মুক্তিযুদ্ধে মোট সাব-সেক্টর কয়টি ছিল?
A
১১ টি
B
৫৪ টি
C
৬৪ টি
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের সামরিক কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সমন্বয় করার জন্য পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের অধীনে আবার বিভিন্ন সাব-সেক্টর গঠন করা হয় যাতে মুক্তিবাহিনী সহজে কৌশলগতভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করতে পারে। নিচে এর বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো।
-
বাংলাদেশকে মোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল, প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন একজন সেক্টর কমান্ডার।
-
প্রতিটি সেক্টরকে আরও ছোট ইউনিটে বিভক্ত করা হয়, যা ৬৪টি সাব-সেক্টর নামে পরিচিত ছিল।
-
এই ৬৪টি সাব-সেক্টর পরবর্তীতে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় রূপান্তরিত হয়।
-
সেক্টরগুলোর ভিত্তিতে যুদ্ধের দায়িত্ব ও অঞ্চল নির্ধারিত ছিল—যেমন, ১ নম্বর সেক্টর ছিল চট্টগ্রাম অঞ্চলে, ২ নম্বর সেক্টর ঢাকা ও মধুপুর এলাকায়, ১১ নম্বর সেক্টর ছিল ময়মনসিংহ এলাকায়।
-
সেক্টর কমান্ডাররা ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবিরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা এবং অস্ত্র সরবরাহের কাজ পরিচালনা করতেন।
-
এই বিভাজনের ফলে মুক্তিযুদ্ধের কৌশলগত সমন্বয় সহজ হয় এবং বিভিন্ন অঞ্চলে সমানভাবে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।
-
পরবর্তীতে এই প্রশাসনিক কাঠামো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জেলা প্রশাসনিক বিন্যাসের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এইভাবে ১১টি সেক্টর ও ৬৪টি সাব-সেক্টরের পরিকল্পিত কাঠামো মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
0
Updated: 1 day ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে কতটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
Created: 1 week ago
A
১১টি
B
১০টি
C
৭টি
D
৫টি
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, সশস্ত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধার্থে এবং কার্যকরীভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি সেক্টরের একটি নিজস্ব কমান্ডার ছিল, যিনি সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিতেন।
এগুলো ছিল সেক্টরের নাম এবং তাদের কার্যক্রম:
-
প্রতিটি সেক্টরের নিজস্ব জোন ছিল, যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের বিভিন্ন শাখায় কাজ করতেন।
-
সেক্টরগুলো মধ্যে প্রত্যেকে স্থানীয় জনগণের সাহায্য ও প্রতিরোধ কর্মসূচি পরিচালনা করত।
-
সেক্টরগুলো ছিল প্রতিরোধের জায়গা, যেখানে শত্রু বাহিনীর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করা হত।
-
সেক্টরগুলোর মধ্যে ছিল যোদ্ধাদের জন্য প্রশিক্ষণ শিবির, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং অস্ত্র সংগ্রহের স্থান।
-
সেক্টরগুলির কার্যক্রম ছিল যুদ্ধের বিভিন্ন দিক যেমন যুদ্ধ কৌশল, যন্ত্রপাতির মেরামত এবং রসদ সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
অতএব, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল।
উ. ক) ১১টি
0
Updated: 1 week ago
লুসাইদের শস্য কাটার উৎসব কোনটি?
Created: 2 months ago
A
শর্মাকূত
B
পলকূত
C
মীমতূত
D
চাপচারকৃত
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
উৎসব
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
লুসাই নৃগোষ্ঠী
-
উত্পত্তি: লুসাই নৃগোষ্ঠীর মূল উৎস বার্মা বলে ধারণা করা হয়। তারা নিজেদের মঙ্গোলীয় বংশের উত্তরসূরি হিসেবে পরিচয় দেয়।
-
আবাসস্থল: বাংলাদেশে রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলায়, ভারতের মিজোরাম রাজ্যে।
-
ধর্ম: শতভাগ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
-
উৎসব: ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি প্রধান তিনটি উৎসব পালন করে—
-
চাপচারকূত – বসন্ত উৎসব
-
মীমতূত – মৃত আত্মাদের স্মরণে
-
পলকূত – শস্য কাটার উৎসব
-
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন কোন সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
৭নং
B
৬নং
C
১০নং
D
১১নং
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন (Bir Sreshtho Ruhul Amin)
-
সেক্টর সংযুক্তি: ১০নং নৌ সেক্টর
-
পদবী: স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার
-
জন্ম: ১৯৩৫, বাঘচাপড়া, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী
-
সেনাবাহিনীতে যোগদান: ১৯৫৩, জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, নৌবাহিনী
-
মুক্তিযুদ্ধ:
-
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে ২নং সেক্টরে যোগদান
-
পরবর্তীতে ১০নং নৌ সেক্টরে যুদ্ধ
-
১০ ডিসেম্বর ১৯৭১, দুপুর ১২টার দিকে রূপসা নদীতে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ; যুদ্ধজাহাজ পলাশ রক্ষা করতে গিয়ে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর গোলায় নিহত
-
-
সমাধিস্থল: রূপসা ফেরিঘাট, লুকপুর
-
স্মৃতি: জন্মস্থানে নোয়াখালীতে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ রুহুল আমিন স্মৃতি পাঠাগার ও জাদুঘর
স্মারক: বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীরশ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত সাতজন বীরের একজন
সূত্র:
-
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট
-
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago