গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান কবে গৃহীত হয়?
A
১২ অক্টোবর, ১৯৭২
B
০৪ নভেম্বর, ১৯৭২
C
১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭২
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন ছিল স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রগঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। স্বাধীনতা অর্জনের পর একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সংবিধান রচনার কাজ শুরু হয় এবং তা দ্রুত সম্পন্ন করা হয়। নিচে সংবিধান প্রণয়নের ধাপ ও সময়ক্রম তুলে ধরা হলো।
-
১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর জাতীয় গণপরিষদে সংবিধান উত্থাপন করা হয়।
-
বিস্তারিত আলোচনা ও সংশোধনের পর ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধানটি গৃহীত হয়।
-
এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় দিবসে, সংবিধান বলবৎ করা হয়।
-
সংবিধানটি ১১টি অধ্যায়, ১৫৩টি অনুচ্ছেদ ও ৪টি তফসিল নিয়ে গঠিত।
-
এতে জনগণের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা—এই চারটি মূলনীতি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
-
এই সংবিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে কার্যকরভাবে যাত্রা শুরু করে।
-
সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ছিলেন ড. কামাল হোসেন, যিনি আইনমন্ত্রী হিসেবে এ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন।
এভাবে ১৯৭২ সালের সংবিধান বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো, শাসনব্যবস্থা ও নাগরিক অধিকারের ভিত্তি স্থাপন করে।
0
Updated: 1 day ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান কার্যকর করা হয় কোন সালে?
Created: 3 days ago
A
১৯৭৩
B
১৯৭১
C
১৯৭২
D
১৯৭৪
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের জন্য ১১ এপ্রিল ১৯৭২ তারিখে একটি সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এরপর, ১২ অক্টোবর কমিটি খসড়া সংবিধান গণ পরিষদে উত্থাপন করে। ৪ নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী থেকে এটি কার্যকর হয়।
-
১১ এপ্রিল ১৯৭২: সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন।
-
১২ অক্টোবর ১৯৭২: খসড়া সংবিধান গণ পরিষদে উত্থাপন।
-
৪ নভেম্বর ১৯৭২: সংবিধান জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়।
-
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২: বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী থেকে সংবিধান কার্যকর হয়।
0
Updated: 3 days ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় -
Created: 1 month ago
A
১৭ জুন , ১৯৭২
B
২১ মার্চ, ১৯৭২
C
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
D
৪ নভেম্বর, ১৯৭২
বাংলাদেশের সংবিধান (১৯৭২) সংক্রান্ত তথ্য:
-
গৃহীত: ৪ নভেম্বর, ১৯৭২ (গণপরিষদ কর্তৃক)
-
কার্যকর: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ (বিজয় দিবস)
-
মোট অনুচ্ছেদ: ১৫৩ টি
-
অধ্যায়/ভাগ: ১১টি
-
তফসিল: ৭টি
-
মূলনীতি: ৪টি
-
প্রস্তাবনা: ১টি
0
Updated: 1 month ago
একজন সংসদ সদস্য স্পিকারের অনুমতি ব্যতিরেকে কত কার্যদিবস সংসদে অনুপস্থিত থাকলে সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে?
Created: 2 months ago
A
৬০ দিন
B
৪৫ দিন
C
৯০ দিন
D
কোনটি নয়
সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হওয়া
-
একজন সংসদ সদস্য স্পিকারের বিনা অনুমতিতে একাদিক্রমে ৯০ কার্যদিবস সংসদে অনুপস্থিত থাকলে সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে।
-
সংসদের আসন শূন্য হওয়ার শর্তসমূহ (সংবিধান, ৬৭(১) অনুচ্ছেদ):
১. নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করতে অসমর্থ হওয়া।-
শর্ত: স্পীকার যথার্থ কারণে মেয়াদ বর্ধিত করতে পারেন।
২. সংসদের অনুমতি ছাড়া একাদিক্রমে ৯০ বৈঠক-দিবস অনুপস্থিত থাকা।
৩. সংসদ ভাঙা হয়ে যাওয়া।
৪. সংসদ সদস্য সংবিধান ৬৬(২) অনুচ্ছেদের অধীনে অযোগ্য হয়ে যাওয়া।
৫. সংবিধান ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতি উদ্ভব হওয়া।
-
-
পদত্যাগের শর্ত:
-
সংসদ-সদস্য স্পীকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্র দিয়ে পদত্যাগ করতে পারবেন।
-
যদি স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ থাকেন, পত্র প্রাপ্তির মুহূর্তে সদস্যের আসন শূন্য গণ্য হবে।
-
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 2 months ago