বাকযন্ত্রের অংশ কোনটি?
A
স্বরযন্ত্র
B
ফুসফুস
C
দাঁত
D
সবকটি
উত্তরের বিবরণ
বাকযন্ত্র মানুষের কথা বলার জন্য অপরিহার্য একটি অঙ্গসমষ্টি, যা শব্দ সৃষ্টি ও উচ্চারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলোর সমন্বিত কাজেই আমরা সঠিকভাবে কথা বলতে পারি।
বাকযন্ত্রের প্রধান অংশগুলো হলো:
-
ফুসফুস: এটি বাতাস সরবরাহ করে, যা শব্দ উৎপাদনের প্রাথমিক শক্তি হিসেবে কাজ করে।
-
স্বরযন্ত্র (Larynx বা Vocal Cords): এটি স্বর উৎপাদনের মূল কেন্দ্র; বাতাস এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শব্দ তৈরি করে।
-
দাঁত, জিহ্বা ও ঠোঁট: এগুলো ধ্বনিকে স্পষ্ট ও সুস্পষ্টভাবে উচ্চারণ করতে সাহায্য করে।
অতএব, উপরোক্ত সব অঙ্গ বাকযন্ত্রের অংশ, তাই সঠিক উত্তর হলো সবকটি।
0
Updated: 1 day ago
কোনটি ঠিক?
Created: 1 week ago
A
রৌদ্র করোটিতে-ভ্রমণ কাহিনী
B
রাইফেল রোটি আওরাত-নাটক
C
সোজবাদিয়ার ঘাট-সিনেমা
D
ঘর মন জানালা-উপন্যাস
“ঘর মন জানালা” একটি উপন্যাস, যা আধুনিক জীবনের জটিলতা, মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সমাজবাস্তবতার সূক্ষ্ম চিত্র তুলে ধরে। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে এটি-ই সঠিক উত্তর, কারণ অন্যান্য রচনাগুলো ভিন্ন ঘরানার সাহিত্যকর্ম।
এই উপন্যাসে লেখক মানুষের মানসিক দিক, সামাজিক অবস্থান এবং পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে উপস্থাপন করেছেন। গল্পের গঠন, ভাষা ও বর্ণনার ধরণ উপন্যাসের স্বাভাবিক রীতি অনুসারে তৈরি, যা একে অন্যান্য ঘরানার থেকে স্পষ্টভাবে পৃথক করেছে।
-
উপন্যাসের মূল বৈশিষ্ট্য হলো চরিত্র, ঘটনা ও পরিবেশের মাধ্যমে জীবনের বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরা। “ঘর মন জানালা”-তে লেখক এই তিনটি উপাদানকে দক্ষতার সঙ্গে একত্র করেছেন।
-
গল্পে বাস্তবতা ও মানসিক গভীরতার সমন্বয় রয়েছে, যা পাঠককে চরিত্রদের অনুভূতি ও সংগ্রামের সঙ্গে একাত্ম করে তোলে।
-
লেখক এখানে সমাজ ও পারিবারিক মূল্যবোধের পরিবর্তন, মানুষের একাকিত্ব এবং ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে কাহিনি বিন্যাস করেছেন, যা উপন্যাসের জন্য আদর্শ বিষয়।
-
ভাষা ও শৈলী সহজ হলেও গভীর আবেগময়। এতে মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ যেমন আছে, তেমনি বাস্তব জীবনের টানাপোড়েনও ফুটে উঠেছে।
-
“ঘর মন জানালা” নামটিও প্রতীকী— ‘ঘর’ মানে পারিবারিক পরিসর, ‘মন’ মানে ব্যক্তিগত অনুভূতি, আর ‘জানালা’ মানে বাইরের জগতের দিকে মানুষের দৃষ্টিপাত। এই প্রতীকগুলোর মাধ্যমে লেখক মানুষের অন্তর্জগত ও বহির্জগতের সম্পর্ককে সুন্দরভাবে প্রকাশ করেছেন।
-
কাহিনির অগ্রগতি ধীর এবং বাস্তবধর্মী, যা উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য। নাটক বা গল্পের মতো সংক্ষিপ্ত নয়, বরং চরিত্র ও ঘটনার পরিপূর্ণ বিকাশ রয়েছে।
-
উপন্যাসটি পাঠককে শুধু বিনোদন দেয় না, বরং চিন্তা-ভাবনার দিকেও নিয়ে যায়। এটি সামাজিক পরিবর্তন ও মানবিক মূল্যবোধের পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানায়।
অন্য বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, “রৌদ্র করোটিতে” একটি ভ্রমণকাহিনী, “রাইফেল রোটি আওরাত” একটি নাটক, এবং “সোজবাদিয়ার ঘাট” একটি চলচ্চিত্র। তাই শুধুমাত্র “ঘর মন জানালা” উপন্যাস হিসেবে সঠিক।
সবদিক বিবেচনায় বলা যায়, “ঘর মন জানালা”-ই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে উপন্যাস হিসেবে যথার্থ ও সঠিক উত্তর।
0
Updated: 1 week ago
জাহানারা ইমাম রচিত ডায়েরিমূলক লেখা কোনটি?
Created: 5 days ago
A
দুর্দিনের দিনলিপি
B
একাত্তরের ডায়রি
C
একাত্তরের স্মৃতি
D
একাত্তরের দিনগুলি
জাহানারা ইমাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ও সাহিত্যিক। তাঁর রচিত ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইটি একটি ডায়েরিমূলক গ্রন্থ, যেখানে তিনি যুদ্ধের ভয়াবহতা, ত্যাগ, বেদনা ও বীরত্বের কাহিনি নিজ চোখে দেখা ঘটনার আলোকে তুলে ধরেছেন। এটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ব্যক্তিগত অনুভব ও বাস্তব ঘটনার সঙ্গে যুক্ত করে এক অনন্য দলিল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
• ‘একাত্তরের দিনগুলি’ মূলত জাহানারা ইমামের ব্যক্তিগত ডায়েরির অংশবিশেষ, যা তিনি ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নিয়মিত লিখেছিলেন। এতে তিনি সেই সময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নৃশংসতা এবং মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেছেন।
• এই গ্রন্থে লেখিকার মায়ের মমতা, দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান রুমির প্রতি গর্ব ও শোক একত্রে প্রকাশ পেয়েছে। রুমির শহীদ হওয়ার ঘটনাটি বইটির সবচেয়ে হৃদয়বিদারক অংশ।
• ‘একাত্তরের দিনগুলি’ কেবল একটি ডায়েরি নয়, এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের মানুষের মানসিক অবস্থার বাস্তব প্রতিচ্ছবি। এতে সাধারণ মানুষের ভয়, আশা, নির্ভীকতা ও দেশপ্রেমের কথা উঠে এসেছে একেবারে বাস্তব ভাষায়।
• বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে, এবং প্রকাশের পরই এটি পাঠক মহলে গভীর আলোড়ন তোলে। এর ভাষা সহজ, অথচ আবেগময় এবং সত্যনিষ্ঠ বর্ণনায় ভরপুর।
• জাহানারা ইমাম (১৯২৯–১৯৯৪) শুধুমাত্র সাহিত্যিকই নন, তিনি শহীদজননী হিসেবেও পরিচিত। তাঁর সন্তান শাফি ইমাম রুমি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। এই ব্যক্তিগত ক্ষতি তাঁকে জাতীয় দায়িত্ববোধে আরও দৃঢ় করে তোলে।
• বইটির মূল থিম হলো দেশপ্রেম, ত্যাগ, নৃশংসতার প্রতিবাদ এবং মানবতার জাগরণ। জাহানারা ইমাম তাঁর লেখার মাধ্যমে দেখিয়েছেন কিভাবে সাধারণ মানুষও অসাধারণ সাহসের পরিচয় দিতে পারে।
• এই গ্রন্থটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে গণ্য হয় এবং একে “মুক্তিযুদ্ধের ডায়েরি” নামেও অভিহিত করা হয়।
• পরবর্তীতে এই বইয়ের প্রভাবেই বহু লেখক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য রচনায় অনুপ্রাণিত হন। এটি মুক্তিযুদ্ধ অধ্যয়ন, গবেষণা এবং ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
• বইটির ভাষা সংবেদনশীল হলেও তথ্যসমৃদ্ধ, যা পাঠককে সরাসরি ১৯৭১ সালের আবহে নিয়ে যায়। এটি শুধু একটি সাহিত্যকর্ম নয়, বরং জাতির স্মৃতি ও সংগ্রামের প্রতীক।
সুতরাং, ‘একাত্তরের দিনগুলি’ হলো জাহানারা ইমাম রচিত সেই ডায়েরিমূলক লেখা, যা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক জীবন্ত ইতিহাস তুলে ধরে।
0
Updated: 5 days ago
মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি কে?
Created: 1 week ago
A
করিম উদ্দিন
B
হাবিব মিয়া
C
মতলব মিয়া
D
ছফা মিয়া
বাংলা সাহিত্যজগতে মেঘনা নদীকে কেন্দ্র করে বহু গল্প ও উপন্যাস রচিত হয়েছে, যার মধ্যে “মেঘনা নদীর মাঝি” প্রসিদ্ধ একটি গল্প। এই গল্পে নদীর মাঝি চরিত্রের মাধ্যমে লেখক গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র, নদী নির্ভর মানুষের সংগ্রাম এবং নৌচালনার দক্ষতা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই কাহিনিতে মতলব মিয়া হচ্ছেন মেঘনা নদীর সবচেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ মাঝি।
নিচে বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হলো—
-
মতলব মিয়ার পরিচয়: তিনি পেশায় একজন মাঝি, যিনি মেঘনা নদীতে নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁর নৌকা চালানোর দক্ষতা, নদীর গতিপথ বোঝার ক্ষমতা এবং ঝড়-জল মোকাবিলার সাহস তাকে অন্য মাঝিদের মধ্যে আলাদা করে তুলেছে।
-
দক্ষতার পরিচয়: মতলব মিয়া মেঘনা নদীর প্রতিটি বাঁক, স্রোত, ভাটির ঢেউ, এমনকি কুয়াশার মধ্যে নৌকা চালানোর পথ পর্যন্ত জানেন। তিনি জানেন কখন পাল তোলা নিরাপদ, কখন নৌকা থামানো উচিত, আর কোথায় নদীর স্রোত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
-
নদী ও জীবনের সম্পর্ক: তাঁর জীবনে নদী কেবল জীবিকার উৎস নয়, এটি তাঁর জীবনের সঙ্গীও বটে। নদীর প্রতিটি ঢেউ যেন তাঁর সঙ্গে কথা বলে, যা তাঁর আত্মার সঙ্গে মিশে আছে।
-
সংগ্রামী চরিত্র: মতলব মিয়া সমাজের সাধারণ এক মানুষ, কিন্তু নিজের পেশায় তিনি নিবেদিতপ্রাণ। নদীতে ঝড় উঠলেও তিনি ভয় পান না। জীবনের প্রতিকূলতাকে জয় করাই তার দৈনন্দিন বাস্তবতা।
-
নৈতিক গুণাবলি: দক্ষতার পাশাপাশি তিনি সৎ, সাহসী ও পরিশ্রমী। অন্য মাঝিরা যখন নদীর ভয়াবহ স্রোত দেখে পিছিয়ে যায়, তখন মতলব মিয়া দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে নৌকার হাল ধরে রাখেন।
-
প্রতীকী অর্থে: সাহিত্যিকভাবে মতলব মিয়া বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রতীক, যারা পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং সাহসের মাধ্যমে জীবনের অনিশ্চয়তাকে জয় করে।
-
গল্পের শিক্ষা: এই চরিত্র আমাদের শেখায় যে দক্ষতা ও সাহস একসাথে থাকলে মানুষ যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে পারে। মতলব মিয়া তার জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলোতেও ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস হারাননি।
সবশেষে বলা যায়, মতলব মিয়া কেবল মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি নন, তিনি নদীজীবনের প্রতীকও বটে। তাঁর মাধ্যমে লেখক দেখিয়েছেন, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকা মানুষের আসল শক্তি নিহিত থাকে পরিশ্রম, অভিজ্ঞতা ও সাহসের মধ্যে।
0
Updated: 1 week ago