চর্যাপদ কোন্ ছন্দে লেখা?
A
স্বরবৃত্ত
B
নিম্নবৃত্ত
C
অক্ষরবৃত্ত
D
মাত্রাবৃত্ত
উত্তরের বিবরণ
‘চর্যাপদ’ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন, যেখানে ছন্দ ও ভাব উভয়ই সহজভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এই গ্রন্থে ব্যবহৃত ছন্দের ধরন সাহিত্যিকদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
‘চর্যাপদ’-এর পদগুলোতে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ ব্যবহৃত হয়েছে, যেখানে প্রতিটি পঙক্তি নির্দিষ্ট সংখ্যক মাত্রায় গঠিত।
প্রতিটি পদের লাইনে নির্দিষ্ট মাত্রার সংখ্যা বজায় রাখা হয়েছে যা গান বা পাঠে সুরের সৌন্দর্য সৃষ্টি করে।
এতে প্রাচীন প্রাকৃত ভাষার ছন্দধারা বজায় ছিল, যা বাংলার প্রারম্ভিক কবিতার রূপ নির্দেশ করে।
চর্যাগুলি মূলত গান বা ভক্তিমূলক পদ হিসেবে রচিত হয়েছিল, তাই মাত্রার নিয়ম সেখানে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এই ছন্দরীতি পরবর্তী বাংলা কবিতার ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরবর্তীতে মঙ্গলকাব্য ও বৈষ্ণব পদাবলীতেও প্রভাব ফেলে।
0
Updated: 1 day ago
চর্যাপদের কোন কবির প্রকৃত নাম 'শান্তিদেব'?
Created: 1 month ago
A
কাহ্নপা
B
লুইপা
C
ভুসুকুপা
D
ভাদেপা
চর্যাগীতির ইতিহাসে ভুসুকুপা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী হিসেবে পরিচিত এবং তাঁর রচিত পদগুলো চর্যাপদ গ্রন্থে সংরক্ষিত।
-
সংগ্রহিত পদ: মোট আটটি পদ চর্যাপদে অন্তর্ভুক্ত।
-
নামের ব্যাখ্যা: নানা কিংবদন্তি অনুযায়ী ভুসুকুপা নামটিকে ছন্দের নাম হিসেবে ধরা হয়। প্রকৃত নাম ছিল শান্তিদেব।
-
কালক্রম: ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, শান্তিদেব ভুসুকু সপ্তম শতকের দ্বিতীয়ার্ধে জীবনযাপন করেছিলেন।
-
জীবনকাল: তাঁর জীবৎকালের শেষ সীমা ৮০০ সাল।
-
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: ধর্মপালের রাজত্বকালে (৭৭০-৮০৬ সাল) ভুসুকুপা সক্রিয় ছিলেন।
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদের টীকাকার মুনিদত্ত কোন পদের ব্যাখ্যা করেননি?
Created: 1 month ago
A
৩৩নং পদের
B
১১নং পদের
C
২২নং পদের
D
২৩নং পদের
চর্যাপদ
-
পরিচিতি: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র নিদর্শন, যা চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতিকোষ, চর্যাগীতি বা চর্যাপদ নামে পরিচিত।
-
আবিষ্কার ও প্রকাশ:
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়।
-
-
পদসংখ্যা:
-
মোট চর্যাপদ: ৫০টি (কিছু মত অনুযায়ী সুকুমার সেন ৫১টি মনে করেন)
-
উদ্ধারকৃত পদ: ৪৬.৫টি
-
বিলুপ্ত/অনুদ্ধারকৃত পদ: ৩.৫টি
-
উদাহরণ:
-
২৩নং পদ (ভুসুকুপা) খণ্ডিত অবস্থায় পাওয়া গেছে (৬টি পদ আছে, ৪টি হারিয়ে গেছে)
-
২৪নং পদ (কাহ্নপা), ২৫নং পদ (তন্ত্রীপা), ৪৮নং পদ (কুক্কুরীপা) অনুদ্ধারকৃত
-
-
-
-
অনুবাদ ও ব্যাখ্যা:
-
তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
সংস্কৃত ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন মুনিদত্ত; তবে তিনি ১১নং পদের ব্যাখ্যা করেননি।
-
0
Updated: 1 month ago
'চর্যাপদ' কত সালে আবিষ্কৃত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৮০০
B
১৮৫৭
C
১৯০৭
D
১৯০৯
চর্যাপদ
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন। এটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কবিতা/গান কাব্যসংকলন হিসেবে পরিচিত।
-
আদি যুগে লেখা এই পদগুলি মূলত রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। পদগুলোর বিষয়বস্তুতে বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী সাধনা, ভজন এবং আধ্যাত্মিক তত্ত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
-
চর্যাপদকে বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত দলিল বলা হয়।
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। পরে ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়।
পদসংখ্যা ও প্রাপ্তি
-
চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা ৫০টি। তবে গবেষক সুকুমার সেন মনে করেন পদসংখ্যা ৫১টি।
-
আবিষ্কৃত হয়েছে সাড়ে ৪৬টি পদ।
-
অনাবিষ্কৃত বা বিলুপ্ত পদ রয়েছে সাড়ে ৩টি।
-
ভুসুকুপা রচিত ২৩নং পদ অসম্পূর্ণ (৬টি স্তবক পাওয়া গেছে, ৪টি হারিয়ে গেছে)।
-
এছাড়া ২৪নং (কাহ্নপা), ২৫নং (তন্ত্রীপা), এবং ৪৮নং (কুক্কুরীপা) পদগুলো পাওয়া যায়নি।
অনুবাদ ও গবেষণা
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র। পরে ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
প্রথম ধর্মতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (১৯২৭)।
-
চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন বিজয়চন্দ্র মজুমদার (১৯২০)।
-
ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত ১৯৪৬ সালে সহজযান ও চর্যাপদের অন্তর্নিহিত দর্শন নিয়ে ব্যাখ্যা দেন।
-
রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য, সহজযান ও চর্যাগীতিকা নিয়ে হিন্দি ও ইংরেজিতে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন।
উৎস:
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago