কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা-
A
কালের যাত্রা
B
ক্ষণিকা
C
তাসের দেশ
D
বসন্ত
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বসন্ত’ নাটকটি কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। এটি ছিল সমকালীন এক তরুণ প্রতিভার প্রতি তাঁর আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রকাশ। নাটকটির মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ নবপ্রজন্মের সাহিত্যিকদের প্রতি তাঁর আস্থা ও স্নেহ প্রদর্শন করেন।
-
‘বসন্ত’ নাটকটি ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয়।
-
নাটকটির বিষয়বস্তু প্রকৃতি, প্রেম ও নবজীবনের সুরে অনুপ্রাণিত।
-
রবীন্দ্রনাথ তরুণ কবি নজরুলের বিপ্লবী ও সৃজনশীল মানসিকতার প্রশংসা করে এই উৎসর্গ করেন।
-
এটি ছিল এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সাহিত্যিক সেতুবন্ধনের প্রতীক।
-
এই উৎসর্গ রবীন্দ্রনাথের মুক্তচিন্তা ও মানবতাবোধের প্রতিফলন ঘটায়।
0
Updated: 1 day ago
স্বদেশি আন্দোলনের পটভূমিকায় রচিত উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ঘরে-বাইরে
B
প্রায়শ্চিত্ত
C
গোরা
D
বিষবৃক্ষ
‘ঘরে-বাইরে’ উপন্যাস হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চলিত ভাষায় লেখা প্রথম উপন্যাস, যা প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে।
-
উপন্যাসটির পটভূমি: স্বদেশি আন্দোলন।
-
পাশ্চাত্য ঔপন্যাসিক স্টিভেনসনের ‘প্রিন্স অটো’ উপন্যাসের সাথে ভাবসাদৃশ্য রয়েছে।
-
স্টিভেনসনের চরিত্র সেরাফিনা, অটো ও গোনড্রেমাক যথাক্রমে রবীন্দ্রনাথের বিমলা, নিখিলেশ ও সন্দীপ-এর প্রতিসম।
-
তবে স্টিভেনসনের উপস্থাপনা ব্যঙ্গাত্মক ও মিলনাত্মক, আর রবীন্দ্রনাথের কাহিনী সকরুণ ও সিরিয়াস।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
বিমলা
-
নিখিলেশ
-
সন্দীপ
অন্য উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:
-
‘গোরা’ উপন্যাস: ধর্মান্দোলন, স্বদেশপ্রেম ও নারীমুক্তি চিন্তার পটভূমিতে লেখা।
-
‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটক: রবীন্দ্রনাথের শেষ মানভূমিক নাটক, টলস্টয়ের নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধ নীতি ও গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
-
‘বিষবৃক্ষ’: বঙ্কিমচন্দ্র রচিত উপন্যাস, যেখানে বিধবা বিবাহ, পুরুষের একাধিক বিবাহ, নারীর আত্মসম্মান ও অধিকারবোধ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক কোনটি?
Created: 1 week ago
A
নবান্ন
B
রাজা
C
ইডিপাস
D
কৃষ্ণকুমারী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যকে নাটকের মাধ্যমে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। তাঁর রচিত নাটক ‘রাজা’ মানবজীবনের রহস্য, আত্ম-অনুসন্ধান এবং ঈশ্বরচেতনার এক গভীর দার্শনিক প্রকাশ। এটি শুধুমাত্র একটি নাটক নয়, বরং মানুষের অন্তর্লোক ও আত্মার মুক্তির এক প্রতীকী উপাখ্যান, যেখানে রাজাকে দেখা যায় এক অদৃশ্য শক্তির প্রতিরূপ হিসেবে। এই নাটকটি রবীন্দ্রনাথের প্রতীকী নাটকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।
• ‘রাজা’ নাটকটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১০ সালে। এটি মূলত একটি প্রতীকী ও আধ্যাত্মিক নাটক, যেখানে রাজাকে দেখা যায় ঈশ্বর বা পরম চেতনার প্রতীক হিসেবে, আর সুরঞ্জন চরিত্রটি মানুষের আত্মাকে প্রতিনিধিত্ব করে। নাটকটির মূল বক্তব্য—মানবজীবনে সত্য ও ঈশ্বরচেতনা উপলব্ধির প্রয়াস।
• এই নাটকে রবীন্দ্রনাথের দার্শনিক ভাবনা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। রাজা এখানে দৃশ্যমান নয়, তবু তাঁর উপস্থিতি সর্বত্র অনুভূত হয়। এটি ঈশ্বরের সেই অদৃশ্য উপস্থিতির রূপক, যিনি মানুষকে অনুপ্রাণিত করেন আত্মবিকাশ ও সত্যসন্ধানে।
• নাটকের ভাষা ও সংলাপ কাব্যময়, যা একে সাধারণ বাস্তবধর্মী নাটক থেকে আলাদা করেছে। রবীন্দ্রনাথ এই নাটকের মাধ্যমে নাট্যসাহিত্যে কবিত্ব, দর্শন ও প্রতীকের এক সুমিলন ঘটান।
• ‘রাজা’ নাটকের চরিত্রগুলো প্রতীকী। যেমন—সুরঞ্জন মানুষের মন, রাজা ঈশ্বর বা অন্তর আত্মা, সুরঙ্গমা চিরসঙ্গিনী আত্মা, এবং রাজসভা মানসিক জগৎকে বোঝায়। এসব চরিত্রের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ মানুষের অন্তর্গত সংঘাত, আত্মদহন এবং মুক্তির আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন।
• এই নাটকের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ মানুষের “আত্মার রাজত্ব” ধারণা তুলে ধরেছেন। বাহ্যিক রাজা বা শক্তি নয়, বরং অন্তরের রাজাই মানুষকে পরিচালিত করে—এই দার্শনিক বক্তব্যই নাটকের মূল প্রেরণা।
• সাহিত্য বিশারদদের মতে, ‘রাজা’ নাটকটি রবীন্দ্রনাথের ‘প্রতীকী নাটক ত্রয়ী’—রাজা, ডাকঘর, ও মুকুট—এর মধ্যে সবচেয়ে গভীরতর ভাবসম্পন্ন রচনা।
অন্য বিকল্পগুলো সঠিক নয় কারণ—
-
‘নবান্ন’ নাটকটি রচিত হয়েছে বিজন ভট্টাচার্য কর্তৃক, যেখানে বাংলার দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের জীবনচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
-
‘ইডিপাস’ একটি গ্রিক ট্র্যাজেডি, যার রচয়িতা সফোক্লিস; এটি ভাগ্য ও নিয়তির বিরুদ্ধে মানব সংগ্রামের গল্প।
-
‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটকটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত, যেখানে ঐতিহাসিক পটভূমিতে রাজনীতি ও প্রেমের সংঘাত দেখা যায়।
অতএব, উপর্যুক্ত বিশ্লেষণ থেকে স্পষ্ট যে ‘রাজা’ নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনন্য দার্শনিক ও প্রতীকী নাট্যকর্ম, যা বাংলা নাট্যসাহিত্যে এক যুগান্তকারী সংযোজন হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 1 week ago
”মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী, আর হাতে রণ তূর্য।” এটি কাজী নজরুল ইসলামের কোন কবিতার চরণ?
Created: 1 month ago
A
বিদ্রোহী
B
প্রলয়োল্লাস
C
কাণ্ডারী হুশিয়ার
D
মানুষ
• ”মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী, আর হাতে রণ তূর্য।”
• উক্ত চরণটি বিদ্রোহী কবিতার অন্তর্গত।
- ১৯২২ সালে সাপ্তাহিক বিজলি পত্রিকা প্রকাশ।
- বিদ্রোহী কবিতাটি অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
• অগ্নিবীণা:
- কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
- ১৩২৯ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে (সেপ্টেম্বর, ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ) প্রকাশিত হয়।
- প্রথম কবিতা: প্রলয়োল্লাস
- মোট বারোটি কবিতা আছে।
- উৎসর্গ: বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
কবিতার তালিকা:
- প্রলয়োল্লাস
- বিদ্রোহী
- রক্তাম্বর-ধারিণী মা
- আগমণী
- ধূমকেতু
- কামাল পাশা
- আনোয়ার
- রণভেরী
- শাত-ইল-আরব
- খেয়াপারের তরণী
- কোরবানী
- মহররম
উৎস:
0
Updated: 1 month ago