশের মধ্যে হাইকোর্ট হিসেবে কাজ করেছে।
0
Updated: 3 months ago