বাংলাদেশ ভূ-খন্ড সৃষ্টির আগে এখানে কী ছিল?
A
ডেল্টা বেসিন
B
বঙ্গ বেসিন
C
ভারত মহাসাগরীয় বেসিন
D
সাগর
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ভূ-গঠনের ইতিহাস বোঝার জন্য বঙ্গীয় বদ্বীপ ও বঙ্গীয় অববাহিকার সম্পর্ক জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সৃষ্টির বহু আগে এখানে ছিল বঙ্গীয় অববাহিকা, যা পরবর্তীতে পলিমাটি দ্বারা ভরাট হয়ে বর্তমান বঙ্গীয় বদ্বীপে রূপ নিয়েছে। নিচে এর গঠন প্রক্রিয়া ও ভূ-তাত্ত্বিক তথ্য উপস্থাপন করা হলো।
-
বাংলাদেশ (বঙ্গীয় বদ্বীপ) সৃষ্টির পূর্বে এই অঞ্চলে ছিল বঙ্গ বেসিন (বঙ্গীয় অববাহিকা), যা ক্রমে পলি দ্বারা পূর্ণ হয়ে স্থলভাগে পরিণত হয়।
-
এই অববাহিকার উৎপত্তি ঘটে ভূত্বকীয় ভারতীয় প্লেট (Indian Plate) এবং এশিয়ান প্লেট (Asian Plate) এর সংঘর্ষের ফলে।
-
ইয়োসিন উপযুগের শেষাংশে এই দুটি প্লেটের সংঘর্ষ শুরু হয়, যার ফলস্বরূপ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূতাত্ত্বিক ঘটনা ঘটে—
-
টেথিস সাগরের বিলুপ্তি, অর্থাৎ প্রাচীন সাগরটি ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়।
-
হিমালয় পর্বতের সৃষ্টি, যা পৃথিবীর অন্যতম নবীন পর্বতমালা।
-
-
এই দুটি ঘটনার পারস্পরিক প্রভাবেই বঙ্গীয় অববাহিকা গঠিত হয়।
-
পরবর্তীতে হিমালয় পর্বত থেকে আগত নদীগুলো প্রচুর পরিমাণে পলিমাটি বহন করে এনে এই অববাহিকায় জমা করতে থাকে।
-
ক্রমাগত পলিসঞ্চয়ের মাধ্যমে এই অববাহিকা ভরাট হয়ে বর্তমানে বঙ্গীয় বদ্বীপ বা বাংলাদেশ ভূখণ্ড সৃষ্টি হয়।
এভাবে বাংলাদেশের ভূ-গঠন একটি দীর্ঘ ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার ফল, যা প্লেট টেকটোনিক আন্দোলন, সাগর বিলুপ্তি, ও পলিমাটির স্তরবিন্যাসের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।
0
Updated: 1 day ago
ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে প্রধানত বাংলাদেশকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৩টি
B
৫টি
C
৭টি
D
২টি
ভূ-প্রকৃতি:
-
ভূ-প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত করা যায়:
১) টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
২) প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
৩) সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি
টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ:
-
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ এ অঞ্চলের অন্তর্গত।
-
হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময়, টারশিয়ারি যুগে এসব পাহাড় সৃষ্টি হয়।
-
এগুলো বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দ্বারা গঠিত।
-
এ পাহাড়গুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
-
(ক) দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
-
(খ) উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
-
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ:
-
প্রায় ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়।
-
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
-
এসব সোপান প্লাইস্টোসিনকালে গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি:
-
টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ও প্লাইস্টোসিনকালের সোপান ব্যতীত সমগ্র বাংলাদেশই নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ প্লাবন সমভূমি।
-
এখানে কিছু সংখ্যক পরিত্যক্ত অশ্বখুরাকৃতি নদীখাত রয়েছে।
-
স্থানীয়ভাবে এগুলোকে বিল, ঝিল ও হাওড় বলা হয়।
-
এর মধ্যে চলনবিল, মাদারিপুর বিল ও সিলেট অঞ্চলের হাওড়সমূহ উল্লেখযোগ্য।
0
Updated: 1 month ago
ভূ-প্রকৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
Created: 4 days ago
A
৩
B
৪
C
৫
D
৬
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিকে সুস্পষ্ট তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:
-
প্লাবন সমভূমি: এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভূ-প্রকৃতি অঞ্চল, যা সমতল এবং নদী দ্বারা সেচিত। এখানে প্রধানত নদী, বিল এবং জলাভূমি রয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ৭০% অংশ এই প্লাবন সমভূমি অঞ্চলে অবস্থিত।
-
সোপান অঞ্চল: এই অঞ্চলে ভূমির উচ্চতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং এটি দেশের মধ্যাঞ্চলের কিছু অংশকে অন্তর্ভুক্ত করে। এটি পাহাড়ি অঞ্চল ও সমভূমির মধ্যে একটি সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করে এবং এখানে ছোট পাহাড় ও টিলা রয়েছে।
-
পার্বত্য অঞ্চল: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত, যেখানে পাহাড় ও বনজঙ্গল রয়েছে। এই অঞ্চলের প্রধান ভূমিরূপ হলো পাহাড় ও পর্বতমালা, যেমন চট্টগ্রাম এবং সিলেটের পার্বত্য অঞ্চল।
এই তিনটি ভূ-প্রকৃতি অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের বৈচিত্র্যকে প্রকাশ করে।
0
Updated: 4 days ago